ইয়ার্ন মার্চেন্ট নির্বাচনে এম সোলায়মানসহ ১৫ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়
Published: 10th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ২০২৫-২০২৭ পর্ষদের নির্বাচনে জেনারেল গ্রুপে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি এম সোলায়মানসহ ১৫জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ের পথে রয়েছেন।
তবে এসোসিয়েট গ্রুপ থেকে ৬টি পদের বিপরীতে ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করায় এই গ্রুপের প্রার্থীদের মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার ১০ মে জেনারেল গ্রুপ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থী তাজুল ইসলাম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় এই গ্রুপের প্রার্থী ১৫ জনই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছে।
তাজুল ইসলাম জেনারেল গ্রুপ থেকে বর্তমান সভাপতি এম সোলায়মানের নেতৃত্বাধীন প্যানেলের প্রার্থী হলেও মেয়ের অসুস্থতাজনিত বিদেশে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে গমনের কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, নির্বাচনে সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি এম সোলায়মানের নেতৃত্বে ১৫জন প্রার্থী এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোট ১৬জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। অন্যদিকে এসোসিয়েট গ্রুপে মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে ৬জন প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র হিসেবে আরো দুজন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জেনারেল গ্রুপ থেকে তাজুল ইসলাম টুটুল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেয়ায় জেনারেল গ্রুপের প্রার্থী এম সোলায়মান, মোস্তফা এমরানুল হক মুন্না, সঞ্জিত রায়, মো.
অপরদিকে এসোসিয়েট গ্রুপের প্রার্থীরা হলেন মোহাম্মদ মুসা, মো. মজিবুর রহমান, মো. মাহফুজুর রহমান খান মাহফুজ, মো. জাহিদ হোসেন, জীবন সাহা, মো. ফয়সাল আহম্মদ দোলন, মো. কামরুল হাসান ও মো. খায়রুল কবীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এসোসিয়েট গ্রুপ থেকে ৬ জন ইসি সদস্য নির্বাচিত হবেন।
উল্লেখ্য যে, তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৪ মে কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন (২০২৫-২০২৭) অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ গ্রুপ থেকে ৭২১ জন এবং এসোসিয়েট গ্রুপ থেকে ১৬২ জন ভোটার ভোট প্রদান করবেন।
নির্বাচন বোর্ডের দায়িত্বে আছেন শ্রী প্রবীর কুমার সাহা- চেয়ারম্যান, মো. হাবিব ইব্রাহিম- সদস্য এবং ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল, বাংলাদেশ) সদস্য। নির্বাচন আপিল বোর্ডের দায়িত্বে আছেন, মুহাম্মদ আইউব- চেয়ারম্যান, মো. নিছারউদ্দিন কামাল সদস্য এবং মো. মকবুল হোসেন সদস্য।
নারায়ণগঞ্জ টাইমস সর্বশেষ জনপ্রিয় ১আরো পড়ুন
বিকেএমইএ নির্বাচনে হাতেম প্যানেল পূর্ণ জয়ী
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ে তাদের পাশে থাকতে হবে : মাও. জব্বার
রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজের উপর হামলা : এনটিজেইউ’র নিন্দা
হাতেমের নেতৃত্বাধীন প্রগ্রেসিভ নীট এলায়েন্সের ইশতেহার ঘোষণা
২ সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা, না’গঞ্জ নিউজ পেপার ওনার্স’র নিন্দা
সাংবাদিক মিলনের মায়ের মৃত্যুতে না’গঞ্জ নিউজ পেপার ওনার্স’র শোক
পেট্রোল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন পদ্মা শাখার পরিচিতি সভা
মহান মে দিবসে জাতীয়তাবাদী রিক্সা ভ্যান ও অটো চালক দল’র আলোচনা সভা
২৩১/১ বঙ্গবন্ধু সড়ক (৬ষ্ঠ তলা, লিফটের ৫)
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব ভবন, নারায়ণগঞ্জ
নির্বাহী সম্পাদক: মোশতাক আহমেদ (শাওন)
ফোন:+৮৮০১৯৩৩-৩৭৭৭২৪
ইমেইল : [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ বা ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
© ২০২৫ | সকল স্বত্ব নারায়ণগঞ্জ টাইমস কর্তৃক সংরক্ষিত | উন্নয়নে ইমিথমেকারস.কম
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: এস স য় ট গ র প স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জন প র র থ ল ইসল ম র রহম ন আওয় ম সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্ব স্বাস্থ্যে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় আইসিডিডিআরবির ডা. তাহমিদ আহমেদ
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক খ্যাতনামা সাময়িকী ‘টাইম’ তাদের ২০২৫ সালের ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য খাতে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তি’র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক ডা. তাহমিদ আহমেদকে।
মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং সীমিত সম্পদের অঞ্চলে স্বাস্থ্য সমস্যার দৃষ্টান্তনির্ভর সমাধানে তাঁর অগ্রণী অবদানকে স্বীকৃতি জানিয়ে এই সম্মান দিয়েছে সাময়িকীটি। তাহমিদ আহমেদের নেতৃত্বে আইসিডিডিআরবি অত্যাধুনিক গবেষণা ও জীবন রক্ষাকারী পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ বিশ্বের লাখো মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দিয়েছে এবং বৈশ্বিক সহযোগিতা সম্পর্ক সুদৃঢ় করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার আইসিডিডিআরবির পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডা. তাহমিদ আহমেদের এই অর্জনের বিষয়টি জানানো হয়।
১৩ মে (মঙ্গলবার) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘টাইম ১০০ ইমপ্যাক্ট ডিনার: লিডারস শেপিং দ্য ফিউচার অব হেলথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মনোনীত অন্য ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগ দেবেন তাহমিদ আহমেদ। টাইমের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য অনুযায়ী, সেখানে তিনি একটি অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দেবেন। এই বক্তব্য টাইমের সম্পাদকীয় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মেও প্রচারিত হবে।
এই অসামান্য স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘টাইমের ২০২৫ সালের স্বাস্থ্যে ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় থাকা অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই অর্জন আমার একার নয়, এটি আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী, কর্মী, বৈশ্বিক অংশীদার ও আমাদের সেবা গ্রহণকারীদের সবার। টাইম আমাকে যে স্বীকৃতি ও গুরুত্ব দিয়েছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। আশা করি, এ ধরনের স্বীকৃতি অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াই এবং স্বাস্থ্য গবেষণায় বিনিয়োগ বাড়াতে সাহায্য করবে, যা যুদ্ধ-সংঘাত নয়, বরং ন্যায়, স্বাস্থ্য ও মানুষের মর্যাদার পক্ষে কাজ করবে।’
আইসিডিডিআরবির দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাহমিদ আহমেদের এই স্বীকৃতি শুধু ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানী ও গবেষকদের জন্যও পরিশ্রম ও নিষ্ঠার সঙ্গে বাংলাদেশে কাজ করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবদান রাখার অনুপ্রেরণা।
এটি টাইমের ২৬ মে ২০২৫ সংখ্যাতেও প্রকাশিত হবে।
টাইমের প্রতিবেদনে ডা. তাহমিদ আহমেদের অবদান সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা হুবহু তুলে ধরা হলো:
ডা. তাহমিদ আহমেদ যখন তাঁর নিজ দেশ বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে রোগী দেখা শুরু করেন, তখন তিনি এক সমস্যার মুখোমুখি হতে থাকেন বারবার। সেই সমস্যার সমাধান তাঁর চিকিৎসা জ্ঞানে পুরোপুরি সমাধান করা সম্ভব ছিল না। ডা. তাহমিদ বলেন, ‘আমি ডায়রিয়া ও অপুষ্টিতে ভোগা রোগীদের চিকিৎসা করতাম। বিশেষ করে শিশুদের চিকিৎসা করা ছিল খুবই হতাশাজনক। শিশুদের মধ্যে কিছু মারা যেত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সর্বোত্তম প্রচেষ্টা ও সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও খুব বেশি কিছু করার সুযোগ ছিল না।’
তাহমিদ আহমেদ এখন আইসিডিডিআরবির নির্বাহী পরিচালক। তিনি যখন এখানে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন, তখন তিনি এই সমস্যার একটি সমাধান খুঁজতে মনস্থ করেন। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডা. জেফরি গর্ডনের সঙ্গে একটি সকালের নাশতার টেবিলে তাঁর দেখা হলে সেখানেই একটি সম্ভাব্য সমাধানের পথ উন্মোচিত হয়। গর্ডন তখন গবেষণা করছিলেন কীভাবে মানুষের অন্ত্রে থাকা ব্যাকটেরিয়া স্থূলতা ও অপুষ্টিতে ভোগা মানুষের ভিন্নতা তৈরি করে। তাঁরা ভাবতে শুরু করেন—এই অণুজীবগুলো কি অপুষ্টির নতুন চিকিৎসার চাবিকাঠি হতে পারে?
ঢাকার বস্তিতে গবেষণা করতে গিয়ে তাহমিদ ও তাঁর সহকর্মীরা একটি বিস্ময়কর বিভাজন খুঁজে পান: কিছু শিশু ছিল সুস্থ, আর কিছু শিশু অপুষ্টি, অস্বাভাবিক স্থূলতায় ভুগছিল। তাহমিদ দেখতে পান যে সুস্থ শিশুদের মধ্যে পার্থক্য গঠিত হয় তাদের অন্ত্রের মাইক্রোবায়োম বা জীবাণু গঠনে। আর এসব জীবাণুকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে তাদের খাদ্যাভ্যাস। গর্ডনের সঙ্গে কাজ করে যেসব উপকারী জীবাণু যেগুলো সুস্থ শিশুদের সাহায্য করছিল, তাহমিদ সেগুলো চিহ্নিত করেন। তাহমিদ অনুসন্ধান করে দেখেন—এই জীবাণুগুলোর উৎস ছিল তাদের খাওয়া খাবার। এর মধ্যে আছে তেলাপিয়া মাছ, ছোলা, কাঁচকলা ও চিনাবাদাম।
তবে এই আবিষ্কার বাস্তব সমাধানে রূপ নেয় তখনই, যখন ডা. তাহমিদ একটি স্থানীয় খাদ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় একটি সহজে বিতরণযোগ্য খাদ্যপণ্য তৈরি করলেন। তাঁরা এই খাবারগুলোকে গুঁড়া করে প্রয়োজনীয় ক্ষুদ্র পুষ্টি উপাদানের সঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করেন, যাতে ব্যবহার করা হয় উদ্ভিজ্জ তেল। তাহমিদ এই খাবারের পরীক্ষা চালাচ্ছেন ছয়টি দেশে—বাংলাদেশ, ভারত, তানজানিয়া, মালি, পাকিস্তান ও নাইজারে। প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের যেসব শিশু এই খাবার খাচ্ছে, তারা ওজন ও উচ্চতায় উন্নতি করছে, যাদের সাধারণ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাদের তুলনায়।
বিস্তৃত গবেষণার ফলাফল ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতীয় সরকারগুলোকে এই খাদ্যপণ্য অনুমোদন ও ব্যাপকভাবে বিতরণে সহায়তা করবে। তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের সংখ্যা বিপুল। বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় তিন লাখ শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। এসব শিশু সুস্থ শিশুদের তুলনায় ৯ গুণ বেশি মৃত্যুঝুঁকিতে আছে। আমাদের এদের জন্য কিছু করা জরুরি।’