যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা কাইল ফিল্ডস এর চেয়ে দারুণভাবে মা দিবস উদ্‌যাপনের কথা হয়তো কল্পনাও করতে পারতেন না। কাইল যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস ক্রিশ্চিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করেছেন।

প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বজুড়ে পালিত হয় মা দিবস। সেই হিসাবে এ বছর আজ রোববার ১১ মে মা দিবস পালিত হচ্ছে।

টেক্সাস ক্রিশ্চিয়ান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিল, প্রথমবারের মতো তারা কেবল স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সনদ প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছে। যাঁদের সনদ দেওয়া হবে, তাঁদের নামের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, সেটি দেখেই আনন্দ উদ্‌যাপনের উপলক্ষ পেয়ে গিয়েছিলেন কাইল।

কারণ, তালিকায় শুধু তাঁর নাম নয়, আছে তাঁর মা ব্র্যান্ডি ফিল্ডসের নামও। কাইল লিবারেল আর্টসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি এবং তাঁর মা এক্সিকিউটিভ মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

ব্র্যান্ডি ফিল্ডস বলেছেন, ‘ছেলের সঙ্গে এই মুহূর্ত, এমন কিছু ভাগ করে নেওয়া, যা আমি কখনো কল্পনাও করিনি।’

কীভাবে ব্র্যান্ডি ও তাঁর ছেলে একসঙ্গে লেখাপড়া করেছেন এবং পরস্পরকে উৎসাহ দিয়েছেন সে কথাও স্মরণ করেছেন এই নারী।  তিনি বলেছেন, ‘রাত জেগে লেখাপড়া করা এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ জমা দেওয়ার প্রচণ্ড চাপের সময়ে আমরা একে অপরকে সাহস জুগিয়েছি।’

স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য তাঁকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ব্র্যান্ডি। তিনি বলেন, ‘অনেক বছর পর আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরে আসা একটি চ্যালেঞ্জ। তবে বিভিন্ন পেশার অভিজ্ঞ মানুষের সঙ্গে শেখার অভিজ্ঞতাটি ছিল সত্যিই অসাধারণ। শিক্ষক ও সহপাঠী, উভয়ের কাছ থেকেই আমি যে জ্ঞান অর্জন করেছি, তা অমূল্য।’

টিসিইউ অ্যাথলেটিকসে যন্ত্রপাতি ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন কাইল ফিল্ডস।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

কাশবনের হাতছানিতে ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভিড়

চারদিকে জেগে ওঠা ব্রহ্মপুত্র নদের বালুচর। এর মাঝখানে স্বচ্ছ পানির আধার। ওপরে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘ। আর চরজুড়ে শুভ্র কাশফুল। প্রকৃতির দানেই তৈরি হয়েছে এ মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। বাতাসে দুলতে থাকা কাশফুলের এ সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে দেয় একধরনের প্রশান্তি। তাই প্রতিদিনই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ভিড় করছেন এখানে।

এ অপার সৌন্দর্যের দেখা মিলবে জামালপুর শহরের ফৌজদারি এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে। প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নদের ধারে ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষের। সবাই নিজেদের মতো করে ছবি তুলছেন, কেউবা কাশফুল ছিঁড়ে তৈরি করছেন তোড়া।

গত মঙ্গলবার বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের মোড় থেকে শুরু করে নদের তীর পর্যন্ত মানুষের ভিড়। ছোট্ট একটি সেতু পার হয়ে সবাই ছুটছেন নদীর ধারে। প্রায় এক কিলোমিটারজুড়ে ফুটেছে কাশফুল। সবুজ লম্বা পাতার বুক থেকে বেরিয়ে আসা শুভ্র কাশফুল কোথাও থোকা থোকা, কোথাও গুচ্ছ আকারে। দূর থেকে মনে হবে, বালুচরে যেন সাদা চাদর বিছানো। হাওয়ায় দুলে ওঠা কাশফুলে মন ভরে যাচ্ছে দর্শনার্থীদের।
চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা। কাশফুলঘেরা সেই পানিতে ডিঙিনৌকা নিয়ে ঘুরছেন দর্শনার্থীরা। শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষ কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা সন্তানদের নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছেন।

ব্রহ্মপুত্র নদের চরের যে অংশে কাশবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেখানে জনবসতি নেই। আছে স্বচ্ছ পানির লেকের মতো একটি ডোবা

সম্পর্কিত নিবন্ধ