সাভারের আশুলিয়ায় দুই মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পরে মাছের ঘেরে পাওয়া গেলো মরদেহ। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত থেকে নিখোঁজ ছিল শিশু দুটি।

বুধবার (১৪ মে) সকাল ৯টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলের শান্তিনগর এলাকায় একটি মাছের ঘের থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ উদ্ধারের পর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

নিহত লিমন হোসেন (১০) পাবনা জেলার আমিনপুর থানার রতন মিয়ার ছেলে এবং মানিক হোসেন (৮) জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার জিয়াউল হোসেনের ছেলে। তারা আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় পরিবারের সাথে ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। 

স্বজনরা জানান, গতকাল রাত থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুরা। সকালে বাসার পাশের এলাকার পুকুরে শিশু দুটির মরদেহ পানিতে ভেসে থাকতে দেখেন তারা। 

আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল্লা আকন্দ জানান, স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়ণাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ঢাকা/সাব্বির/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা জবি শিক্ষার্থীদের

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পুলিশের বাধার মুখে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কালে আজ বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এ ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে, তার বিচার করতে হবে।’

জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, ‘সরকারের এ কর্মকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। আমার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। শতাধিক শিক্ষার্থী আহত। হামলার ঘটনায় পুলিশের বিচার করতে হবে।’ 

এ সময় শিক্ষার্থী, ‘জেগেছে রে জেগেছে, জবিয়ানরা জেগেছে’, ‘আমার ভাই অনাহারে, যমুনা কি করে?, ‘এসেছি যমুনায়, যাব না খালি হাতে’, ‘আমার ভাই আহত কেন, জবাব চাই’ এসব স্লোগান দেন। 

বিকেল ৩টার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শারমিন, ব্যবসায় অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোরশেদ শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দেন।

এর আগে সকাল ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লংমার্চে শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী। লংমার্চ কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এ ঘটনায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ