Risingbd:
2025-08-12@06:34:52 GMT

নায়ক রুবেলের অজানা তথ্য

Published: 3rd, May 2025 GMT

নায়ক রুবেলের অজানা তথ্য

বাংলা চলচ্চিত্রের মার্শাল আর্ট কিং মাসুম পারভেজ রুবেল। পর্দায় কুংফু-কারাতের দুর্দান্ত কৌশল দেখিয়ে এনে দিয়েছেন নতুন ধারার অ্যাকশন সিনেমা। আজ ৩ মে, এই অ্যাকশন হিরোর জন্মদিনে চলুন এক নজরে জেনে নিই তার জীবনের অজানা গল্পগুলো।
ক্যারিয়ারের সূচনা ও উত্থান : ১৯৮৬ সালে ‘লড়াকু’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। প্রায় আড়াইশ সিনেমায় অভিনয় করেছেন, যার প্রায় সবই সুপারহিট। শুধু অভিনয় নয়, প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবেও সমান সফল। তার পরিচালিত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘বিচ্ছু বাহিনী’, ‘মায়ের জন্য যুদ্ধ’, ‘প্রবেশ নিষেধ’।

মার্শাল আর্ট ও অ্যাকশন কিং : রুবেল দুইবার জাতীয় কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণপদক জয় করেছেন। তিনি গড়েছেন নিজস্ব ফাইটিং গ্রুপ ‘দ্যা একশন ওয়ারিয়র্স’ এবং জনপ্রিয় করেছেন ‘ড্রাংকিং কংফু’, ‘উইপিং কংফু’সহ মার্শাল আর্ট কৌশল। তার হাত ধরেই বাংলা সিনেমায় অ্যাকশনের ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়।

গিনেস বুকে নাম লেখানোর স্বপ্ন : এখন পর্যন্ত ৯৭ জন নায়িকার বিপরীতে অভিনয় করেছেন রুবেল। শিগগিরই এই সংখ্যা ১০০ পূর্ণ করে গিনেস বুকে নাম তোলার ইচ্ছা তার।

সহশিল্পী ও প্রিয় নায়িকারা : সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতেন পপি, মৌসুমী ও পূর্ণিমার সঙ্গে কাজ করতে। তবে তার ভাষায়, "স্পেশাল পপি। তার আগে ছিলো কবিতা।"

অভিনয়ের আগে প্লেব্যাক শিল্পী : নায়ক রুবেল ক্যারিয়ার শুরু করেন প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে। ‘জীবন নৌকা’ সিনেমায় বড় ভাই সোহেল রানার জন্য কণ্ঠ দিয়েছিলেন।

জাতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবেও সফল : ব্যাডমিন্টন, ফুটবল ও কারাতে— এই তিন খেলাতেই জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছেন রুবেল।

পারিবারিক জীবন ও সামাজিক ভূমিকা : রুবেলের স্ত্রী সুলতানা পারভেজ নীলা, একমাত্র পুত্র নিলয় পারভেজ। ফাইট ডিরেক্টর হিসেবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি সমাজ সচেতনতায়ও ভূমিকা রাখেন। নারীদের আত্মরক্ষার জন্য কারাতে শেখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "ধর্ষণ থেকে বাঁচতে নারীদের কারাতে শেখা উচিত। স্কুল-কলেজে কারাতে শিক্ষা নারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।"

পুরস্কার ও সম্মাননা : জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মনোনয়ন না পেলেও দুইবার বাচসাস পুরস্কার পেয়েছেন — ২০০০ ও ২০০১ সালে।

শৈশব ও পারিবারিক পটভূমি  : ১৯৭০ সালের ১ জানুয়ারি বরিশালের গৌরনদীতে জন্ম। সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠা এই তারকার পিতা ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা। শৈশবেই সংস্কৃতিমনস্ক রুবেল অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে।

সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আত্মীয়-সম্পর্ক : তার বড় ভাই মাসুদ পারভেজ, যিনি সোহেল রানা নামে খ্যাত। রুবেল ভাইয়ের প্রতি এতটাই শ্রদ্ধাশীল যে, কখনও সামনে বসেন না, বসলেও মেঝেতে। টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা তানিয়া আহমেদ তার ভাগ্নি।
নায়ক রুবেল শুধু রূপালি পর্দার নায়ক নন, বাস্তব জীবনেও একজন লড়াকু যোদ্ধা। অ্যাকশনের মঞ্চে যেমন দুর্দান্ত, তেমনি পরিবার, সমাজ আর সংস্কৃতির জন্যও নিবেদিত প্রাণ। 

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য় কর ছ ন অ য কশন প রস ক র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

তাসকিন–মিরাজ শোনালেন বন্ধুত্বের গল্প

‘বন্ধুত্ব হচ্ছে প্রাণরক্ষাকারী ছায়ার মতো। যে তা খুঁজে পেল, সে গুপ্তধন পেল।’
জার্মান দার্শনিক ফ্রেডরিখ নিটশের এই বাণী মানলে তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ‘গুপ্তধন’–এর মালিক। মিরাজের আছে তাসকিন নামের ‘গুপ্তধন’ আর তাসকিনের আছে মিরাজ নামের ‘গুপ্তধন’। কারণ, তাঁরা শুধু জাতীয় দলে সতীর্থ নন, ভালো বন্ধুও।

কিন্তু বন্ধুত্বের গল্প আর কতটা খুলে বলা যায়? যতই বলবেন, বাকি তো থেকে যাবেই! তবে মিরাজ ও তাসকিনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক কতটা গাঢ়, তার একটা আঁচ পাওয়া গেল প্রথম আলোর প্রধান ক্রীড়া সম্পাদক উৎপল শুভ্রর সঙ্গে দুজনের জমাট আড্ডায়। প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কারের পর উৎপল শুভ্রর নেওয়া সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তাঁদের বন্ধুত্বের গল্প।

তাসকিন-মিরাজ এখন দুজনই দেশের ক্রিকেটে বড় তারকা। কিন্তু কেউই তারকা হয়ে জন্ম নেন না। তাঁদের আজকের এই খ্যাতি অনেক পরিশ্রম ও নিবেদনের ফসল। আর সেই পথে সব সময় একে অন্যের পাশে ছিলেন তাসকিন ও মিরাজ। দুজনই অনূর্ধ্ব–১৫ থেকে খেলছেন একসঙ্গে। যদিও জাতীয় দলে অভিষেক ভিন্ন সময়ে। ক্যারিয়ার গ্রাফটাও ঠিক একই রকম নয়। তবে এই উত্থান-পতনে দুজন ছিলেন দুজনের পাশে।
সে গল্পটা তাহলে তাঁদের মুখ থেকেই শুনুন।

তাসকিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে মিরাজ কী বলছেন, ‘২০০৯ সালে আমরা অনূর্ধ–১৪ (অনূর্ধ্ব–১৫) খেলেছি। তখন দিনাজপুর বিকেএসপিতে তিনটা দলের খেলা হয়েছিল। রেড, গ্রিন আর হলুদ দল। সেখানে প্রথম দেখা। ওই থেকেই আমার সঙ্গে পথচলা শুরু। তাসকিনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। যখন অনূর্ধ্ব–১৫ খেলেছি, আমি তাসকিনের বাসায় সব সময় যেতাম। তখন মোহাম্মদপুর জাকির হাসান রোডে থাকত।’

দুজনের সম্পর্কটা অনেকদিনের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ