সাড়ে তিন ফুট গেট খুলে দেওয়ার পর কাপ্তাই লেকের পানি কমেছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই হ্রদ থেকে এক লাখ কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে কর্ণফুলী নদীতে। গেট খোলার প্রায় তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। 

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল দশটা পর্যন্ত হ্রদে পানির স্তর রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮.

৭০ এমএসএল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় হ্রদের পানি ১০৮.৮৩ এমএসএলে চলে এলে কাপ্তাই বাঁধের গেট পঞ্চম দফায় ছয় ইঞ্চি বাড়িয়ে সাড়ে তিন ফুট উচ্চতায় খুলে দেওয়া হয়। 

বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে ৬৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে আরো ৩২ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হচ্ছে নদীতে। এতে প্রতি সেকেন্ডে এক লাখ কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। ফলে কর্ণফুলী নদীতে স্রোত বেড়ে গেছে। এতে গতকাল সকাল থেকে আজ শুক্রবারও বন্ধ রয়েছে চন্দ্রঘোনা-রাইখালী ফেরি চলাচল।

কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান বলেন, “হ্রদের পানি ১০৮ এমএসএল (মিনসসি লেভেল) অতিক্রম করার পর বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় তিন ফুট পর্যন্ত গেট খুলে দেওয়া হয়। এর পরও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হ্রদের পানির স্তর বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮.৮৩ এমএসএল। পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএলের একেবারেই কাছাকাছি চলে আসায় ঝুঁকি এড়াতে গেট সাড়ে তিন ফুট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়। এরপর এই প্রথম কিছুটা পানি কমে এসেছে। বর্তমানে হ্রদে পানির স্তর ১০৮.৭০ এমএসএল। এখনো পানির স্তর বিপৎসীমায় রয়েছে।”

ঢাকা/শংকর/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ন র স তর

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিপি পাবে ১৫০ আসন, তবে বিএনপি ৫০-১০০ এর বেশি পাবে না

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসন পাবে এনসিপি। আর বিএনপি ৫০-১০০ এর বেশি আসন পাবে না। এনসিপি দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা প্রতীক থেকে সরবে না।”

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আঁগারগাওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

যশোরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে পেট্রোল পাম্প দখলচেষ্টার অভিযোগ 

খুলনায় ৭ মামলার আসামি বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার

নিবন্ধন, প্রতীক ও প্রবাসী ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “কমিশন আমাদের ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের জন্য একটি সুখবর আসছে, জুলাই পরবর্তী সময়ে। আমরা আজকেও বলেছি শাপলা, সাদা শাপলা, লাল শাপলা চেয়েছি। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরছি না। এটা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তিনটি প্রতীকের মাধ্যমেই নিবন্ধন হতে হবে। এর ব্যত্যয় হবে না। ইসি না মানলে কীভাবে আদায় করতে হয় তা আমরা জানি।”

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “জেলায় জেলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা, জুলাই অভ্যুত্থানে নারী, গণঅভ্যুত্থানে কৃষক, শ্রমিকসহ যারা ছিলেন তাদের নিয়ে এনসিপির প্রার্থিতা থাকবে। আমাদের আলোচনা চলছে।”

ঢাকা/রায়হান/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ