২৫ মিনিটের বেশি চুলে ঝুলে বিশ্ব রেকর্ড
Published: 15th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দা লাইলা নুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নিজের নাম লেখাতে যে কাণ্ড করেছেন, তা শুনে আপনার চোখ কপালে উঠতে পারে। তিনি ২৫ মিনিট ১১ সেকেন্ডের বেশি সময় নিজের চুলে ঝুলে ছিলেন। শুনতে যেমনই মনে হোক, কাজটি কিন্তু একেবারেই সহজ নয়, বেশ কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। যে কারণে লিলার এই খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে বাড়িতে এ কাজের চেষ্টা বিপজ্জনক হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
লিলা একজন সার্কাসশিল্পী। তিনি ২০২৪ সালের জুনে ক্যালিফোর্নিয়ার মনোরম রেডউড ন্যাশনাল অ্যান্ড স্টেট পার্কে তাঁর পনিটেইলে ২৫ মিনিট ১১ দশমিক ৩০ সেকেন্ড ঝুলে থেকে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় চুলে ঝুলে থাকার রেকর্ড গড়েছেন। এক দশকের বেশি সময় ধরে এই রেকর্ড অক্ষত ছিল।
লিলা গত বছর এই কাজ করলেও ১৩ মে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে তাঁর রেকর্ড গড়ার খবরটি প্রকাশিত হয়।
এর আগে ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার সুথাকরণ সিবাজ্ঞানাথুরাই ২৩ মিনিট ১৯ সেকেন্ড চুলে ঝুলে থেকে ওই রেকর্ড গড়েছিলেন। ১৩ বছর পর তাঁর রেকর্ডই ভাঙেন ৩৯ বছর বয়সী লাইলা। এই রেকর্ড ভাঙতে তিনি দুই বছর টানা কঠোর অনুশীলন করে গেছেন।
লিলা বলেন, মানুষ নিজের মানসিক শক্তি ব্যবহার করে কী কী করতে পারে, তা প্রমাণ করতেই তিনি শক্তির এই অসাধারণ প্রদর্শনের আয়োজন করেছেন। চুলে ঝুলে থাকার সময় লাইলার বন্ধুরা গিটার বাজিয়ে তাঁকে উৎসাহ দিয়ে গেছেন।
লিলা একজন আমেরিকান নিনজা যোদ্ধা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর কয়েক হাজার অনুসারী রয়েছে।
লিলা প্রায়ই নিজের শারীরিক কসরত প্রদর্শনের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। তিনি নানা ধরনের অ্যাক্রোবেটিক কসরত, পায়ের সাহায্যে তির ছোড়া এবং অবশ্যই চুলে ঝুলে নানান কসরত করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে