Risingbd:
2025-11-17@17:29:37 GMT

আমদানি খরচ কমাতে নতুন সুবিধা

Published: 15th, January 2025 GMT

আমদানি খরচ কমাতে নতুন সুবিধা

পণ্য আমদানিতে বিদেশি সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্টের প্রয়োজনীয় ইনভয়েসের বিপরীতে ডলারের মূল্যসীমা বাড়িয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ এলসি-সংক্রান্ত বিষয় অনলাইনে দেওয়া হবে। এর ফলে একদিকে এলসির লেনদেন জটিলতা কমবে, আমদানি সহজ হবে, এতে খরচ কমবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক দুটি সার্কুলারের মাধ্যমে আমদানিতে এসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, ইনভয়েসের বিপরীতে ডলারের মূল্যসীমা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে সরাসরি বিদেশ থেকে ইস্যু করা প্রো ফর্মা ইনভয়েসের বিপরীতে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানির জন্য বিদেশি সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট প্রয়োজন হবে না। স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ইনডেন্টের বিপরীতে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের আমদানির জন্যও এসব রিপোর্ট লাগবে না। আগে প্রো ফর্মা ইনভয়েসের বিপরীতে ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ইনডেন্টের বিপরীতে ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

প্রো ফর্মা ইনভয়েসের হল প্রাথমিক বিল, যা পণ্য সরবরাহ বা রপ্তানি করার পূর্বে আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারকের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের পরিমাণ, ইউনিট প্রাইজ, পেমেন্ট ও ডেলিভারি টার্মস, কান্ট্রি অব অরিজিন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে একমত হয়ে অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে রপ্তানিকারক যে চালান তৈরি করে আমদানিকারকের নিকট পাঠায়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট মেয়াদ থাকার মধ্যে একবার নেওয়া যাবে। ব্যাংকগুলো একটি রিপোর্টের জন্য একাধিকবার সংগ্রহ খরচ পরিশোধ করতে পারবে না। ব্যাংকগুলো ওই সরবরাহকারীর কাছ থেকে আমদানি করা সব আমদানিকারকের জন্য রিপোর্টটি ব্যবহার করতে পারবে।

নির্দেশনায়, ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকদের জন্য যুক্তিসঙ্গত সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। অন্য ব্যাংক থেকে আমদানিকারকরা যে ক্রেডিট রিপোর্ট নেবে, সেটিও গ্রহণযোগ্য হবে।

অপর এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ লেনদেন পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে এলসি সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগের জন্য ইলেকট্রনিক অপশন প্রবর্তনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে করে এলসি ট্রান্সমিশন, অ্যাডভাইজিং, উপস্থাপন, বিলে সইসহ অন্যসব যোগাযোগ ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় করতে পারবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি ক্রেডিট রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য ২০০ মার্কিন ডলারের অধিক ব্যয় হয়। ক্রেডিট রিপোর্ট সংগ্রহের লিমিট বাড়ানো এবং একই রিপোর্ট বারবার ব্যবহারের ফলে আমদানি ব্যয় কিছুটা কমবে। অন্যদিকে, ব্যাক টু ব্যাক ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে লেনদেনের জটিলতা কমবে।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরবর হ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%

এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের

থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এফএওর সূচক কমেছে

প্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের

অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানায় সমাবেশ 
  • সরবরাহ বাড়ছে শীতের আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির, কমছে দাম
  • গ্রিস থেকে গ্যাস আমদানিতে সম্মত ইউক্রেন: জেলেনস্কি
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
  • ইউক্রেনের হামলা: নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রপ্তানি বন্ধ করল রাশিয়া
  • চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে