বলিউডের একসময়ের আলোচিত অভিনেত্রী পারভিন ববি। অভিনেত্রী হিসেবে তিনি ছিলেন দারুণ সমাদৃত; তবে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন ছিল দুঃখে ভরা। অভিনেত্রীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেছেন পূজা বেদি। সম্প্রতি সিদ্ধার্থ কান্নানের পডকাস্টে হাজির হয়ে পারভিন ববিকে নিয়ে কথা বলেন তিনি।
পূজা বেদি স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘অনেক বছর পর পারভিন দেশে ফিরে এসেছিলেন। সবাই বলছিল কিছু ঠিক নেই। আমি তার বাড়িতে গিয়েছিলাম। সে দরজা খুলল, কিন্তু চেহারা একেবারেই ভিন্ন ছিল—ওজন বড়ে গেছে, চুল ঝরঝরে।’ সেদিন পারভিন পূজাকে দেখে আনন্দিত ছিলেন। পূজা বলেন, ‘সে আমাকে দেখে এত খুশি হলো। তারপর আমাকে বড় করে আলিঙ্গন করল। প্রথমে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল।’

কিন্তু কিছুক্ষণ পরই সবকিছু বদলে গেল। পূজা সেই ক্ষণটা মনে করেন বলেন, ‘হঠাৎই পারভিন বলল, “দুঃখিত, আমি আপনাকে কিছু দিতে পারি না, কারণ আমি কেবল ডিম খাই।”’ পূজা জিজ্ঞাসা করেন কেন কেবল ডিম? পারভিন বলেন, ‘এটাই একমাত্র জিনিস, যা তারা বিষাক্ত করতে পারবে না।’ কে তারা? পারভিন উত্তর দেন, ‘সিক্রেট সার্ভিস বা এফবিআই।’

পারভিন ববি। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে হাজারো মোটরসাইকেল নিয়ে মহাসড়কে শোভাযাত্রা

কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে হাজারো মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করেছেন তরুণেরা। আজ শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকার হোটেল নুরজাহানের সামনে থেকে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি মহাসড়কের কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর হয়ে আবার পদুয়ার বাজারে আসে। পরে সেখান থেকে নগরের কান্দিরপাড় পূবালী চত্বরে এসে শেষ হয়।

এর আগে দুপুরে জুমার নামাজের পর থেকেই কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে মোটরসাইকেল নিয়ে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় জড়ো হন তরুণেরা। তাঁরা এটিকে কুমিল্লার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বলে দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি, অরাজনৈতিক এ শোভাযাত্রায় কুমিল্লার প্রতি ভালোবাসা থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বাইকার জড়ো হন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তরুণেরা বলছেন, একটি বিভাগ হওয়ার জন্য যাবতীয় যোগ্যতা থাকার পরও যুগের পর যুগ ধরে কুমিল্লাকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। যখনই কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার সময় হয়, তখনই শুরু হয়ে যায় ষড়যন্ত্র। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে যখন কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই শুরু হয়েছে নতুন ষড়যন্ত্র। তবে এবার আর ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না। বিভাগ ছাড়া ঘরে ফিরবে না কুমিল্লাবাসী।

শোভাযাত্রার সময় তরুণদের ‘দাবি মোদের একটাই, কুমিল্লার নামে বিভাগ চাই’, ‘তুমি কে আমি কে, কুমিল্লা কুমিল্লা’, ‘মিল্লা জিল্লা, কুমিল্লা কুমিল্লা’, ‘কুমিল্লা বিভাগ, কুমিল্লা বিভাগ’ স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। কারও কারও হাতে, মোটরসাইকেলে ও বুকে ছিল জাতীয় পতাকা। এই মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে অনেকেই দোকানপাটের সামনে দাঁড়িয়ে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম (মিঠু) বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা অতীতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দায়িত্বে থেকে তাঁর ব্যক্তিগত আক্রোশে কুমিল্লা নামে বিভাগ হতে দেননি। শেখ হাসিনা কুমিল্লাকে ‘কু’ বলে অপমান করেছেন। এই অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে যখন কুমিল্লা বিভাগ ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে, ঠিক তখনই শুরু হয়েছে নতুন ষড়যন্ত্র। তবে কুমিল্লাবাসীর দাবির মুখে কোনো ষড়যন্ত্রই টিকবে না। এই কুমিল্লা ছিল ত্রিপুরার রাজধানী। টালবাহানা করে কুমিল্লাকে আর দাবিয়ে রাখার সুযোগ নেই।

শিহাব উদ্দিন নামের এক তরুণ বলেন, হাজারো ঐতিহ্যে ভরা কুমিল্লা যখনই বিভাগ ঘোষণার দ্বারপ্রান্তে যায়, তখনই নানা মহল থেকে ষড়যন্ত্র শুরু করে। নোয়াখালীসহ বৃহত্তর কুমিল্লার ছয়টি জেলার বিভিন্ন দপ্তরের ৪২টি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লায়। অবিলম্বে কুমিল্লা নামে বিভাগ চাই। দ্রুত বিভাগের ঘোষণা না এলে কঠোর কর্মসূচি পালন করবে কুমিল্লার মানুষ।

দেলোয়ার হোসেন নামের আরেকজন বলেন, ‘আজ কুমিল্লার তরুণেরা পাঁচ হাজারের বেশি মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রা করেছেন। এটা কুমিল্লার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। এটা থেকেই বোঝা যায় যে কুমিল্লার তরুণ সমাজ বিভাগের দাবিতে কতটা ঐক্যবদ্ধ। আমাদের আর ষড়যন্ত্র করে দাবিয়ে রাখা যাবে না। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিভাগ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শহীদ জিয়া হল : ইতিহাস, ষড়যন্ত্র আর আনিসুল ইসলাম সানির সংগ্রাম
  • নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবিতে বসুরহাটে ব্লকেড, বিক্ষোভ সমাবেশ
  • অভিমত-কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড: দুর্ঘটনা, নাকি ষড়যন্ত্র—খতিয়ে দেখতে হবে
  • জনগণ বিশ্বাস করে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত: ফখরুল
  • ‘ষড়যন্ত্র করে আর কুমিল্লা বিভাগ আটকে রাখা যাবে না’
  • কুমিল্লা বিভাগের দাবিতে হাজারো মোটরসাইকেল নিয়ে মহাসড়কে শোভাযাত্রা
  • ‘নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে হাসিনা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছেন’