যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার এবং তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা দুটি বহুতল হোটেল, ৯তলা বাড়ি ও তিনটি গাড়ি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া তাঁর নামে থাকা ১৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়া শাহীন চাকলাদারের স্ত্রী ফারহানা জাহানের পরিচয়পত্র ‘ব্লক’ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন আজ বুধবার এ আদেশ দেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, শাহিন চাকলাদার ও তাঁর স্ত্রীর নামে দুটি হোটেল রয়েছে। যশোরের হোটেলটি ১৭ তলার, আর ঢাকার উত্তরায় ১১ তলা হোটেল রয়েছে। এ দুটি হোটেল ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া শাহীন চাকলাদারের নামে থাকা যশোরে জমি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এর বাইরে শাহীন চাকলাদারের নামে থাকা তিনটি গাড়ি ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা একটি গাড়িও ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। শাহীন চাকলাদারের স্ত্রীর তিনটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদক আদালতকে লিখিত প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছে, শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। ২৯টি ব্যাংক হিসেবে ৩৪১ কোটি ৬১ লাখ টাকা লেনদেনের তথ্য জানতে পেরেছে দুদক। জ্ঞাত আয়ের বাইরে তিনি ৪২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।

এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর শাহীন চাকলাদার ও তাঁর স্ত্রী ফারহানা জাহান; মেয়ে সামিয়া জাহান ও মাঈসা জাহান এবং ছেলে জাবীর চাকলাদারের বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে লিখিতভাবে বলা হয়েছে, যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক। এখন তাঁরা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে দুদক জানতে পেরেছে।

সাবেক প্রতিমন্ত্রীর বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা

ময়মনসিংহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদক আদালতকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাঁর ব্যাংক হিসাবে ৪২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেনের তথ্য পেয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ হ ন চ কল দ র র

এছাড়াও পড়ুন:

পূবালী ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকের ১৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি দুটি ব্যাংকের ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আজ মঙ্গলবারের কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। যে দুটি ব্যাংকের বন্ড অনুমোদন করা হয়েছে, সেগুলো হলো পূবালী ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংক। এর মধ্যে পূবালী ব্যাংক বন্ড ছেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ও যমুনা ব্যাংক বন্ডের মাধ্যমে ৮০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে।

বিএসইসি জানিয়েছে, পূবালী ব্যাংকের বন্ডটি অরূপান্তরযোগ্য ভাসমান সুদ হারের বন্ড। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের কাছে এই বন্ড বিক্রি করা হবে। এই বন্ডের প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য বা ফেসভ্যালু ৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ এই বন্ডের একটি ইউনিট কিনতে বিনিয়োগ করতে হবে ৫ লাখ টাকা। বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যাংকটি তাদের মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে কাজে লাগাবে।

এ ছাড়া যমুনা ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকার বন্ডটিও অরূপান্তরযোগ্য ভাসমান সুদহারের বন্ড। এটিরও প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের কাছে এই বন্ড বিক্রি করা হবে। দুই ব্যাংকের বন্ডেরই সুদহার হবে বেঞ্চমার্ক সুদের সঙ্গে ৩ শতাংশ কুপন হার যোগ করে। বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যাংকটি মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে কাজে লাগাবে।

বিএসইসি জানিয়েছে, দুটি বন্ডই মেয়াদ শেষে অবসায়িত হবে। সেই সঙ্গে বন্ড দুটি লেনদেন হবে শেয়ারবাজারের অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ