ভারতীয় বাংলা সিনেমার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী শতাব্দী রায়। ২০০৯ সালে তৃণমূলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। লোকসভা নির্বাচনে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গত বছর তৃণমূলের টিকিট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ‘গুরুদক্ষিণা’খ্যাত এই নায়িকা।
রাজনীতিতে সরব থাকলেও অভিনয়ে নীরব শতাব্দী রায়। দীর্ঘ দিন পর রুপালি পর্দায় ফিরছেন তিনি। তাকে নিয়ে কলকাতার মৈনাক ভৌমিক নির্মাণ করছেন ‘বাৎসরিক’ সিনেমা।
সিনেমাটির জন্য পরিচালক এমন একজনকে খুঁজছিলেন, যাকে দর্শক অনেক বছর বড় পর্দায় দেখেননি। এ বিষয়ে মৈনাক ভৌমিক বলেন, “উনার সঙ্গে সদ্যই আলাপ হয়েছে। গল্পটা শোনার পর উনার পছন্দ হয়েছে।”
আরো পড়ুন:
আমি বোধহয় অদৃশ্য গণ্ডি ভাঙতে পেরেছি: ইধিকা
টলিউডে ফের অচলাবস্থা!
শতাব্দী রায় বলেন, “প্রায় দশ বছর ধরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াইনি। কাজের প্রস্তাব পেলেও রাজনীতি সামলে শিডিউল মেলাতে পারিনি। এই সিনেমার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি বলেই রাজি হয়েছি।”
শতাব্দী ছাড়াও সিনেমাটির গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। গল্পে ঋতাভরীর বর মারা যান। আর শতাব্দী রায় হারান তার ভাইকে। এমন অবস্থায় দুজনের সমীকরণ কী দাঁড়ায় সেটাই দেখা যাবে এই সিনেমায়।
চলতি মাসের শেষের দিকে শুরু হবে ‘বাৎসরিক’ সিনেমার শুটিং। বিগ স্ক্রিন প্রোডাকশন হাউজ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতু থেকে খুলে ফেলা হচ্ছে রেললাইন
যমুনা সেতুর ওপর থেকে রেললাইন খুলে ফেলা হচ্ছে। পশ্চিমাঞ্চল রেল বিভাগ বৃহস্পতিবার নাট-বোল্টসহ যন্ত্রাংশ খোলার কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান জানান, গত ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু চালু হয়েছে। এরপর থেকে সড়ক সেতু দিয়ে ট্রেন চলছে না। যমুনা সেতুর ওপর রেললাইনের প্রয়োজন নেই। এ কারণে সেতু বিভাগ ও রেল বিভাগের মাধ্যমে যৌথ পরিকল্পনায় সড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে।
যমুনা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, রেললাইন খোলা শুরু হয়েছে। উপরিভাগে যানবাহনের জটলা ও দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আগামীতে সেতুর দুটি লেন প্রশস্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। রেললাইন খুলে নেওয়া হলে সড়ক সেতুতে আরও প্রায় সাড়ে তিন মিটার জায়গা বাড়বে। এটা মূল সড়ক সেতুর সঙ্গে সংযোগ করতে পারব। এতে উভয় লেনে ১ দশমিক ৭৫ মিটার বাড়বে। এ ধরনের সেতু আন্তর্জাতিকভাবে ৭ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্ত হয়। বর্তমানে যমুনা সেতুর প্রতি লেন ৬ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থ। এ কারণে দুর্ঘটনা বা যানজট হয়। রেললাইন অপসারণের পর প্রতি লেন প্রস্থ হবে প্রায় ৮ মিটার। এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। প্রশস্তকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন রাস্তা প্রশস্তকরণ প্রকল্প সাউথ এশিয়া সাব রিজিওনাল কো-অপারেশনের (সাসেক-২) পরিচালক ড. ওয়ালীউর রহমান। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, এবারের ঈদে সেতু দিয়ে এক দিনে ৬৫ হাজারের বেশি যানবাহন পারাপার হয়েছে। যানবাহনের চাপ নিয়ন্ত্রণে সেতু কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঈদের আগে-পরে বিপাকে পড়ে। সেতুর ওপর কয়েকটি দুর্ঘটনায় এলেঙ্গা ও সিরাজগঞ্জসহ দুই পারে থেমে থেমে যানজট হয়। সেতুর উপরিভাগ প্রশস্ত করা হলে দুর্ঘটনা ও যানজট কমতে পারে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন হয়। এর নকশায় রেলপথ ছিল না। পরে সেতুর ওপর উত্তর পাশে লোহার খাঁচা, বার ও অ্যাঙ্গেল যুক্ত করে রেললাইন বসানো হয়। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। নির্দেশনা উপেক্ষা করে দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতি বেঁধে দেয় কর্তৃপক্ষ। সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছরের ২৯ নভেম্বর রেলসেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি তৈরি হয়।