গায়ের রং নীল না হলেও প্রাণীটির নাম নীলগাই। আবার মোটেও এটি গরু নয়, দেখতে বরং অনেকটা ঘোড়ার মতো। তবে এটি ঘোড়াও নয়। মায়াবী এই প্রাণীকে দূর থেকে দেখে কেউ গরু, কেউ ঘোড়া, কেউ–বা হরিণ ভাবেন। পরিবেশগত বিপর্যয়ের কারণে ১৯৪০ সালের পর থেকে এ দেশের বনাঞ্চলে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে প্রাণীটি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় প্রায়ই নীলগাইয়ের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। লোকালয়ে আসামাত্রই প্রাণীটির পিছু নেন লোকজন। এতে কোনোটি মারা যায়, কোনোটি উদ্ধার হয় আহত অবস্থায়।

সর্বশেষ গত রোববার দুপুরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার গরিনাবাড়ী ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকায় ভুট্টাখেতে একটি নীলগাই দেখে তাড়া করে ধরে ফেলেন স্থানীয় লোকজন। পরে বন বিভাগের কর্মীরা আহত অবস্থায় স্ত্রী নীলগাইটি উদ্ধার করে তাঁদের কার্যালয়ের রেখে চিকিৎসা দিচ্ছেন। গত পাঁচ বছরে জেলায় এভাবে চারটি নীলগাই এসেছে। এর মধ্যে স্থানীয় লোকজনের তাড়া খেয়ে মারা গেছে একটি, স্বল্প সময় দেখা দিয়ে চলে গেছে একটি। স্থানীয় বাসিন্দারা তাড়া করে ধরেছেন দুটিকে।

বন বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রাণীবিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এ প্রাণীটি ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। তবে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পার হতে গিয়ে বেশির ভাগ নীলগাই আহত হচ্ছে। খাবারের সন্ধানে বের হয়ে, দলছুট হয়ে কিংবা কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হয়ে সীমান্ত পেরিয়ে এসব নীলগাই ছুটে আসছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের।

পঞ্চগড়ে গত রোববার উদ্ধার হওয়া আহত নীলগাইটি বন বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের একটি কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছায়ানট কমিটির পুনর্বিন্যাস, সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী

ছায়ানটের কার্যনির্বাহী সংসদ পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। শুক্রবার অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলীকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছায়ানট সভাপতি সন্‌জীদা খাতুনের প্রয়াণের পরবর্তী প্রথম বার্ষিক সাধারণ সভায় কার্যনির্বাহী সংসদ পুনর্বিন্যাস হয়েছে। নুরুন্নাহার আবেদীন ও সন্‌জীদা খাতুনের প্রয়াণের পর ছায়ানটের ট্রাস্টি বোর্ড তাঁদের শূন্য পদে সাঈদা কামাল ও রুচিরা তাবাস্‌সুম নভেদ্‌কে ট্রাস্টি নির্বাচন করেছে।

এতে বলা হয়, সভায় বাঙালি জাতিসত্ত্বা হৃদয়ে ধারণ করে সহিষ্ণু সম্প্রীতির সমাজ গড়ার প্রত্যয় ঘোষণা করা হয়। গুরুত্ব আরোপ করা হয় আবহমান বাংলা গানের নিখুঁতরূপ চর্চায় গতিবেগ সঞ্চার ও বিস্তৃতির ওপর। সভা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা এবং ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।  

পুনর্বিন্যস্ত ছায়ানট কার্যকরী সংসদ 
সভাপতি: ডা. সারওয়ার আালী
সহ-সভাপতি: খায়রুল আনম শাকিল ও পার্থ তানভীর নভেদ্
সাধারণ সম্পাদক: লাইসা আহমদ লিসা
যুগ্ম-সম্পাদক: জয়ন্ত রায় ও তানিয়া মান্নান
কোষাধ্যক্ষ: নাসেহুন আমীন

সদস্য: মফিদুল হক, শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, নাহাস খলিল, আমিনুল ইসলাম দীপু, সাহানা আক্তার রহমান পাপড়ি, মাসুদা নার্গিস আনাম কল্পনা, জুবায়ের ইউসুফ, গৌতম সরকার, জেসমিন বুলি ও সেমন্তী মঞ্জরী

সম্পর্কিত নিবন্ধ