মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, বাংলাদেশে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এ কথা বলেন।

আরও পড়ুনবাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন১৮ মার্চ ২০২৫

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক অভিযোগ তুলে প্রশ্ন করেন, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান (জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক) তুলসী গ্যাবার্ড বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান হুমকি ও ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। অবশ্য তিনি সরাসরি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিযুক্ত করেননি। তবে মুহাম্মদ ইউনূস এই উদ্বেগগুলোকে তীব্রভাবে অস্বীকার করেছেন। এগুলোকে অসত্য বলে অভিহিত করেছেন। তবে গতকাল (গত মঙ্গলবার) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খিলাফতপন্থী একটি বড় সমাবেশ হয়েছে। বিষয়টি পরিস্থিতি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করেছে।

ওই সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, মার্কিন সরকারের চলমান উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র কি মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার মতো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে?

আরও পড়ুনবাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে তুলসী গ্যাবার্ডের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার১৭ মার্চ ২০২৫

জবাবে ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘আমরা যেকোনো দেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি যেকোনো সহিংসতা বা অসহিষ্ণুতার নিন্দা জানাই এবং বাংলাদেশে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকে স্বাগত জানাই। আমরা এটাই দেখছি। এটাই আমরা আশা করি এবং এটাই অব্যাহত থাকবে।’

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড গতকাল সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি ওয়ার্ল্ডকে সাক্ষাৎকার দেন। সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে ‘সংখ্যালঘু নির্যাতন’ যুক্তরাষ্ট্রের ‘উদ্বেগের একটি মূল জায়গাজুড়ে’ রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক কে এই তুলসী গ্যাবার্ড১৮ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে ‘ইসলামি চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদী উপাদানের’ উত্থান নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা মাত্র শুরু হচ্ছে। কিন্তু এটি উদ্বেগের মূল জায়গার একটি হয়ে রয়েছে।

তুলসী গ্যাবার্ডের এসব মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সরক র র পদক ষ প

এছাড়াও পড়ুন:

গোল ঠেকান, শিরোপা জেতান—তবু দোন্নারুম্মা, এদেরসনদের কদর কম কেন

আপনি গোলরক্ষক। তাহলে আপনার মতো দুর্ভাগা আর কে আছে!

কেন এমন বলা, সেটি বোঝার জন্য এবারের দলবদল মৌসুমে একটু চোখ বোলালেই হবে। এবারের গ্রীষ্মকালীন দলবদল আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে—বিশ্বসেরা গোলরক্ষক হলেও দলবদলের বাজারে খুব একটা কদর মেলে না। মাঠের অন্য পজিশনের খেলোয়াড়দের তুলনায় তাঁদের গুরুত্ব নেই বললেই চলে।

সবচেয়ে বড় উদাহরণ পিএসজির জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। পাশাপাশি ম্যানচেস্টার সিটির এদেরসন ও এসি মিলানের মাইক মাইনিয়ঁর কথাও বলা যায়। এ তিনজনই নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা ১০ গোলরক্ষকের মধ্যে পড়েন। অনেকের চোখে আবার সেরা পাঁচেই জায়গা তাঁদের। কিন্তু তাঁরা যদি ফরোয়ার্ড, মিডফিল্ডার বা ডিফেন্ডার হতেন, তাহলে তাঁদের এজেন্টদের ফোন বেজেই চলত। আর তাঁদের ক্লাব চুক্তি নবায়নের জন্য পাগল হয়ে উঠত।

কিন্তু গোলকিপার হওয়ায় তাঁদের বাস্তবতা ভিন্ন। পিএসজি ইতিমধ্যেই লিলের তরুণ গোলরক্ষক লুকাস শেভালিয়েকে নিতে যাচ্ছে (যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি হয়নি)। ম্যানচেস্টার সিটিও বার্নলির জেমস ট্রাফোর্ডকে এনেছে গোলরক্ষকদের জন্য ব্রিটিশ ট্রান্সফার ফি রেকর্ড গড়ে। দোন্নারুম্মার জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের, এদেরসনের জন্য গালাতাসারাইয়ের, আর মাইনিয়ঁর জন্য চেলসির আগ্রহের কথা শোনা গেলেও কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা

সম্পর্কিত নিবন্ধ