সাভারের আশুলিয়ায় দুই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পরে মাছের ঘেরে পাওয়া গেলো মরদেহ। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু দুটি।

বুধবার (১৪ মে) সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলের শান্তিনগর এলাকায় একটি মাছের ঘের থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

নিহত লিমন হোসেন (১০) পাবনা জেলার আমিনপুর থানার রতন মিয়ার ছেলে এবং মানিক হোসেন (৮) জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার জিয়াউল হোসেনের ছেলে। তারা আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। 

স্বজনরা জানান, গতকাল রাত থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুরা। সকালে বাসার পাশের এলাকার পুকুরে শিশু দুটির মরদেহ পানিতে ভেসে থাকতে দেখেন তারা। 

আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল্লা আকন্দ জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়ণাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ঢাকা/সাব্বির/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গে আরো ২৬ বাংলাদেশি জেলে গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে আরো ২৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে তাদের মাছ ধরার ট্রলারটিও। 

রবিবার গভীর রাতে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ার অভিযোগে তাদের আটক করে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য রবিবার রাতে তাদের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ফ্রেজারগঞ্জ কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ সীমান্তে অনুপ্রবেশের অপেক্ষায় ৩০০ জন

সৌদিতে বাস-ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে ৪২ ভারতীয় ওমরাহযাত্রী নিহত

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে এসে পথ হারিয়ে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়ে ওই বাংলাদেশি মৎস্যজীবীরা। 

এর আগে, শনিবার রাতে, ২৯ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছিল এবং তাদের সোমবার কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে। এখন, আবারও, রবিবার ভোরে, আরো ২৬ জন বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হলো।

যদিও বাংলাদেশ সরকার বারবার অভিযোগ করেছে যে, ভারতীয় জেলেরা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো দেখায় যে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলারগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করছে এবং ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করছে। ফলে উপকূলীয় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করেছে কোস্টগার্ড এবং পুলিশ প্রশাসন।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ