ইসরায়েলের গাজা দখল পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানায়নি আরব দেশগুলো
Published: 8th, August 2025 GMT
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা পর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময়ে পেরিয়ে গেছে। পশ্চিমা কয়েকটি দেশ এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়া জানালেও এখনো আরব দেশগুলো কোনো মন্তব্য করেনি। শুক্রবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।
নেতানিয়াহু বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে এক টেলিভিশন ভাষণে গাজা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেছেন, “গাজা যেন আর কখনো আমাদের নাগরিকদের জন্য হুমকি না হয়, তা নিশ্চিত করতেই আমাদের এ পরিকল্পনা। আমরা চূড়ান্ত বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছি।”
নেতানিয়াহুর এই ঘোষণার পর ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ইসরায়েলকে সিদ্ধান্তটি ‘অবিলম্বে পুনর্বিবেচনা করার’ আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাজ্য ‘দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের অংশ হিসেবে’ শান্তি নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে।
অস্ট্রেলিয়া ইসরায়েলকে তার পরিকল্পনা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং বলেছেন, “স্থায়ীভাবে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।”
জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি এই পরিকল্পনাটিকে ‘একেবারে ভুল দিকে অত্যন্ত খারাপ পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইসরায়েলি সরকারের ঘোষণায় ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস ‘তীব্রভাবে’ এই ঘোষণার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটি ‘কেবলমাত্র আরো ধ্বংস এবং দুর্ভোগের দিকে পরিচালিত করবে।’
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র তুরস্ক তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তুরস্ক বলেছে, ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত ‘এই অঞ্চলে তাদের সম্প্রসারণবাদী এবং গণহত্যা নীতির একটি নতুন পর্যায় গঠন করে।’
মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি এখনো পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি। শক্তিধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও কাতার প্রতিবাদ তো দূরের কথা এখনো কোনো মন্তব্যই করেনি। গাজার প্রতিবেশী মিশর একেবারেই নীরব ভূমিকা পালন করছে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বল ছ ন ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে জকসু নির্বাচন চায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে করার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা বলেন, বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বহুল প্রতীক্ষিত জকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে একধরনের উত্তেজনা ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তফসিলে নির্বাচনের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ঘোষণা করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং অনেকাংশে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা অভিযোগ করেন, জকসু নির্বাচনের যে তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। ডিসেম্বর বছরের শেষ মাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা সারা বছরের একাডেমিক চাপ শেষে ছুটি কাটাতে বাড়ি যায়। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সময় ক্যাম্পাসে থাকে না। নির্বাচনের জন্য এমন সময় নির্ধারণের একমাত্র উদ্দেশ্য হতে পারে ভোটারদের অংশগ্রহণ সীমিত করা।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতারা আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষার্ধে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে। এমন সময়ে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ থাকতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, ‘একটি সুস্থ ও সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হয়ে থাকবে। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর এটিই প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচন, যা সংকটে জর্জরিত এই ক্যাম্পাসের ভাগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা রাখে।’