লাঠিচার্জের পর বৃষ্টিতেও বিক্ষোভে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা
Published: 14th, May 2025 GMT
পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ‘লং মার্চ টু যমুনা’ ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর বৃষ্টিতেও দমেননি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর রমনায় মৎস্য ভবনের সামনে পুলিশের ব্যারিকেডের বাধায় থমকে যায় লং মার্চ টু যমুনা। সেখানে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ চড়াও হয়। তারপরও সরেননি তারা। এরপর আকাশ কালো হয়ে আসে বৃষ্টি। বৃষ্টি মাথায় তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখর করে তোলেন এলাকাটি।
পূর্ণাঙ্গ আবাসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঘোষিত বাজেটে কাটছাঁট বন্ধ করা এবং দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদনের তিন দাবিতে বুধবার (১৪ মে) সকালে লং মার্চ নিয়ে ক্যাম্পাস থেকে যমুনার দিকে রওনা হন জবি শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
সাম্য হত্যা: গ্রেপ্তার ৩, শাহবাগে বড় ভাইয়ের মামলা
বিক্ষোভের মুখে মেজাজ হারালেন ঢাবি ভিসি, ‘মার বেটা আমাকে, মার’
জবি শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ফিরবেন না।
লং মার্চে সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ছোড়া এবং লাঠিচার্জের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে কথা বলেন জবি শিক্ষার্থীরা।
তারা প্রশ্ন তুলেছেন, জুলাই বিপ্লব কি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা করেছেন? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না? তারা এলে সোজা যমুনায় প্রবেশ করতে পারে; জগন্নাথ কেন পারে না?
তাদের আরো প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে, জুলাই বিপ্লবে জগন্নাথের শিক্ষার্থীদের রক্ত কি ঝরেনি? তাহলে জগন্নাথের শিক্ষার্থীরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে এলে, তাদের ওপর কেন টিয়ার গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়া হয়?
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি আদায় না করে তারা ঘরে ফিরবেন না। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রাম সফরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের অনুষ্ঠানসহ একাধিক স্থানে গুরুত্বপূর্ণ সূচি রয়েছে তার। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিনি চট্টগ্রাম থেকেই তাদের দাবি পূরণের ঘোষণা দিলে তারা ক্যাম্পাসে ফিরে যাবেন।
ঢাকা/সুকান্ত/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘নগদে’ প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদনের শুনানি ১৯ মে
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ পরিচালনায় প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ আবেদন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৯ মে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক আজ বুধবার এদিন নির্ধারণ করেন।
এর আগে গত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নগদ’–এ প্রশাসক নিয়োগ বিষয়ে অভ্যন্তরীণ আদেশ জারি করে। প্রশাসক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলম গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর রিট করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে তা খারিজ করে রায় (রুল ডিসচার্জ) দেন। নগদ বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এজেন্ট উল্লেখ করে ঘোষিত রায়ে আদালত বলেন, আইন বাস্তবায়ন করেই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে।
নগদে প্রশাসক নিয়োগসংক্রান্ত গত বছরের ২১ আগস্টের আদেশ এবং এ নিয়ে হাইকোর্টের ১৬ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে মো. শাফায়েত আলম আপিল বিভাগে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে ৭ মে চেম্বার আদালত প্রশাসক নিয়োগসংক্রান্ত আদেশ এবং এ নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এ সময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে (নগদের স্বতন্ত্র পরিচালক মো. শাফায়েত আলম) নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ অবস্থায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল মঙ্গলবার আবেদন করে, যা আজ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের কার্যতালিকায় ৩১১ নম্বর ক্রমিকে ওঠে। আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল এবং বি এম ইলিয়াস কচি শুনানিতে ছিলেন।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি প্রথম আলোকে বলেন, নগদে প্রশাসক নিয়োগসংক্রান্ত গত বছরের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া এ–সংক্রান্ত রায় আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। এর মধ্যে শুধু প্রশাসক নিয়োগসংক্রান্ত গত বছরের ২১ আগস্টের আদেশ স্থগিতের অংশটুকু প্রত্যাহার চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই আবেদন করে। আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আবেদনটি ১৯ মে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত।