বিয়েও পাকা, তবু কেন ভেঙেছিল শহীদ-কারিনার প্রেম
Published: 17th, April 2025 GMT
একটা সময় হিন্দি সিনেমার দুনিয়ায় অন্যতম চর্চার বিষয় ছিল শহীদ কাপুর আর কারিনা কাপুরের প্রেম। ‘জাব উই মিট’ সিনেমায় জুটি হিসেবে যেমন তাঁরা মানিয়ে গিয়েছিলেন, তেমনই পর্দার বাইরেও জমে ওঠে তাঁদের রসায়ন। কিন্তু হঠাৎই ভেঙে যায় তাঁদের প্রেম। কারিনা বিয়ে করেন সাইফ আলী খানকে, শহীদের সঙ্গে বিয়ে হয় মীরা রাজপুতের। কিন্তু কেন ভেঙে যায় দুই তারকার সম্পর্ক?
আরও পড়ুনসালমান-ঐশ্বরিয়ার প্রেম কেন ভেঙে গিয়েছিল১০ এপ্রিল ২০২৫দুজনের আলাপ ২০০৪ সালে ‘ফিদা’ ছবির সেটে। সে সময় শহীদের সদ্য বিচ্ছেদ হয়েছে। কারিনাকে ভুলতে হয়েছে হৃতিক রোশনকে। ফলে দুজনের কাছাকাছি আসতে সময় লাগেনি। প্রথমে আপত্তি থাকলেও পরে কারিনার মা ববিতাও সায় দিয়েছিলেন মেয়ের পছন্দে। ঘনিষ্ঠ মহলে কারিনা এ–ও জানিয়েছিলেন, তিনি শহীদকে বিয়ে করবেন।
‘৩৬ চায়না টাউন’, ‘চুপ চুপ কে’-এর মতো ছবিতে কাজ করার সময় জমে উঠেছে তাঁদের প্রেম। এতটাই গভীর ছিল তাঁদের সম্পর্ক, শহীদের জন্য পুরোপুরি নিরামিষাশী হয়ে গিয়েছিলেন কারিনা। শহীদের কথাতেই ‘জাব উই মিট’ ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হন তিনি। বক্স অফিসে এই ছবি তুমুল সফল হয়। কিন্তু এই ছবি যখন মুক্তি পেয়েছে, তখন কারিনার হৃদয়ে অন্য পুরুষ এসে গিয়েছেন।
‘জাব উই মিট’-এ গীত-আদিত্যর বিয়ে হলেও শহীদ-কারিনা আলাদা হয়ে যান হঠাৎই। তখন কারিনার জীবনে সাইফ আলী খান। ‘টাশান’ সিনেমার সেটে তাঁদের সম্পর্কের শুরু। বক্স অফিসে সে ছবি দাগ কাটতে পারেনি। মুষড়ে পড়েছিলেন কারিনা। ডুবে গিয়েছিলেন হতাশায়। তখন নাকি তাঁর হতাশা প্রশমিত হয়েছিল সাইফের সান্নিধ্যে।
সিনেমার দৃশ্যে কারিনা ও শহীদ। আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শেখ হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচলে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১ জুলাই তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম বলেছেন, প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলার ধার্য তারিখ ছিল আজ। পাঁচ মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করার বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেনি পুলিশ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১২ জন পলাতক আছেন বলে এক মামলায় প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা আসামিদের আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশের আবেদন করি। আদালত আসামিদের আদালতে হাজির হতে বিজি প্রেসের মাধ্যমে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। ছয় মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১ জুলাই ধার্য করা হয়েছে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার সরকারি প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ১৪ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন। মামলা তদন্ত শেষে গত ১০ মার্চ আরো চারজনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
মামলার অপর আসামিরা হলেন—সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শফি উল হক, (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর ইঞ্জিনিয়ার সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, নায়েব আলী শরীফ, সাইফুল ইসলাম সরকার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন এবং শহীদ উল্লা খন্দকার।
ঢাকা/এম/রফিক