চট্টগ্রাম বন্দরে বর্ধিত প্রবেশ ফি স্থগিত, পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল শুরু
Published: 19th, October 2025 GMT
চট্টগ্রাম বন্দরে বর্ধিত প্রবেশ ফি স্থগিত করার পর পণ্যবাহী গাড়ির মালিকদের সংগঠনগুলো কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছে। আজ রোববার বন্দর কর্তৃপক্ষ মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর নেতারা গাড়ি না চালানোর কর্মসূচি প্রত্যাহার করলে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে পুরোদমে পণ্য পরিবহন শুরু হয়েছে। এতে বন্দর দিয়ে কনটেইনার ও পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা কাটল।
১৫ অক্টোবর থেকে বন্দরে গড়ে ৪১ শতাংশ মাশুল কার্যকর হয়। এর মধ্যে ভারী যানবাহনের প্রবেশের ফি আগে ছিল ৫৭ টাকা। সেই ফি চার গুণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৩০ টাকা। এরপরই ঘোষণা ছাড়া গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন মালিকেরা। প্রথম তিন দিন আমদানি পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। পরে গতকাল শনিবার থেকে সব ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এ পরিস্থিতিতে আজ দুপুরে বন্দর ভবনে গাড়ি মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে বন্দর চেয়ারম্যানের বৈঠক হয়। বৈঠকে বর্ধিত প্রবেশ ফি স্থগিত করে এক সপ্তাহের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার কথা জানান বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান।
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ওঠানো–নামানোয় অচলাবস্থা১৮ অক্টোবর ২০২৫বৈঠকে উপস্থিত আন্তজিলা মালামাল পরিবহন সংস্থা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রব শ ফ
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে বিউপি শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
সাভারে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিউপি) শিক্ষার্থীকে সঙ্ঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে পৃথকভাবে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
আরো পড়ুন:
শিক্ষকদের ওপর হামলা হলে দায় সরকারের: আজিজী
ইবিতে বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ, নিরাপত্তা শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা
বিকেল ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
এ সময় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ ফয়সাল হোসাইন বলেন, “জুলাই পরবর্তী সময়ে আমরা এখনো আইনের শাসন ও শক্তিশালী বিচার বিভাগ নিশ্চিত করতে পারিনি। যারই ফলশ্রুতিতে দেশে অনবরত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাভারে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার বিচার চাই। ধর্ষণের বিচারকার্য গতিশীল করতে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। ধর্ষণের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরিও আবশ্যক।”
আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহম্মদ বাবর বলেন, “সাভারে বিউপি শিক্ষার্থী গণধর্ষণের প্রতিবাদে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। গত ১৭ বছরের বিচারহীনতার কারণে দেশে ধর্ষণ ও অন্যায়-অনিয়ম অব্যাহত ছিল। জাবিতে ছাত্রলীগের মানিক এবং কিছুদিন আগে মোস্তাফিজ ধর্ষণ করেছিল। জুলাই পরবর্তী সময়ে ইন্টেরিম সরকারের মাধ্যমে আমরা পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু এ সরকারও নারীদের নিরাপত্তা, ন্যায়বিচার ও আইন-শৃঙ্খলা উন্নতি করতে পারেনি। আমরা চাই, অনতিবিলম্বে সাভারের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে।”
অন্যদিকে, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন, অস্বাভাবিক অগ্নিকাণ্ড এবং বিরাজমান অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে জাকসুর ভিপি আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, “আমরা জানতে চাই, আর কত বোন ধর্ষিত ও নিপীড়িত হলে এই সরকার সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থানে যাবে? বিগত সময়ের ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ আমরা যখন কমিয়ে দিয়েছি, তখনই সরকার এ বিষয়ে শিথিল হয়ে পড়েছে। যদি ধর্ষণের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি দৃশ্যমান না হয়, তাহলে আমাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে। আমরা চাই আমাদের মা-বোনরা নিরাপদে নির্বিঘ্নে এ দেশে বসবাস করবেন। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিন- এই দাবি জানাই।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী