সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় বসতবাড়িতে হামলা ও লুটপাট, থানায় অভিযোগ
Published: 3rd, May 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জে মাদক সেবনে ও মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় এক বসত বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ও মাদক ব্যবসায়ীরা।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০ টার সময় নাসিক ১নং ওয়ার্ডের পাইনাদী পূর্ব পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কামরুন নাহার শারমিন বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০/৩০ জনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন, নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সিআই খোলা এলাকার কালামের ছেলে মো.
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা গত শুক্রবার সকালে উক্ত বসত বাড়ির পিছনে মাদক সেবন ও ক্রয় বিক্রয় করতে ছিলো। উক্ত ঘটনা দেখে ভুক্তভোগীর স্বামী তাদের মাদক সেবন ও ক্রয় বিক্রয়ে বাধা প্রধান করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে ৩নং অভিযুক্ত বিশেষ পেশার পরিচয় দিলে ভুক্তভোগী বাসার মেইন গেট খুলে দেয়।
পরবর্তীতে অভিুক্তরাসহ অজ্ঞাত আরও ২০/২৫ জন কিশোর গ্যাং সদস্যরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাসায় ঢুকে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ঘরে থাকা নগদ ১ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এবং যাওয়ার সময় ভুক্তভোগীর কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অভিযুক্তরা।
পাশাপাশি এ ঘটনায় কোনো আইনি ব্যবস্থা নিলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রধান করে চলে যায় তারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাইনাদী পূর্বপাড়া, সি আই খোলা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সেল্ডার দাতা ও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করতো চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রতন।
মাদক মামলায় রতন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেল হাজতে আছে। পরবর্তীতে মাদক ব্যবসায়ী রতনের পাইনাদী পূর্বপাড়া, সি আই খোলা এলাকায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুকের এর ঘনিষ্ট সহচর আতাহার আলী এর নাতি সাগর, জিহাদ, শরিফসহ অজ্ঞাতরা মাদক ব্যবসা বীরদর্পে পরিচালনা করে আসছে।
এলাকাবাসী বলছে এক মাদক ব্যবসায়ী জেল হাজতে গেলেও, এখন দেখি নতুন করে সাগর সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসা এবং কিশোর গ্যাং পরিচালনা করে এলাকায়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই রাশেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। অভিযুক্তরা ঘটনার সাথে জড়িত তারা ওই বাসায় গিয়েছিলো। কিন্তু টাকা নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তার প্রমান এখনো পাইনি। তদন্ত চলমান বলেও জানান তিনি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ব যবস য় ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাতিল করে দেওয়ার পরও আগামী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বাড়তি দামে বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতি আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে এ ধরনের কেনাকাটায় অতি আগ্রহের কারণ অনুসন্ধানও জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।
টিআইবি বলছে, সমালোচনার মুখে প্রথম দফায় গাড়ি কেনার প্রস্তাব নাকচ হওয়ার পর আবারও আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দামে গাড়ি কেনার অভিনব প্রস্তাব উত্থাপন বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলের মতোই একশ্রেণির আমলাদের পরবর্তী সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রীদের প্রতি অতি উৎসাহী তোষামোদি আচরণের ন্যক্কারজনক পুনরাবৃত্তি।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলে সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এক শ্রেণির অতি উৎসাহী স্বার্থান্বেষী তোষণপ্রবণ আমলাদের প্রস্তাব অনুযায়ী গাড়ি কেনার এ সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। যা সুবিধাবাদী আমলাদের প্রভাববলয় প্রতিষ্ঠার যে চর্চাকে পতিত সরকারের আমলে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিব্রতকর ও আত্মঘাতী উদাহরণ।’ এ ধরনের সিদ্ধান্তকে অবিবেচনাপ্রসূত উল্লেখ করে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল করার দাবিও জানান তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আইন অনুযায়ী একজন মন্ত্রী সরকারিভাবে সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। বিগত সময়ে মন্ত্রীরা এবং বর্তমানে উপদেষ্টারা গাড়ি ব্যবহার করছেন। হঠাৎ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইনবহির্ভূতভাবে ভবিষ্যতের মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার কেনার জন্য উদ্গ্রীব কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। সরকারের এ জাতীয় আগ্রহের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।
অন্তর্বর্তী সরকার গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিলেও তা পরবর্তী সরকারের মন্ত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য না–ও হতে পারে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের ব্যয় সংকোচনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের পরিপন্থী এ ক্রয়ের মাধ্যমে এমন স্ববিরোধী পথে সরকার কেন যাচ্ছে? এটি কি জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্র সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকারের স্ববিরোধী আচরণ বলে বিবেচিত হবে না? এর দায়ভার সরকারের পক্ষ থেকে কে বা কারা নেবেন?’
আরও পড়ুনসংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ গাড়ি কেনা হচ্ছে০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫