Prothomalo:
2025-08-13@12:11:17 GMT

থ্যালাসেমিয়া হলে কী করবেন

Published: 7th, May 2025 GMT

থ্যালাসেমিয়া রোগটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। রক্ত পরিসঞ্চালন–নির্ভরশীল এবং রক্ত পরিসঞ্চালন অনির্ভরশীল। রক্ত পরিসঞ্চালন–নির্ভর থ্যালাসেমিয়ায় রোগীকে আজীবন প্রতি মাসে রক্ত পরিসঞ্চালন করতে হয়। এই জ্বালা ভুক্তভোগী ছাড়া আর কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তাই থ্যালাসেমিয়ার মতো রোগের ক্ষেত্রে প্রতিকারের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ উত্তম পন্থা।

প্রতিরোধ

নারী-পুরুষ দুজনই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে তাঁদের যে সন্তান হবে, এর মধ্যে প্রতি চারজনের একজনের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এ রোগের ঝুঁকি এড়াতে কিছু বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। মোটামুটি তিনটি উপায়ে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। দুজনই বাহক হলে তাঁদের মধ্যে বিয়ে রোধ করে পরবর্তী প্রজন্মের থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ সম্ভব।

স্বামী-স্ত্রী দুজনই যদি থ্যালাসেমিয়ার বাহক হন, তাহলে গর্ভাবস্থায় কিছু প্রিন্যাটাল স্ক্রিনিং করিয়ে নিন। গর্ভের সন্তান থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হলে ঝুঁকি এড়াতে নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়ামুক্ত ভ্রূণ মাতৃগর্ভে প্রতিস্থাপন করা যায়।

থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা

তবে কি রক্ত পরিসঞ্চালনই এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা? মোটেই নয়। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীর রক্তকণিকা ভেঙে যায়, অস্থিমজ্জায় সঠিকভাবে রক্ত তৈরি হতে পারে না। রক্তশূন্যতা হয়। আর এ রক্তশূন্যতার পেছনে রক্তের হিমোগ্লোবিনের আলফা ও নন–আলফা চেইনের ভারসাম্যহীনতা প্রধান কারণ। সুখবর হলো, বর্তমানে দক্ষ একজন রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে থ্যালাসেমিয়া রোগীর এই চেইন ভারসাম্যহীনতা রোধ করা সম্ভব। ফলে রক্ত পরিসঞ্চালন–নির্ভর রোগীর একটি বড় অংশের এখন আর রক্ত পরিসঞ্চালনের দরকার পড়ে না।

থ্যালাসেমিয়া রোগীর ক্ষেত্রে রক্ত পরিসঞ্চালন হলো ‘ডাবল ব্লেডেড সোর্ড’-এর মতো। অপ্রয়োজনীয় রক্ত পরিসঞ্চালন আ্যলোইমিউনাইজেশন, শরীরে আয়রন জমা, হার্ট ফেইলিউর, লিভার ফেইলিউর, বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, হরমোন রোগসহ আরও অনেক জটিল সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই একজন রক্তরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যতীত অপ্রয়োজনে থ্যালাসেমিয়া রোগীর রক্ত পরিসঞ্চালন না করা ভালো।

আরও পড়ুনথ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে যা জরুরি১২ মে ২০২২রোগমুক্তি

দুই উপায়ে এ রোগ থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব।

১.

জিন থেরাপি: যা এখনো বাংলাদেশে শুরু হয়নি।

২. আ্যলোজেনিক স্টেমসেল  ট্রান্সপ্ল্যান্ট: এ পদ্ধতিতে থ্যালাসেমিয়া থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্তি লাভ সম্ভব। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলজি ও বোনম্যারো  ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিভাগে সফলভাবে অত্যন্ত কম খরচে অ্যালোজেনিক স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীর রোগের অন্তর্নিহিত কারণ, জটিলতা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরূপণ করে চিকিৎসা গ্রহণ করলে এ রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, এমনকি নির্মূল করাও সম্ভব।

আরও পড়ুনআপনার পরিবারের কেউ থ্যালাসেমিয়ার জিন বহন করছেন না তো?১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, তাহলে নিয়ে আসেন না কেন: দুদক চেয়ারম্যান

দুর্নীতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, সেই অভিযোগ যদি সুনির্দিষ্ট হয়, তাহলে আপনারা (সাংবাদিক) নিয়ে আসেন না কেন।’

আজ মঙ্গলবার সকালে রংপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ের ভবন নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এসব কথা বলেন।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের যে বিধিবদ্ধ আইন, তাতেও ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একটা ব্যাপার আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, আমরা যে অভিযোগ করব, তা যেন সুনির্দিষ্ট হয়। আমরা যদি বলে থাকি, তিনি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, কোথা থেকে করেছেন, কীভাবে করেছেন, এই অংশগুলো যদি প্রমাণ করতে না পারি, তাহলে শেষ পর্যন্ত সেই অভিযোগ টিকবে না। এমনকি উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, সেই অভিযোগ যদি সুনির্দিষ্ট হয়, তাহলে আপনারা (সাংবাদিক) নিয়ে আসেন না কেন।’

সম্প্রতি রাজধানীতে এক সেমিনারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের আটজন উপদেষ্টার ‘সীমাহীন দুর্নীতি’র প্রমাণ নিজের কাছে রয়েছে। এই উপদেষ্টাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ হয় না, বদলিও হয় না। তবে তিনি উপদেষ্টাদের নাম বলেননি।

তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এক বিবৃতিতে সরকার তাঁর (সাবেক সচিব) কাছে সব প্রমাণ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে আহ্বান জানিয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘বিষয়টি পত্রিকায় এসেছে। সেটি আমাদের চোখে পড়েছে। এই সরকার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া দরকার, এটা রাজনৈতিক সরকার নয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকারের নেতৃত্বে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি একেবারেই দুর্নীতির বিপক্ষে একজন মানুষ। এটা যদি তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের কেউ হন, সে ক্ষেত্রেও তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি নন।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার বিষয়ে প্রশ্ন করেন একজন সাংবাদিক। এ সম্পর্কে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আমাদের এখানে কয়েকটি মামলা চলমান। আরও কয়েকটি বিষয় তদন্তাধীন। তদন্ত করে শেষ পর্যন্ত যদি প্রমাণিত হয়, আমরা মামলা-মোকদ্দমায় চলে যাব।’

সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুদকের অভিযান প্রসঙ্গে মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অভিযান করছি। বিশেষ করে সেবা প্রদানকারী যেসব প্রতিষ্ঠানে সেবা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে সেবা গ্রহিতাদের। আমরা অভিযান করছি, যাতে এই অভিযোগগুলো না হয়। ‘

পরে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারি কর্মকর্তাদের ও কর্মচারীদের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।

রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল হকের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল। উপস্থিত আছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, পুলিশের রংপুরের রেঞ্জের ডিআইজি আমিনুল ইসলাম, পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, পুলিশ সুপার আবু সাইম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কেবিসির মঞ্চে সোফিয়া-ব্যোমিকারা, শুরু বিতর্ক
  • দয়া করে গাজায় যান: পোপ লিওর প্রতি ম্যাডোনার আহ্বান
  • পিএসজিকে বিদায় দোন্নারুম্মার, এনরিকে বললেন ‘আমি দায়ী’
  • গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইসরায়েল
  • কবর ভেঙে ফেলার আহ্বান ইসরায়েলি মন্ত্রীর
  • ডলার কাছে নিতেই আর কিছু মনে নেই, ব্যবসায়ীর ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লুট
  • নৌকায় বিস্ফোরণে দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু
  • মহানবী (সা.)-এর জীবনে নারীদের অবদান 
  • বডিক্যাম কী, ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় কতটা কাজে দেবে
  • উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, তাহলে নিয়ে আসেন না কেন: দুদক চেয়ারম্যান