প্রায় দেড় দশক ধরে কয়েক বিলিয়ন ডলার খরচ করে যাচ্ছে পিএসজির মালিক। উদ্দেশ্য ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। কোভিডের বছর ২০২০ এ প্রথমবারের মতো শিরোপার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল তারা। তবে বায়ার্নের কাছা হেরে ইউরোপের শ্রেষ্ঠত্বের স্বাদ পাওয়ার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গিয়েছে।

বুধবার (৭ মে) আরেকবার লক্ষ্য পূরণের খুব কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে পিএসজি। তারা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আর্সেনালের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় লাভ করেছে। ট্রেবলের খোঁজে থাকা ফরাসি ক্লাবটি ৩১ মে মিউনিখে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হবে। লুইস এনরিকের শিষ্যরা দুই লেগ মিলিয়ে সামগ্রিকভাবে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিল।

বুধবার পার্ক দে প্রিন্সে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ফাবিয়ান রুইজের প্রথমার্ধের গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক পিএসজি। বিরতির আগে প্যারিসের জায়ান্টদের গোলরক্ষক জুয়ানলুইজি দেন্নারুম্মা চীনের প্রাচীর হয়ে ওঠেন। একের পর এক বাঁচান প্রতিপক্ষের সব আক্রমণ। বিশেষ করে প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যেই গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি ও মার্টিন ওডেগার্দের দুটি গুরুত্বপূর্ণ শট সেভ করে দলকে এগিয়ে রাখেন।

আরো পড়ুন:

‘আর্সেনালকে বুঝিয়ে দিতে হবে পার্ক দে প্রিন্স আমাদের বাড়ি’

‘অস্ত্রাগারে’র দেয়াল ভেঙে ফাইনালের পথে পিএসজি

দ্বিতীয়ার্ধে আশরাফ হাকিমির গোল। পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনহা পেনাল্টি মিস করার পর সেখান থেকে ফিরতি শটে গোল করেন হাকিমি। তখন পিএসজি অনেকটা নিশ্চিত করে ফেলে মিউনিখে যাওয়া। তবে বুকায়ো সাকার ৭৬তম মিনিটে গোল আর্সেনালের প্রত্যাবর্তনের আশা জাগায়। কিন্তু চার মিনিট পর সাকা মাত্র ছয় গজ দূর থেকে একেবারে নিশ্চিত একটি সুযোগ নষ্ট করেন, একই সাথে তিনি আর্সেনালের ফাইনালের স্বপ্নও ধূলিসাৎ করে দেন। গোল খালি থাকলেও শটটি উপর দিয়ে মারেন এই ইংলিশ উইঙ্গার।

পিএসজি ইতিমধ্যেই ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপা জয় করেছে। ২৪ মে ফ্রেন্স কাপ ফাইনালে রেঁইমসের মুখোমুখি হবে, যেখানে তাদের জয় না পাওয়াটাই বড় সংবাদ হবে। মাসের শেষে দিন চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে ঐতিহাসিক ট্রেবল জয়ের সুযোগ রয়েছে এনরিকের শিষ্যদের সামনে।
 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প এসজ চ য ম প য়নস ল গ আর স ন ল ফ ইন ল র আর স ন ল প এসজ

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ