বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ১টি পদে ২০ কর্মী নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন। পদের নাম ‘ডাটা এন্ট্রি অপারেটর’। গত ২৭ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে আবেদন। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের বিবরণ

বেতন স্কেল: ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা

গ্রেড: ১৬

আরও পড়ুনবিটিআরসি নেবে ৩৯ জন, নবম-১০মসহ বিভিন্ন গ্রেডে চাকরি৬ ঘণ্টা আগে

আবেদনের যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে; কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হতে হবে ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে গতি প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ এবং ইংরেজিতে ২০ শব্দ থাকতে হবে।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনের বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

আবেদনের শেষ সময়: ২৬ মে ২০২৫, বিকেল ৫টা

আরও পড়ুনপ্রাথমিকে বৃত্তিও চালু করতে যাচ্ছি: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা৬ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

হাউজবোট নিয়ন্ত্রণসহ ৬ দাবি টাঙ্গুয়ার হাওরবাসীর 

সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরকে বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে হাউজবোটের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃপক্ষের আরোপিত শর্ত মেনে পরিচালনা করাসহ ছয় দফা দাবি জানানো হয়েছে। ‘হাওর অঞ্চলবাসী’র ব্যানারে বুধবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানানো হয়।

হাওর অঞ্চলবাসীর দাবিগুলো হলো– পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে প্লাস্টিক, ব্যবহৃত পলিথিন, বোতল প্রভৃতি সংগ্রহ করে সরকার নির্ধারিত স্থানে ফেলা বা রিসাইকেল করার ব্যবস্থা; সরকারি উদ্যোগে টাঙ্গুয়ার হাওরে সুনির্দিষ্ট দায়দায়িত্বসহ পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রকাশ ও প্রচার; জেলা প্রশাসকের সহায়তায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে মনুষ্যবর্জ্য ব্যবস্থাপনা; মানুষের চলাচল, অবস্থান, শব্দ, আলো প্রভৃতি যাতে পাখি, মাছ ও অন্যান্য জলজপ্রাণীর ক্ষতি না করে, সেরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং জেলা প্রশাসন কর্তৃক নিয়মিত মনিটরিং করা।

মানববন্ধনে হাওর অঞ্চলবাসীর প্রধান সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খান বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরের বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এলাকার অন্যতম হচ্ছে রামসার সাইট। সেখানে অবাধে পাখি উড়ে বেড়ায়, মাছেরা সাঁতার কাটে। বর্তমানে অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ব্যবসার ফলে এই চিত্র উধাও হতে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় ২০০ হাউজবোটে হাজার হাজার পর্যটক সময়ে-অসময়ে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে, রাত্রিযাপন করছে। তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা পলিথিন, প্লাস্টিক, বোতল ও মনুষ্যবর্জ্য পানিতে পড়ে স্বচ্ছ পানিকে দূষিত করছে। মাছ মরে পানিতে ভেসে উঠছে। কৃষি কাজেরও অসুবিধা হচ্ছে। উচ্চ শব্দের গান-বাজনা, উদ্দাম নৃত্য, রাতের উজ্জ্বল আলোর কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। ২০১৮ সালের পাখিশুমারী অনুযায়ী টাঙ্গুয়ার হাওরে জলচর পাখির সংখ্যা ছিল ৬০ হাজার। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজারে। 

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ উমর খৈয়াম, হাওর উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক ফরিদ উদ্দিন, হাওর অঞ্চলবাসীর সমন্বয়ক জাকিয়া শিশির, সদস্য জেসমিন নূর, বোরহান উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী; প্রাণী ও প্রকৃতি রক্ষা ফাউন্ডেশনের ইবনুল সাঈদ রানা, হাওর অঞ্চলবাসী ঢাকা জেলার সদস্যসচিব কামরুল হাসান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ