ফতুল্লায় চুরির মামলায় যুবলীগ নেতা টাকলা শামীম গ্রেপ্তার
Published: 3rd, September 2025 GMT
ফতুল্লায় চুরির মামলায় যুবলীগ নেতা শামীম ওরফে টাকলা শামীম কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে তাকে ফতুল্লার দাপা পোস্ট অফিস রোডস্থ রেইনবোমোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিস্তারিত আসছে..............
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
১ বছরে যবিপ্রবির যত অর্জন
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ঢেউ ওঠে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে একে একে পদত্যাগ করতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যরা।
তারই ধারাবাহিকতায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্যও পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশে যবিপ্রবির নতুন উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন:
নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থী সুজা
বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় যবিপ্রবির ৯ শিক্ষক
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তিনি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ, একাডেমিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পথে যবিপ্রবিকে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
মাত্র ১ বছরে যবিপ্রবি দেশের শিক্ষা অঙ্গনে যেমন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে, তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও জায়গা করে নিয়েছে। বিশ্বখ্যাত টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিং-২০২৫ এ বাংলাদেশের মধ্যে যৌথভাবে প্রথম হওয়া, এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাওয়া এবং কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে গৌরবময় স্থান অর্জন—সবই বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রার সাক্ষ্য বহন করছে। আরো গর্বের বিষয় হলো, বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞানীদের তালিকায় যবিপ্রবির আটজন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন, যা একটি অনন্য রেকর্ড।
যবিপ্রবির এই সাফল্য শুধু র্যাঙ্কিংয়ে থেমে নেই। ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর, নির্মাণাধীন ‘জুলাই কর্নার’ হয়ে উঠছে নতুন প্রজন্মের প্রেরণার স্থান। এছাড়া খুব দ্রুতই যবিপ্রবির মূল গেটে যুক্ত হতে যাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন নামফলক।
যবিপ্রবি উপাচার্যের যোগদানের পর শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবিই ছিল নতুন হল চালু ও লিফট সমস্যার সমাধান। ইতোমধ্যে মুন্সি মোহাম্মদ মেহেরুল্লাহ ও বীরপ্রতীক তারামন বিবি হল শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হয়েছে এবং সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সব হলের ডাইনিং আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নতুন ভবনের লিফট সমস্যার সমাধান করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ভবনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসেবে রাস্তা ও ফুটপাত সংস্কার ও প্রশস্তকরণ দৃশ্যমান হয়েছে। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা হয়েছে। নতুন যানবাহন সংযোজন ও বিভিন্ন রুটে পরিবহন সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চালু করা হয়েছে। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের কনফারেন্স রুম আধুনিকীকরণ এবং একাডেমিক ভবনের ক্যান্টিন পুনঃসংস্কার করে পর্যাপ্ত বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
একাডেমিক কার্যক্রমে দ্রুততা আনার জন্য পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশে অনলাইন প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও সহায়তার জন্য চালু করা হয়েছে জরুরি সেবা কেন্দ্র।
সবচেয়ে বড় অর্জন—ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করে ২০২৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের (বিভিসি) আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন লাভ করেছে। এর ফলে এই অনুষদ থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশে পেশাদার ভেটেরিনারিয়ান হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। এই অর্জন শুধু যবিপ্রবির জন্য নয়, দেশের ভেটেরিনারি শিক্ষা, গবেষণা, প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রেও এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি।
২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে যবিপ্রবির ভর্তির কার্যক্রম গুচ্ছ পদ্ধতিতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপদ শিক্ষাজীবন নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানকে র্যাগিং ও রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীবান্ধব অ্যাকাডেমিক অর্ডিন্যান্স প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কাজও অব্যাহত আছে।
শিক্ষার মানোন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তির সংখ্যা ও পরিমাণ উভয়ই বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করার লক্ষ্যে রিসার্চ ফেলোশিপ চালু করা হয়েছে। থিসিস মাস্টার্স কোর্সে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে ১ বছরে মোট ৩০ হাজার টাকা এবং ২ বছরের মাস্টার্স কোর্সে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে ১৮ মাসে মোট ৫৪ হাজার টাকা ফেলোশিপের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যবিপ্রবির শিক্ষার মানকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে এডিবি ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৩০৬ কোটি টাকার আইসিএসইটিইপি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সিএসই বিভাগের জন্য নতুন একাডেমিক ভবন, উন্নতমানের ল্যাব, সেমিনার, কনফারেন্স এবং শিক্ষার্থী-বান্ধব ইনকিউবেশন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে।
আশা করা হচ্ছে, এই প্রকল্প সফল হলে যবিপ্রবি দেশের তথ্য ও প্রযুক্তিকে নেতৃত্ব দেবে। দেশের ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র যবিপ্রবি, ঢাবি ও বুয়েট এ প্রকল্পের সুযোগ পেয়েছে—যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরব ও শিক্ষার অগ্রযাত্রার প্রতীক।
যবিপ্রবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। প্রথমবারের মতো আয়োজিত ২ মাসব্যাপী ন্যাশনাল কনফারেন্স কার্নিভাল শিক্ষার্থীদের জন্য জ্ঞানের এক বিশাল ভান্ডার হিসেবে ধরা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষক ও প্রশিক্ষকদের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্বমানের জ্ঞান এবং পারস্পরিক যোগাযোগের দক্ষতার আলোকে নিজের দক্ষতা বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার, মানসিক স্বাস্থ্য এবং উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন সেমিনার ও প্রশিক্ষণ কর্মশালাও অব্যাহত রেখেছে। শুধু শিক্ষার মান বৃদ্ধি নয়, গবেষণার জগৎকেও সমৃদ্ধ করতে ভিজিটিং প্রফেসর নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে সরাসরি জ্ঞান অর্জন করছে। আগামিতে ভিজিটিং প্রফেসরের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে, যা বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণায় আরও উচ্চতায় পৌঁছে দেবে।
শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে যবিপ্রবিতে যাত্রা শুরু করেছে সেন্টার ফর ট্রেইনিং অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট (সিটিএসডি)। এই কেন্দ্র শিক্ষার্থীদের সফট স্কিল ও ভাষা শিক্ষার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ইংরেজি, জাপানি, চায়নিজ, জার্মান, অ্যারাবিক, কোরিয়ান, ফ্রেন্স ও স্প্যানিশ ভাষা শিক্ষার সুযোগ থাকছে। পাশাপাশি যোগাযোগ দক্ষতা, সমস্যা সমাধান ও নেতৃত্ব বিকাশে বিভিন্ন প্রোগ্রামও আয়োজন করা হবে। যশোর শহরে কেন্দ্রের একটি শাখা খোলার পরিকল্পনাও রয়েছে, যেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও এই সুবিধা পেতে পারে।
শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা বিকাশ নিশ্চিত করতে গঠিত হয়েছে ইনোভেশন অ্যান্ড স্টার্ট-আপ সাপোর্ট সেল। সফল হলে শিক্ষার্থীরা ২ বছর বিনামূল্যে অফিস সার্ভিস সুবিধা পাবে, যা দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এটাই প্রথম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এবং অ্যাক্রেডিটেশন সাপোর্ট সেল শিক্ষার মানকে আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করবে। এর মাধ্যমে বিভাগসমূহ বিএসি, বিএইটিই, এবিইটি, এইউএন কিউএ-এর মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করতে পারবে।
দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গ ও বৃহত্তর যশোর জেলার জনমানুষের কল্যাণে যবিপ্রবি প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। সম্প্রতি ২৬ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত আধুনিক ও রোগমুক্ত জারবেরা ফুলের চারা সরাসরি বাণিজ্যিক ফুলচাষীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
শুধু ফুলচাষ নয়, যশোরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায়ও বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে এসেছে। খুব শিগগিরই যশোর শহরের নির্ধারিত স্থানে ফিজিওথেরাপি অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের আওতায় ফিজিও কেয়ার খোলা হবে। একইসঙ্গে নার্সিং কেয়ার স্থাপনের পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। মলিকুলার রিসার্চ ও ডায়াগনিস্টিক সেবার উন্নয়নের ক্ষেত্রেও যবিপ্রবি কাজ করে যাচ্ছে।
উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ব্রাকিশ ওয়াটার সম্পদ উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কোস্টাল অ্যান্ড ব্রাকিশওয়াটার সেন্টার স্থাপন করছে। এই কেন্দ্রে চিংড়ি, কাঁকড়া ও অন্যান্য জলজ প্রজাতির চাষ উন্নয়ন, উপকূলীয় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা এবং খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষণা পরিচালিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মনে করছে, এ উদ্যোগ কেবল উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নেই নয়, জাতীয় অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
ঐতিহ্যের সংরক্ষণেও যবিপ্রবি পিছিয়ে নেই। ক্রমহ্রাসমান যশোরের যশ খেজুরের রস সংরক্ষণের জন্য খেজুরের জাত উন্নয়ন, বাণিজ্যিকভাবে গাছ চাষ, রস, গুড় ও পাটালি উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্র তৈরির পরিকল্পনা গবেষণার আওতায় রয়েছে।
গবেষণা ও প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় নতুন দিগন্ত খুলেছে সম্প্রতি বিইপিআরসি অর্থায়নে অনুমোদিত ‘ডেভেলপমেন্ট অফ রোবাস্ট ফটোইলেকট্রোক্যাটালাইটিক প্যানেল টেকনোলজি ফর এফিশিয়েন্ট হাইড্রোজেন জেনারেশন ফ্রম ওয়াটার’ প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যবিপ্রবি ও বিইপিআরসি-এর মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ৫০টির বেশি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অসাধারণ এবং উল্লেখযোগ্য।
এছাড়া, রিজেন্ট বোর্ডের ১০৭তম বিশেষ সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৯৮ কোটি ৫৩ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নয়ন নীতিমালা সর্বজনীন, স্বচ্ছ ও বৈষম্যহীনভাবে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রমবর্ধমান কার্যক্রমের জন্য নতুন ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা উদ্ভূত হয়েছে। সংশোধিত প্রস্তাবনা ইউজিসিতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
গত ১ বছরে যবিপ্রবি শুধু শিক্ষার মানোন্নয়নই করেনি, বরং গবেষণা, উদ্ভাবন ও সামাজিক কল্যাণেও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার নতুন পথ তৈরি করা, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা— সবমিলিয়ে যবিপ্রবি দেশের শিক্ষা ও গবেষণার অগ্রযাত্রার প্রমাণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, “যবিপ্রবির গত ১ বছরের সাফল্য কেবল প্রশাসনের একার অর্জন নয়, বরং এটি পুরো বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল। আমরা চাই, আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান আরো সমৃদ্ধ হোক। তাদের জন্য আমরা সর্বোচ্চটুকু দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং ভবিষ্যতেও সেই ধারা অব্যাহত রাখবো।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে সন্তানতুল্য। একটি পরিবারের মতো আমরা একে অপরের পাশে আছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ঐক্য, পরিশ্রম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে যবিপ্রবি আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।”
ঢাকা/মেহেদী