মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা চীনা আমদানির উপর বিশাল শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। শুক্রবার ট্রুথ সোশ্যালের একটি পোস্টে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানিয়েছেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করার কোনো পরিকল্পনা তার নেই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো জানিয়েছেন, চীন বিশ্বব্যাপী বিরল মৃত্তিকা সম্পর্কিত উৎপাদনের প্রতিটি উপাদানের উপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপের পরিকল্পনা করছে জানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠাচ্ছে।

ট্রাম্প তার পোস্টে লিখেছেন, “আমি কখনো ভাবিনি যে এটি এমন পর্যায়ে আসবে, কিন্তু সম্ভবত, সবকিছুর মতো, সময় এসেছে। অবশেষে, যদিও সম্ভাব্য বেদনাদায়ক, এটি শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য খুব ভালো জিনিস হবে। এই মুহূর্তে আমরা যে নীতিগুলো হিসাব করছি তার মধ্যে একটি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আসা চীনা পণ্যের উপর ব্যাপক শুল্ক বৃদ্ধি। আরো অনেক পাল্টা ব্যবস্থা রয়েছে যা, একইভাবে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।”

তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কোনো আলাপ করেননি। কারণ তার মনে হয়েছে, এ ধরনের আলাপের কোনো প্রয়োজন নেই।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন চাচা, কুপিয়ে মারলেন ভাতিজারা

রাজশাহীর চারঘাটের মোল্লাপাড়া গ্রামের মোস্তফা শেখ (৪৭) আজ মঙ্গলবার দুপুরে দাওয়াত খেতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। তাঁকে বাইরে পেয়ে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাতিজারা তাঁর সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা মোস্তফা শেখের ভাতিজা শফিক শেখ, রফিক শেখ, ফরহাদ শেখ ও কদু শেখ। তাঁদের বাবার নাম রহমতউল্লাহ শেখ। রহমতউল্লাহ সম্পর্কে মোস্তফা শেখের সৎভাই।

এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হবে। জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে ওসি জানান।

স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোস্তফা শেখের বাবা সমেতউল্লাহ শেখের দুই স্ত্রী ছিলেন। এক পক্ষের সন্তান রহমতউল্লাহ শেখ ও অপর পক্ষের সন্তান মোস্তফা শেখ, মুনজিল শেখ, ফজেল শেখ ও এন্দা শেখ। সমেতউল্লাহ শেখ মারা গেলেও তাঁর জমি এখনো সঠিকভাবে ভাগ–বণ্টন হয়নি। জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের বিষয়ে উভয় পক্ষের মামলা আদালতে চলমান। এর মধ্যে দেড় বিঘার একটি পুকুরে চার ভাই মাছ চাষ করলেও রহমতউল্লাহ শেখকে ভাগ দেওয়া হয়নি। পুকুর নিয়ে কয়েক দিন ধরেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রহমতউল্লাহর ছেলেরা পুকুরের ভাগ বুঝে নিতে মোস্তফা শেখের কাছে গেলে তিনি শুক্রবার বসার কথা বলেন। পরে মোস্তফার ভাই মুনজিল বালাদিয়াড় বাজারের দিকে গেলে রহমতউল্লাহর ছেলেরা তাঁকে পিটিয়ে আহত করেন। বেলা ১১টার দিকে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিতে যান মুনজিলের স্বজনেরা। অভিযোগ দেওয়ার কথা শুনে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রহমতউল্লাহর ছেলেরা।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দাওয়াত খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন মোস্তফা শেখ। এ সময় বাড়ির পাশে তাঁর রাস্তা ঘিরে ধরেন চার ভাতিজাসহ কয়েকজন। তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে মোস্তফাকে কোপানো শুরু হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া মোস্তফা শেখের পক্ষের লিটন শেখ, জাদু শেখ ও এনামুল শেখকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছেন। ফলে অভিযোগের বিষয়ে তাঁদের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিনা বেগম নামের স্থানীয় এক নারী বলেন, ওই পরিবারের সদস্যদের জমি নিয়ে ঝামেলা ছিল। মাঝেমধ্যেই তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হতো, পুলিশ আসত। আজ এভাবে একজনকে কুপিয়ে মেরে ফেলা হবে, তা কেউ ভাবতে পারেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ