নীলফামারীর ইপিজেডে বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ
Published: 27th, October 2025 GMT
নীলফামারীর উত্তরা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) বন্ধ হওয়া চারটি কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছে। তারা কারখানা বন্ধের প্রতিবাদ এবং চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
বেতন ও বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা আন্দোলনের মুখে রবিবার (২৬ অক্টোবর) চারটি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে এএ ইয়ার্ন মিলস বন্ধ ঘোষণা
‘শ্রমজীবী মানুষের রেশন ও পেনশনের নিশ্চয়তা রাষ্ট্রকে দিতে হবে’
বন্ধ ঘোষণা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, দেশবন্ধু টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, ইপিএফ প্রিন্ট লিমিটেড, মেইগো বাংলাদেশ লিমিটেড এবং সেকশন সেভেন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড।
প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণার পর সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে শ্রমিকরা পুনরায় ইপিজেড এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
শ্রমিকদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে ইপিজেড এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘‘আমাদের ভেতর অনেকে বেতন বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছিল। আমি এই আন্দোলনে ছিলাম না। এখন হঠাৎ কারখানা বন্ধ হয়ে গেল। এখন পরিবার নিয়ে কীভাবে চলব বুঝতে পারছি না।”
স্থানীয় বাসিন্দা আরমান হোসেন বলেন, ‘‘এই শ্রমিক কোনো কথা-বার্তা নেই, কিছু হলে আন্দোলন করে। এরা কাজ করতে আসে না, আন্দোলন করতে আসে। এই ইপিজেড কেন্দ্রিক বিভিন্ন ব্যবসা করি আমরা। লোন নিয়ে এই ব্যবসা করি। কোম্পানিগুলো বন্ধ হয়ে গেলে আমরা কীভাবে চলব?’’
ঢাকা/সিথুন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জনগণের সেবা নিশ্চিত করতেই মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সমন্বয় করছি : ডিসি
নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সংযোগস্থল সাইনবোর্ড মোড়ে জননিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদারে নির্মিত পুলিশ বক্সের স্থান পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো: জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে তিনি পুলিশ বক্সের স্থান পরিদর্শন করে। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দীন ।
নবনির্মিত এই পুলিশ বক্সটি সাইনবোর্ড এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, এটি শুধু একটি বক্স নয়, এটি একটি আস্থার প্রতীক। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতেই আমরা মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সমন্বয় করছি।
পুলিশ সুপার জসীম উদ্দীন বলেন, এই পয়েন্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে সার্বক্ষণিক পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। নিরাপত্তা জোরদারে এটি বড় ভূমিকা রাখবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী, নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা শিরীন, টিআই (প্রশাসন) আব্দুল করিম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর আলম, সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাসান উল্লাহ মজুমদারসহ জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।