পূজার স্পেশাল রেসিপি ‘ইলিশ পোলাও’
Published: 24th, September 2025 GMT
‘ইলিশ পোলাও’ ছাড়া কী উৎসব জমে। বাড়িতেই রান্না করুন এই মজাদার পদ। জেনে নিন সহজ রেসিপিটি।
উপকরণ
পোলাও চাল: ৪ কাপ
ইলিশ মাছ: ১০ টুকরা
ইলিশের স্টক: ৮ কাপ
নারকেল দুধ: ১ কাপ
পেঁয়াজ বেরেস্তা: আধা কাপ
পেঁয়াজবাটা: সিকি কাপ
মরিচগুঁড়া: আধা চা-চামচ
ধনেগুঁড়া: আধা চা-চামচ
কাঁচা মরিচবাটা: ১ টেবিল চামচ
তেল: আধা কাপ
কাঁচা মরিচ: ১২টি
লবণ স্বাদমতো: আদাবাটা ১ চা-চামচ
রসুনবাটা: ১ চা-চামচ
পানি: ১২ কাপ
আরো পড়ুন:
এভাবে ‘চিকেনপাতুরি’ রান্না করেছেন?
ওভেন ছাড়াই তন্দুরি চিকেন বানিয়ে নিন
প্রথম ধাপ
শুরুতে একটি পাত্রে ১২ কাপ পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে দিন। এতে সামান্য পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচবাটা, লবণ দিয়ে অল্প আঁচে এবার ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ সেদ্ধ করে নিন। এক ঘণ্টা পর পানিটুকু ছেঁকে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ
এ পর্যায়ে মাছের কাঁটা থেকে যতটা সম্ভব মাছ বেছে নিন। ৮ কাপ ইলিশ স্টক তৈরি। বাকি মাছের টুকরা ধুয়ে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। পোলাও চাল ধুয়ে পানি ঝরতে দিন।
তৃতীয় ধাপ
একটি আলাদা পাত্র চুলায় বসান। এতে তেল গরম করে নিন। বাটা ও গুঁড়ামসলা, লবণ ও সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। তারপর মাছগুলো বিছিয়ে দিন। আধা কাপ নারকেল দুধ, কিছুটা বেরেস্তা ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে মাছগুলো রান্না করুন।
চতুর্থ ধাপ
৬ থেকে ৭টি কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢেকে দিন। মাঝারি আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন। মাছ হয়ে গেলে কিছুটা ঝোলসহ মাছ তুলে রাখুন।
এবার পাত্রে চাল দিয়ে একটু ভেজে নিন। ইলিশের স্টক দিয়ে দিন। চাল ৭০ ভাগ হয়ে এলে বাকি নারকেল দুধ দিন এবং রান্না করে রাখা মাছগুলো পোলাওয়ের ওপর বিছিয়ে দিতে হবে। শেষ পর্যায়ে দমে রাখুন ৫ থেকে ১০ মিনিট। নামিয়ে গরম-গরম পরিবেশন করুন।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রেস্টুরেন্টে বাসন মাজতেন এই অভিনেত্রী, পরে হয়েছিলেন মন্ত্রীও
বলিউডে নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এক তরুণী। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এয়ার হোস্টেসের ইন্টারভিউ থেকে এই বলে যে তাঁর ‘ব্যক্তিত্ব নেই’। সংসার চালাতে একসময় বাসন মাজতে হয়েছিল রেস্টুরেন্টে। অথচ সেই তরুণীই পরে হয়ে উঠলেন ভারতের টেলিভিশনের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া তারকা। ছিলেন দেশের মন্ত্রী। এ এক অবিশ্বাস্য পথচলা স্মৃতি ইরানির।
টেলিভিশনে সাফল্যের পর রাজনীতির ময়দানেও পা রাখেন স্মৃতি ইরানি। ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়েন। তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অভিনয়ের জনপ্রিয়তা আর ব্যক্তিগত সংগ্রামের অভিজ্ঞতা তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছেও গ্রহণযোগ্য করেছে।শৈশবের দারিদ্র্য আর লড়াই
১৯৭৬ সালে দিল্লিতে জন্ম স্মৃতি মালহোত্রা নামে। তিন বোনের মধ্যে তিনি বড়। বাবা আধা পাঞ্জাবি, আধা মহারাষ্ট্রীয়; মা বাঙালি। সংসারের অবস্থা ছিল শোচনীয়। বাবা আর্মি ক্লাবের বাইরে বই বিক্রি করতেন, মা মসলা বিক্রি করতেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। আয়ের সীমিত টাকায় দিন চলত। কলেজ ছাড়তে হয়েছিল অর্থাভাবে। পরিবারের হাল ধরতে নেমে পড়তে হয় নানা কাজে।
স্বপ্ন ভাঙার দিনগুলো
স্মৃতি প্রথম আলোচিত হন মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে—শীর্ষ ১০-এও পৌঁছেছিলেন। কিন্তু সে জন্য ধার করতে হয়েছিল এক লাখ রুপি। এরপর এয়ার হোস্টেস হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ইন্টারভিউয়ে প্রত্যাখ্যাত হন। কারণ, ‘চেহারায় ব্যক্তিত্ব নেই’।