আইপিএল ও পিসএলে আছে একটি করে ম্যাচ। রাতে ইউরোপা লিগ ও কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনাল।টেনিস ????
ইতালিয়ান ওপেন
দুপুর ২টা ????সনি স্পোর্টস টেন ৫
পাঞ্জাব কিংস–দিল্লি ক্যাপিটালস
রাত ৮টা ???? টি স্পোর্টস ও স্টার স্পোর্টস ১
পেশোয়ার জালমি–করাচি কিংস
রাত ৯টা ????নাগরিক টিভি
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড–বিলবাও
রাত ১টা ????সনি স্পোর্টস টেন ২
বোদো/গ্লিমট–টটেনহাম
রাত ১টা ????সনি স্পোর্টস টেন ১
চেলসি–জুরগার্ডেনস
রাত ১টা ????সনি স্পোর্টস টেন ৫
ফিওরেন্তিনা–রিয়াল বেতিস
রাত ১টা ????সনি লিভ
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প র টস ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
সুরা হুমাজাতে চারটি পাপের শাস্তির বর্ণনা
সুরা হুমাজা (নিন্দাকারী) পবিত্র কোরআনের ১০৪তম সুরা। এই সুরা জানাচ্ছে যে দুর্ভোগ প্রত্যেকের, যে সামনে ও পেছনে নিন্দা করে। যে ধনগর্বে নিজেকে অমর মনে করে, তাকে হুতামা নরকে নিক্ষেপ করা হবে। স্তম্ভাকারে দীর্ঘায়িত অগ্নি তাদের অন্তঃকরণ পর্যন্ত পৌঁছাবে।
সুরা হুমাজার অর্থ আবার দেখে নিই
১. দুর্ভোগ প্রত্যেকের যে সামনে ও পেছনে লোকের নিন্দা করে, ২. যে অর্থ জমায় ও বারবার তা গোনে, ৩. ভাবে যে তার অর্থ তাকে অমর করে রাখবে। ৪. কখনো না। তাকে তো ফেলা হবে হুতামায়। ৫. হুতামা কী, তুমি কি তা জান? ৬. এ আল্লাহরই প্রজ্বলিত হুতাশন, ৭. যা হৃৎপিণ্ডগুলোকে গ্রাস করবে, ৮. ওদেরকে বেঁধে রাখবে ৯. দীর্ঘায়িত স্তম্ভে।
সুরা হুমাজার মূল কথা
এই সুরায় ৪টি পাপকাজের কথা বলা হয়েছে: সামনে নিন্দা করা, পেছনে নিন্দা করা, অর্থ জমা করা এবং তা গুনে গুনে রাখা, অর্থ চিরকাল থাকবে মনে করা, জনহিতকর কাজে ব্যয় না করা। এই সব কাজের জন্য মানুষকে হুতামায় নিক্ষিপ্ত হতে হবে। হুতামা হচ্ছে আল্লাহর প্রজ্বলিত আগুন, যা হৃদয়কে গ্রাস করবে; উঁচু স্তম্ভ পরিবেষ্টিত জাহান্নাম।
আরও পড়ুনভালো প্রতিবেশী আল্লাহর প্রিয়জন১৩ এপ্রিল ২০২৫শুরুতেই প্রথম আয়াতে ওয়াইল বলতে দুর্ভোগ বোঝায়। জাহান্নামের খুবই মন্দ একটা জায়গা। যারা সামনে ও পেছনে মানুষের দোষত্রুটি প্রকাশ করে তাদের ‘হুমাজাহ’ ও ‘লুমাজাহ’ বলা হয়। কখনো কখনো কণ্ঠস্বর নকল করে, শারীরিক বৈশিষ্ট্য নকল, ইশারা, ইঙ্গিতের মাধ্যমেও তারা তা প্রকাশ করে।
এরপর সম্পদের প্রতি লোভী মানুষের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। যারা টাকাপয়সা বারবার গুনে দেখে, সেটা কত বাড়ছে। তারা অর্থ জমা করতে থাকে। যারা অন্যদের দোষ খুঁজে বেড়ায় এবং প্রচার করে বেড়ায় তারা মূলত নিজেরা ওই দোষমুক্ত নয়।
তৃতীয় আয়াতে বলা হচ্ছে, ভাবে যে তার অর্থ তাকে অমর করে রাখবে। অর্থের কথা চিন্তায় তারা মৃত্যুর কথা ভুলে থাকে।
চতুর্থ আয়াতে আল্লাহ বলছেন, কখনো না। তাকে তো ফেলা হবে হুতামায়। তারা নিজেদের দুনিয়ায় অনেক উচ্চমর্যাদার ভাবত। আখিরাতে নিক্ষিপ্ত হবে হুতামাতে।
পঞ্চম আয়াতে আল্লাহ জবাব দিলেন, হুতামা কী, তুমি কি তা জানো? ষষ্ঠ আয়াতে বলা হয়েছে, এ আল্লাহরই প্রজ্বলিত হুতাশন। মানে আল্লাহর প্রজ্বলিত আগুন। তারা যেমন সামনে নিন্দা করে, সম্পর্ককে অন্যের অবর্তমানে নিন্দা করে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিত, তাদের চূর্ণবিচূর্ণকারী আগুন দিয়ে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
সপ্তম আয়াতে যা হৃৎপিণ্ডগুলোকে গ্রাস করবে। আল্লাহ তার সবচেয়ে কঠিন আগুন এবং জাহান্নামের সবচেয়ে কঠিন শাস্তি দিয়ে তাদেরই কৃতকর্মের প্রতিফল দেবেন।
অষ্টম আয়াতে, তাদের জাহান্নামে আটকে রাখা হবে। শেষ আয়াতে আছে, অনেক উঁচু স্থান তারা দূর থেকে দরজা খোলার আশায় থাকবে, যার কারণে তাদের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুনঅলৌকিক উট১৩ এপ্রিল ২০২৫