রাজধানীর একটি বাসা থেকে এক নারী গণমাধ্যমকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নতুন অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা স্ট্রিমের কর্মী ছিলেন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানা গেছে।

রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীর পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ ওই হাসপাতাল থেকে গতকাল তাঁর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে, তাঁর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তাঁর পরিবার এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।

ওই নারী অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা স্ট্রিমে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ঢাকা স্ট্রিমের বাংলা কনটেন্ট এডিটর আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে যৌননিপীড়নের অভিযোগকারীদের মধ্যে তিনিও ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যে জানা যায়।

এ ব্যাপারে আলতাফ শাহনেওয়াজের সঙ্গে কথা যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজ পাঠিয়েও কোনো ফিরতি বার্তা মেলেনি।

যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে শাস্তির পরিবর্তে চাকরিতে পুনর্বহাল করার কথা বলা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ঢাকা স্ট্রিমের প্রধান সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ এ নিয়ে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, পুরো ঘটনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে।

ঢাকা স্ট্রিমের সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ গত ৯ ফেব্রুয়ারি এবং আলতাফ শাহনেওয়াজ ১৬ মে প্রথম আলো থেকে পদত্যাগ করেছেন।

ঢাকা স্ট্রিমের বিবৃতি

বিকেল চারটার দিকে ঘটনার বিষয়ে ঢাকা স্ট্রিমের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের ব্যবস্থাপক পি এম সজল আহমেদের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে ১৩ জুলাই অভিযোগপত্র জমা পড়ে। পরে আলতাফ শাহনেওয়াজকে বার্তাকক্ষ থেকে প্রত্যাহার করা হয় এবং অভিযোগ তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে সহকর্মীদের সঙ্গে আলতাফ শাহনেওয়াজের কিছু ক্ষেত্রে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তাঁকে বার্তাকক্ষ থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এসব সিদ্ধান্তে কর্মীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। ওই নারীর নাম উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। তিন মাস আগের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র পর ব

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে নারী গণমাধ্যমকর্মীর লাশ উদ্ধার

রাজধানীর একটি বাসা থেকে এক নারী গণমাধ্যমকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি নতুন অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা স্ট্রিমের কর্মী ছিলেন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানা গেছে।

রাজধানীর শেরেবাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাউল হক প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীর পরিবারের লোকজন ঘরের দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। পুলিশ ওই হাসপাতাল থেকে গতকাল তাঁর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে, তাঁর মৃত্যু কীভাবে হয়েছে। তাঁর পরিবার এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।

ওই নারী অনলাইন সংবাদমাধ্যম ঢাকা স্ট্রিমে গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি ঢাকা স্ট্রিমের বাংলা কনটেন্ট এডিটর আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে যৌননিপীড়নের অভিযোগকারীদের মধ্যে তিনিও ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যে জানা যায়।

এ ব্যাপারে আলতাফ শাহনেওয়াজের সঙ্গে কথা যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজ পাঠিয়েও কোনো ফিরতি বার্তা মেলেনি।

যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে শাস্তির পরিবর্তে চাকরিতে পুনর্বহাল করার কথা বলা হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ঢাকা স্ট্রিমের প্রধান সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ এ নিয়ে আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, পুরো ঘটনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে।

ঢাকা স্ট্রিমের সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ গত ৯ ফেব্রুয়ারি এবং আলতাফ শাহনেওয়াজ ১৬ মে প্রথম আলো থেকে পদত্যাগ করেছেন।

ঢাকা স্ট্রিমের বিবৃতি

বিকেল চারটার দিকে ঘটনার বিষয়ে ঢাকা স্ট্রিমের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের ব্যবস্থাপক পি এম সজল আহমেদের স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে ১৩ জুলাই অভিযোগপত্র জমা পড়ে। পরে আলতাফ শাহনেওয়াজকে বার্তাকক্ষ থেকে প্রত্যাহার করা হয় এবং অভিযোগ তদন্তে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে সহকর্মীদের সঙ্গে আলতাফ শাহনেওয়াজের কিছু ক্ষেত্রে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তাঁকে বার্তাকক্ষ থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়। এসব সিদ্ধান্তে কর্মীরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। ওই নারীর নাম উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে আলতাফ শাহনেওয়াজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনো সম্পর্ক নেই। তিন মাস আগের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ