আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ কমিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ধার করে টাকা এনে তা দিয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের নীতি নেওয়া হবে না। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সময় পাস হওয়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে ব্যয়ের আকার ছিল ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সম্ভাব্য ঘাটতি ধরা হয়েছিল ২ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বর্তমান বাজেটের চেয়ে আকারে ছোট হবে কিনা, সেই প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘বাজেট কেমন হবে সময় হলেই জানতে পারবেন। মোটামুটি বড় ধরনের বাজেট ঘাটতি আমরা রাখব না। বাস্তবসম্মত এডিপি বাস্তবায়ন করব। ধার করে বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করব না। বাজেটে কিছুটা ঘাটতি তো থাকবেই। কিন্তু ব্যাংক থেকে বেশি ঋণ নিয়ে এবং টাকা ছাপিয়ে আমরা বাজেট বাস্তবায়ন করতে যাব না।’
বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ১২টি ক্রয় প্রস্তাব উত্থাপন হওয়ার পর ১০টি অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে গানভর সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি ক্রয়। প্রতি ইউনিট ১২.

১৮ মার্কিন ডলার দরে এই এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৮৪ কোটি টাকা। এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে টিসিবির জন্য প্রতি লিটার ১৬১ টাকা দরে ১ কোটি ১০ লাখ লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। স্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান থেকে এ তেল কিনতে মোট ব্যয় হবে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সার মজুতের জন্য দুটি গুদাম নির্মাণের প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ১১৬ কোটি ৯৫ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম গ প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের দাম কমলো

অভ্যন্তরীণ রুটে লিটার প্রতি ১১১ টাকা থেকে কমিয়ে ৯৩.৫৭ টাকা এবং আন্তর্জাতিক রুটে ৭৫ সেন্টস থেকে কমিয়ে ৬০ সেন্টস নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে করে নতুন দর ঘোষণা দিয়েছেন বিইআরসি চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

নতুন দর মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। আমদানি মূল্যের অংশটুকু প্রতিমাসে সমন্বয় করার ঘোষণা দিয়েছে বিইআরসি। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দাম বেড়ে যাবে, আর কমে গেলে কমে আসবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির সদস্য মিজানুর রহমান, সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, আব্দুর রাজ্জাক ও বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহিদ সারওয়ার প্রমুখ।

এতোদিন বিপিসি নির্ধারণ করে আসছিল এই পণ্যটির দাম।  ১৫ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ফার্নেস অয়েল, জেট এ-১ এর দাম নির্ধারণের এখতিয়ার বিইআরসির ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের পর গত ২৩ মার্চ প্রথমবারের মতো জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণের গণশুনানি গ্রহণ করে বিইআরসি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) আন্তর্জাতিক রুটের জন্য লিটারে ১ সেন্টস কমানো এবং অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য ১ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল।

বিপিসির বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে জেট ফুয়েল বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৫৩৫ মেট্রিক টন। যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৪১ হাজার ৩৩ মেট্রিক টনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শর্ত মেনেই আইএমএফের ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ
  • এসএমই ফাউন্ডেশন দিয়েছে ১৪০টি প্রস্তাব
  • ৪৮ কোটি ডলারের নতুন বিনিয়োগ বেপজায়
  • ৩ দাবিতে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি জবি শিক্ষার্থীদের
  • নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহে সারের দুটি গুদাম হচ্ছে
  • বাজেট: এসএমই ফাউন্ডেশনের ১৪০ প্রস্তাবনা
  • বাজেটে তামাকপণ্যে কার্যকর করারোপের দাবি
  • উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের দাম কমলো
  • ১ কার্গো এলএনজি ও ১ কোটি ২০ লাখ লিটার ভোজ্য তেল ক্রয়ে অনুমোদন