লা লিগার ট্রফি এখন বার্সেলোনার হাতে তুলে দেওয়াই যায়। বাকি তিন ম্যাচ থেকে দরকার মাত্র ২ পয়েন্ট। সে জন্য মাঠে নামাও জরুরি নয়। মঙ্গলবার রিয়াল মাদ্রিদ নিজেদের ম্যাচে মায়োর্কার সঙ্গে না জিতলেই ২০২৪–২৫ লা লিগায় আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে বার্সেলোনা।

কাতালান ক্লাবটির ২৮তম লিগ ট্রফি হাতের নাগালে এসেছে গতকাল রাতে এল ক্লাসিকোয় রিয়ালকে হারিয়ে দেওয়ায়। ৭ গোলের জমজমাট লড়াইয়ে বার্সার ৪–৩ ব্যবধানের জয়ে বড় অবদান লামিনে ইয়ামালের। গোল বেশি করেননি—মাত্র একটি। তবে পুরো ৯০ মিনিট রিয়াল মাদ্রিদকে চাপে রেখে দলকে ভরসা জুগিয়ে গেছেন ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ম্যাচের পর বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক বলেছেন, বয়স কম হলেও ইয়ামালের বড় কিছু করার সামর্থ্য আছে।

গতকাল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে শুরুতেই দুই গোলে পিছিয়ে পড়েছিল বার্সেলোনা। পরে এরিক গার্সিয়া এক গোল শোধ করার পর ৩২ মিনিটে ইয়ামালই দুর্দান্ত এক গোলে সমতা ফিরিয়েছেন। ম্যাচে বার্সেলোনা শট লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে ৯টি, এর মধ্যে ৫টিই ইয়ামালের। দুই দল মিলিয়ে ম্যাচের সবচেয়ে বেশি ৪টি ড্রিবলও বার্সার এই বিস্ময়বালকের।

এখনো আঠারো না হওয়া ইয়ামাল বার্সার জন্য অনেক বেশিই দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখছেন কি না, এ প্রশ্নে ফ্লিক বলেছেন, ‘সে বাচ্চা নয়। সে ভালো করছে। ভালো করার আত্মবিশ্বাসটা তার মধ্যে আছে; যেকোনো কিছু করতে পারার বিশ্বাস.

..। সে খুব বুদ্ধিমানও।’

বার্সেলোনার ৪–৩ ব্যবধানের জয়ে ইয়ামালের ভূমিকা তুলে ধরে বার্সেলোনা কোচ বলেন, ‘ওর গোলই আমাদের ম্যাচে ফিরিয়েছে। খুবই গুরুত্বপূর্ণ গোল ছিল। ১৭ বছর বয়সে এমন কিছু সত্যিই উঁচু মানের। তার কাছ থেকে আমরা এমনই চাই।’
এল ক্লাসিকো জিতে লিগ নাগালে আনার আগের ম্যাচেই ইন্টার মিলানের কাছে ৪–৩ ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। ম্যাচের পর এ নিয়ে কথা বলেছেন ইয়ামালই, ‘এই জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল; বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচটির পর, যেটা আমরা ভুলেও গিয়েছি।’
লা লিগা নিশ্চিত হলে এ বছর স্পেনের ঘরোয়া ট্রেবল জিতবে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রে—দুটিতেই রিয়ালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন ইয়ামালরা।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২২ মে থেকে বাজারে আসছে নওগাঁর আম

নওগাঁয় জাতভেদে গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আম সংগ্রহের সময়সূচি নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল এই সময়সূচি ঘোষণা করেন।

ঘোষিত আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ২২ মে থেকে গুটি আম বাজারজাত করা যাবে। এরপর পর্যায়ক্রমে উন্নত জাতের আমের মধ্যে গোপালভোগ ৩০ মে, হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাত ২ জুন থেকে থেকে পাড়া যাবে। এছাড়াও নাক ফজলি ৫ জুন, ল্যাংড়া-হাড়িভাঙা ১০ জুন, আম্রপালি ১৮ জুন, ফজলি ও ব্যানানা ম্যাঙ্গো ২৫ জুন থেকে পাড়তে পারবেন চাষিরা। সর্বশেষ ১০ জুলাই থেকে পাড়া যাবে আশ্বিনা, বারি-৪ ও গৌড়মতি।

সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, সারাদেশে নওগাঁর আমের বিশেষ সুনাম রয়েছে। ইতিমধ্যে এ জেলার নাক ফজলি আম জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। সারাদেশে নওগাঁর আম্রপালির বিশেষ চাহিদা রয়েছে। আম অপরিপক্ব অবস্থায় কেউ যেন বাজারজাত করতে না পারে সে বিষয়ে প্রশাসন সচেষ্ট থাকবে। তবে কোনো আম নির্ধারিত তারিখের আগে পরিপক্ব হলে স্থানীয় কৃষি অফিস এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে ছাড়পত্র নিয়ে বাজারজাত করতে পারবে। এর আগে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ব আম বাজারজাত করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।

সভায় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলায় এ বছর ৩০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। যা থেকে ৩ লাখ ৬৬ হাজার মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আম বেচা-কেনার আশা করা হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা।

সভায় বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, কৃষি কর্মকর্তা ও আম চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ