কুষ্টিয়ায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
Published: 19th, October 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় নিজের বসতঘরের বারান্দায় মোশারফ হোসেন মুসা (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শনিবার (১৮ অক্টোবর) মধ্যরাতের কোনো এক সময় সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের শান্তিডাঙ্গা গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদি হাসান জানান, নিহত ব্যক্তির বুকে হাঁসুয়া জাতীয় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় নেশার টাকা জন্য মামাত বোন ও ভাগ্নেকে খুন: পুলিশ
কক্সবাজারে ফুফাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামাতো ভাই হত্যার অভিযোগ
নিহত মোশারফ একই এলাকার মৃত আকবর মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন। শনিবার রাতে বসতঘরের বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার মধ্যরাতের কোনো এক সময় সন্ত্রাসীরা মোশারফকে কুপিয়ে হত্যা করে। ভোরে পরিবারের লোকজন বাইরে বের হয়ে মোশারফের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান।
নিহতের মেয়ে শিখা বলেন, ‘ভ্যান চুরির জন্য আমার বাবাকে এভাবে হত্যা করা হয়নি। পূর্বশত্রুতার জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছ।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ
এছাড়াও পড়ুন:
ভিক্ষা চাইতে বাড়িতে সাত নারী, প্রবাসীর স্ত্রীকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার লুট
দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে ভিক্ষা চাইতে আসেন সাত নারী। বাড়িতে এসেই তাঁদের কেউ পানি আবার কেউ শৌচাগার ব্যবহারের অনুমতি চান। এভাবে কথা বলার এক ফাঁকে কৌশলে প্রবাসীর স্ত্রীকে অচেতন করে চক্রটি। এরপর স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান তাঁরা।
গত বৃহস্পতিবার দুপরে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সাবেকগুলদি এলাকা এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূর নাম শারমিন জান্নাত। এ ঘটনায় মামলার পর গতকাল মধ্যরাত থেকে আজ দুপুরের পৃথক অভিযানে এই চক্রের আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে যাওয়া আটজনের মধ্যে সাতজন নারী। তাঁরা হলেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদপুরের রেনু বেগম (৬০), তাঁর মেয়ে মুক্তা বেগম (৩৮), শ্রীকালিয়া গ্রামের রৌশন আরা বেগম (৬০), ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কাছিয়াড়া গ্রামের গোলাপী বেগম (৫৮), তাঁর স্ত্রী রুবি বেগম (৩৭), একই এলাকার কাকলী বেগম (২৫) ও কুমিল্লা জেলার বরুড়া পৌরসভার মনিপুর গ্রামের শেফালী বেগম (৪৫)। আরেকজন হলের একই জেলার মতলব দক্ষিণ থানার নায়েরগাঁও গ্রামের সেলিম উদ্দিন (৪০)।
পুলিশ জানায়, রেনু বেগমের নেতৃত্বে আটজনের চক্রটি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। সেখানে থেকে তাঁরা সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করেন। নারীপ্রধান পরিবার বা স্বামী প্রবাসে থাকেন, এমন তথ্য নিশ্চিত হলে কৌশলে পানি খেতে চেয়ে বা শৌচাগার ব্যবহারের অনুমিত চেয়ে বসতঘরে ঢোকেন। বাসায় কেউ না থাকলে গৃহবধূকে অজ্ঞান করে তাঁর পরনে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করেন।
জানতে চাইলে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ভিক্ষার আড়ালে কৌশলে চুরি করে এই চক্রটি। চক্রের সদস্যরা নারী হওয়ায় সহজে যেকোনো বসতঘরে ঢুকে যেতে পারেন। আর সুযোগ বুঝে অজ্ঞান করে সোনা, নগদ টাকা ও অন্যান্য দামি জিনিসপত্র লুট করেন।