বাংলাদেশকে একসময় সারা পৃথিবীর মানুষ চিনত প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হিসেবে। সাইক্লোন, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস—এসবই যেন বাংলাদেশের ভাগ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকত একটা সময়। বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ, নানা রকম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আপ্রাণ প্রচেষ্টা এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী বন্ধুদেশগুলোর প্রতিনিয়ত আন্তরিক সাহায্য–সহযোগিতায় বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের অনেকটাই এখন সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করতে শিখেছে।

সাইক্লোন, বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসকে বিভিন্ন সময়ে মোকাবিলা করতে শিখলেও বাংলাদেশের জন্য একটি অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে দিন দিন আমাদের আরও শঙ্কায় ফেলে দিচ্ছে বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের প্রাদুর্ভাব ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে তা মোকাবিলা করতে অপারগ হওয়া। কোনো কোনো সময় আমরা রাষ্ট্রযন্ত্রের অসহায় আত্মসমর্পণ দেখি, যা জনমনে হতাশা ও ক্ষোভের জন্ম দেয়।

বাংলাদেশে আগুন এখন আর বিরল ঘটনা নয়; বরং একটি অচেনা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। গত কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকার মিরপুর, চট্টগ্রাম ইপিজেড ও বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আমরা দেখেছি, মিরপুরের একটি গার্মেন্টস কারখানা ও রাসায়নিক গুদামে ভয়াবহ আগুনে বহু শ্রমিক নিহত ও আহত হন। এর আগের বছর ঢাকার বেইলি রোডের শপিং মলে আগুনে প্রাণ হারান ৪৬ জন। ২০২৩ সালে বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ড হাজারো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর জীবিকা ছিন্নভিন্ন করে দেয়।

আরও পড়ুনআগুনের বাংলাদেশ থেকে রক্ষার ব্যাপারে ইশতেহারে কি কিছু দেখব? ২৫ অক্টোবর ২০২৫

প্রতিবারই একই দৃশ্য—শোক, তদন্ত কমিটি, আশ্বাস এবং অবশেষে নীরবতা। এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় রাষ্ট্রের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান যখন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়, তখনই প্রশ্ন জাগে—এগুলো কি একধরনের কাঠামোগত সহিংসতা বা স্ট্রাকচারাল ভায়োলেন্স নয়? এ ঘটনাগুলো আদতে কোনো দুর্ঘটনা নয়, এগুলো আমাদের সমাজের গভীরে প্রোথিত কাঠামোগত সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ। সেই আলাপে যাওয়ার আগে একটু দেখে নেওয়া প্রয়োজন স্ট্রাকচারাল ভায়োলেন্স বলতে আসলে কী বোঝানো হয়? কেন আমরা বর্তমানের অগ্নিকাণ্ডগুলো স্ট্রাকচারাল ভায়োলেন্সের সঙ্গে যুক্ত করে দেখতে চাই।

নরওয়ের বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানী জোহান গালটাং কাঠামোগত সহিংসতার ধারণাটি দেন, যেখানে তিনি বলেন, কী করে সামাজিক বা প্রাতিষ্ঠানিক বিভিন্ন নীতিমালার সীমাবদ্ধতা কিংবা যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে সমাজের মানুষের সুযোগ বা নিরাপত্তাবঞ্চিত হয়, তখন তাকে কাঠামোগত সহিংসতা হিসেবে দেখা হয়। অর্থাৎ বিদ্যমান সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামো সমাজের মানুষকে ধীরে ধীরে নানাবিধ ক্ষতির সামনে দাঁড় করায়।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এর সঙ্গে যুক্ত হয় অপরিকল্পিত ও দ্রুত নগরায়ণ, সস্তা শ্রমনির্ভর অর্থনীতি ও দলীয় পৃষ্ঠপোষকতার রাজনীতি। আমরা যদি বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের দিকে তাকাই, তাহলে দেখতে পাই, সেখানে রয়েছে নীতিমালাবহির্ভূত বা অবৈধ নানাবিধ স্থাপনা তৈরির ইতিহাস। এর সঙ্গে যুক্ত হয় অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি ও দক্ষতার অভাব। যার পরোক্ষ বলি হয় দেশের সাধারণ জনতা। যাকে শেষ পর্যন্ত আখ্যায়িত করা হয় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা হিসেবে।

আমরা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উন্নত মানের ও আধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার অভাব লক্ষ করি। উন্নত বিশ্বে যেমন ড্রোন ও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি কার্যকর অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা গড়ে তোলে, আমাদের এখানে তার ছিটেফোঁটাও লক্ষ করা যায় না। বিশেষ করে ঢাকা শহরের মতো একটি ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে কী করে কার্যকরভাবে অগ্নিনির্বাপণ করা যায়, সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মীদের যেমন উচ্চতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার।

জুলাইয়ে মাইলস্টোন স্কুলের ওপর ভেঙে পড়া প্রশিক্ষণ বিমানের পরিপ্রেক্ষিতে বলেছিলাম, ‘আবারও মৃত্যুর মিছিল আমরা ভুলে যাই, মায়াকান্নায় প্রতিকার হারিয়ে যায়।’ প্রতিটি দুর্ঘটনার পর শুরু হয় এক চেনা প্রহসন—সংবাদ সম্মেলন, তদন্ত কমিটি, ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এমন মায়াকান্নায় সব প্রতিকার হারিয়ে যায় ফাইলের স্তূপে। আর দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় হারিয়ে যাওয়া মানুষ পরিণত হয় পরিসংখ্যানে। দেশের মানুষও ধীরে ধীরে সেই দুর্ঘটনাগুলোকে এবং হারিয়ে যাওয়া মানুষকেও সময়ের সঙ্গে ভুলে যায়। আবার যখন নতুন করে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তখন আমরা এ নিয়ে বিস্তর আলাপ জুড়ে দেই, কিন্তু এ সমস্যার সমাধানের মৌলিক এবং দীর্ঘমেয়াদি কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখি না।

তাই নৃবিজ্ঞানী বীণা দাস এ ধরনের প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, ‘এভরিডে ব্যুরোক্রেসিস ভায়োলেন্স’—আমলাতন্ত্রের প্রতিদিনকার সহিংসতা, যা নীরব, কিন্তু গভীর। যেখানে কেবল অবহেলাই নয়; বরং রাজনৈতিক ও নৈতিক ব্যর্থতাই প্রধান। এখানে অখিল গুপ্তের ‘রেড টেপ’ নামের একটি বইয়ের প্রাসঙ্গিকতাও নিয়ে আসা যায়। তিনি যুক্তি তুলে ধরেন, কীভাবে আমলাতন্ত্রের বিদ্যমান জটিলতা আরও বৈষম্য ও দুর্ভোগ তৈরি করে। যেখানে গরিব মানুষ সচরাচর নিরাপত্তার বাইরে থাকে, আর অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে যে নাগরিক ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, সেটি তাদের নানামুখী অনিশ্চিত বিপদের দিকে ঠেলে দেয়।

সমাজবিজ্ঞানী মাইক ডেভিস তাই বলেছিলেন, ‘আরবানাইজেশন অব রিস্ক’, অর্থাৎ ঝুঁকির নগরায়ণ। বাংলাদেশে অগ্নিকাণ্ড সাম্প্রতিক সময়ে আধুনিক নগরায়ণের অন্যতম একটি ঝুঁকি হিসেবে পরিণত হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে নগরের আবাসিক এলাকায় স্থাপিত কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, যার বেশির ভাগই নিয়মবহির্ভূতভাবে নগরের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে অনেক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও সাম্প্রতিক সময়ে ঘটেছে।

আরও পড়ুনএ শহরে আগুনে পুড়ে মানুষ মরে, আমাদের কোনো অনুভূতি নেই১৫ অক্টোবর ২০২৫

আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি না থাকার কারণে অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ দুর্যোগের পরেও আমরা কোনো প্রতিকার দেখতে পাই না। যে কারণে নানা সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাসগুলো কেবলই মায়াকান্নার ডামাডোলে আড়ালে হারিয়ে যায়।

অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা সাধারণ মানুষের মনকে কাঁদিয়ে গেলেও এই কাঠামোগত সহিংসতাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। যা শেষ হয় নিয়তিকে দোষারোপ করার মধ্য দিয়ে, যেখানে ব্যক্তি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক ভুলকে বারবার এড়িয়ে যাওয়া হয়। আর দায়মুক্ত থেকে যায় আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক কাঠামো। এর সঙ্গে আমলাতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক ব্যর্থতাগুলো বারবার সামনে চলে এলেও তাঁদের জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা আমরা গড়ে তুলতে পারিনি।

ফলে শক্তিশালী প্রতিরোধমূলক ও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা অগ্নিকাণ্ড নিরসনের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা গড়ে তুলতে পারিনি, যা আমাদের জন্য একটি লজ্জা ও হতাশার বিষয়। প্রতিটি অগ্নিকাণ্ড কেবল একটি দুর্ঘটনা নয়, এটি আমাদের সামাজিক নিরাপত্তার এক ব্যর্থতার প্রতীক এবং কাঠামোগত সহিংসতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। তাই এভাবে দায় এড়িয়ে যাওয়ার যে সংস্কৃতি আমাদের সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাজনৈতিক পরিসরে গড়ে উঠেছে, তার বদল ঘটানোর এখনই সময়।

সামনেই আমাদের জাতীয় নির্বাচন। সে নির্বাচন সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে জনগণের সামনে আসবে। বড় রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিএনপির কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, তারা যেন অগ্নিকাণ্ডসহ এ ধরনের কাঠামোগত সহিংসতা মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা তাদের রাজনৈতিক ইশতেহারে নিয়ে আসে। অনুসন্ধান ও উদ্ধারবিষয়ক কর্তৃপক্ষকে আরও আধুনিকায়নের মধ্য দিয়ে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের দক্ষতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা হাতে নিতে হবে।

আমরা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের উন্নত মানের ও আধুনিক প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার অভাব লক্ষ করি। উন্নত বিশ্বে যেমন ড্রোন ও উন্নত প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি কার্যকর অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা গড়ে তোলে, আমাদের এখানে তার ছিটেফোঁটাও লক্ষ করা যায় না। বিশেষ করে ঢাকা শহরের মতো একটি ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে কী করে কার্যকরভাবে অগ্নিনির্বাপণ করা যায়, সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস বিভাগের কর্মীদের যেমন উচ্চতর প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে, তেমনি রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার।

তাদের কাছে আমাদের আরও দাবি থাকবে, যেন একটি সহজ আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রতি তারা যত্নশীল হয়, যেখানে অগ্নিনির্বাপণ আইন প্রয়োগে তারা কঠোর ও জনমুখী হবে। আমরা আশা করব, সামনের দিনে কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে একটি শক্তিশালী অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে কাজ করবে। কেননা, তারাই বাংলাদেশের ভবিষ্যতের রাষ্ট্রকাঠামো পরিচালনা করবে।

বুলবুল সিদ্দিকী অধ্যাপক, রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক ক র যকর দ র ঘটন ব যবস থ আম দ র আমল ত

এছাড়াও পড়ুন:

বাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবিতে অনশনে শিক্ষার্থী

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে অনশন শুরু করেছেন এক শিক্ষার্থী। গত দুইদিন ধরে কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তিনি এ কর্মসূচি পালন করছেন।

তিনি হলেন, কলেজে ইতিহাস বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী ফেরদৌস রুমি।

আরো পড়ুন:

বরিশালে ডেঙ্গুতে দুইজনের মৃত্যু

বরিশালে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজা

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ফেরদৌস রুমি বলেন, “৩২ হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখর বিএম কলেজ। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ছাত্রদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু ২৪ বছর ধরে কলেজটিতে নির্বাচন হচ্ছে না। ছাত্র সংসদ না থাকায় শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখতে পারছে না বাকসু।”

তিনি বলেন, “নির্বাচনের দাবিতে ১ মাসের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো কর্ণপাত করছে না। তাই বাধ্য হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করেছি। নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করা পর্যন্ত এ অনশন চলবে।”

এ ব্যাপারে সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ড. শেখ মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে শিক্ষকদের নিয়ে একটি প্রাথমিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

গত ২৩ অক্টোবর বাকসু নির্বাচনের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের দুইটি ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বিএম কলেজের ছাত্র সংসদ শুধু নেতৃত্ব নয়, এটি ছিল শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ের অন্যতম মাধ্যম। অথচ দীর্ঘ ২ যুগ ধরে প্রশাসন নির্বাচন দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

ঢাকা/পলাশ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ