Risingbd:
2025-10-03@11:33:33 GMT

আমদানি খরচ কমাতে নতুন সুবিধা

Published: 15th, January 2025 GMT

আমদানি খরচ কমাতে নতুন সুবিধা

পণ্য আমদানিতে বিদেশি সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্টের প্রয়োজনীয় ইনভয়েসের বিপরীতে ডলারের মূল্যসীমা বাড়িয়ে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে ‘ব্যাক টু ব্যাক’ এলসি-সংক্রান্ত বিষয় অনলাইনে দেওয়া হবে। এর ফলে একদিকে এলসির লেনদেন জটিলতা কমবে, আমদানি সহজ হবে, এতে খরচ কমবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক দুটি সার্কুলারের মাধ্যমে আমদানিতে এসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, ইনভয়েসের বিপরীতে ডলারের মূল্যসীমা বাড়ানো হয়েছে। এখন থেকে সরাসরি বিদেশ থেকে ইস্যু করা প্রো ফর্মা ইনভয়েসের বিপরীতে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানির জন্য বিদেশি সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট প্রয়োজন হবে না। স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ইনডেন্টের বিপরীতে ৪০ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের আমদানির জন্যও এসব রিপোর্ট লাগবে না। আগে প্রো ফর্মা ইনভয়েসের বিপরীতে ১০ হাজার মার্কিন ডলার এবং স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ইনডেন্টের বিপরীতে ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

প্রো ফর্মা ইনভয়েসের হল প্রাথমিক বিল, যা পণ্য সরবরাহ বা রপ্তানি করার পূর্বে আমদানিকারক এবং রপ্তানিকারকের মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো পণ্যের পরিমাণ, ইউনিট প্রাইজ, পেমেন্ট ও ডেলিভারি টার্মস, কান্ট্রি অব অরিজিন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা সাপেক্ষে একমত হয়ে অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে রপ্তানিকারক যে চালান তৈরি করে আমদানিকারকের নিকট পাঠায়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট মেয়াদ থাকার মধ্যে একবার নেওয়া যাবে। ব্যাংকগুলো একটি রিপোর্টের জন্য একাধিকবার সংগ্রহ খরচ পরিশোধ করতে পারবে না। ব্যাংকগুলো ওই সরবরাহকারীর কাছ থেকে আমদানি করা সব আমদানিকারকের জন্য রিপোর্টটি ব্যবহার করতে পারবে।

নির্দেশনায়, ব্যাংকগুলোকে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকদের জন্য যুক্তিসঙ্গত সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। অন্য ব্যাংক থেকে আমদানিকারকরা যে ক্রেডিট রিপোর্ট নেবে, সেটিও গ্রহণযোগ্য হবে।

অপর এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ লেনদেন পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে এলসি সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগের জন্য ইলেকট্রনিক অপশন প্রবর্তনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে করে এলসি ট্রান্সমিশন, অ্যাডভাইজিং, উপস্থাপন, বিলে সইসহ অন্যসব যোগাযোগ ইলেকট্রনিক ব্যবস্থায় করতে পারবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতিটি ক্রেডিট রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য ২০০ মার্কিন ডলারের অধিক ব্যয় হয়। ক্রেডিট রিপোর্ট সংগ্রহের লিমিট বাড়ানো এবং একই রিপোর্ট বারবার ব্যবহারের ফলে আমদানি ব্যয় কিছুটা কমবে। অন্যদিকে, ব্যাক টু ব্যাক ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে লেনদেনের জটিলতা কমবে।

ঢাকা/এনএফ/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সরবর হ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে আইনি ব্যবস্থা নিন

কৃষি বিভাগ যখন উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে চাষিদের ডিএপি (ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট) সার ব্যবহারে উৎসাহিত করছে, ঠিক তখনই মাঠপর্যায়ের চিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। রাজশাহী অঞ্চলের কৃষকেরা সরকারি নির্ধারিত দামে এই সার পাচ্ছেন না। অভিযোগ উঠেছে, পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও পরিবেশকেরা (ডিলার) কৃত্রিম সংকট তৈরি করে প্রান্তিক চাষিদের বাধ্য করছেন খোলাবাজার থেকে তিন গুণ বেশি দামে সার কিনতে। এই পরিস্থিতি কেবল কৃষকের উৎপাদন খরচই বাড়াচ্ছে না, বরং সরকারের কৃষি সহায়তা কর্মসূচির উদ্দেশ্যকেই ম্লান করে দিচ্ছে।

রাজশাহী জেলার জন্য সেপ্টেম্বর মাসে ২ হাজার ৫২১ মেট্রিক টন ডিএপি সার বরাদ্দ করা হয়েছিল। কৃষি বিভাগ বারবার সারের পর্যাপ্ত সরবরাহের দাবি জানালেও কৃষকেরা ডিলারদের গুদামে গিয়ে ‘সরবরাহ শেষ’ এই অজুহাত শুনছেন। অন্যদিকে স্থানীয় খুচরা দোকানগুলোতে ‘বাংলা ডিএপি’ প্রতি বস্তা ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে সরকার নির্ধারিত মূল্য মাত্র ১ হাজার ৫০ টাকা। অর্থাৎ, চাষিরা প্রতি বস্তায় প্রায় ১ হাজার ২৫০ টাকা বেশি দিতে বাধ্য হচ্ছেন।

এই সংকট স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে তদারকির অভাবে সরকারি ভর্তুকির সার ডিলারদের গুদাম থেকে সরাসরি খুচরা বিক্রেতা ও কালোবাজারিদের হাতে চলে যাচ্ছে। তানোরের এক ডিলারের গুদামে সার থাকা সত্ত্বেও একজন কৃষককে ‘ইউরিয়া ছাড়া আর কোনো সার নেই’ বলে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনা কেবল অনিয়ম নয়, এটি প্রান্তিক চাষিদের সঙ্গে একধরনের প্রতারণা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, কৃষকেরা কেন সরাসরি কৃষি অফিসে অভিযোগ না করে সাংবাদিকের কাছে যাচ্ছেন। তাঁর এমন প্রতিক্রিয়া দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার শামিল। মাঠপর্যায়ের চিত্র যখন স্পষ্ট বলছে যে ডিলাররা সরাসরি নিয়ম লঙ্ঘন করছেন, তখন কৃষি অফিসের উচিত ছিল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদারকি জোরদার করা। কিন্তু তিনি যেভাবে কৃষকদের প্রতি ক্ষোভ
প্রকাশ করলেন, তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সার নিয়ে এমন অনিয়ম নতুন নয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভালোভাবেই এ বিষয়ে অবগত। এমনকি এমন অভিযোগও আছে, সার নিয়ে অনিয়মের সঙ্গে একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তাও জড়িত।

সার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের ক্ষেত্রে ডিলারদের লাইসেন্স অবিলম্বে বাতিল করে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। ডিলাররা কোন কৃষককে কী পরিমাণ সার দিচ্ছেন, তার তালিকা এবং কৃষকের মোবাইল নম্বরসহ একটি স্বচ্ছ ডেটাবেজ তৈরি করে নিয়মিত তদারক করতে হবে।

কৃষি কর্মকর্তাদের অবশ্যই অফিসে বসে না থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের গুদামে অভিযান চালিয়ে মজুত ও বিক্রির মূল্য যাচাই করতে হবে। এখন আমরা দেখতে চাই রাজশাহী অঞ্চলে সারের অনিয়ম ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাঁচা মরিচের ঝালে পুড়ছে বাজার, সবজিতেও স্বস্তি নেই
  • বাংলাদেশে কফি–সংস্কৃতি প্রসারে ‘আমা কফি’
  • রাজশাহীতে আইনি ব্যবস্থা নিন