৪০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: সাদ মুসা গ্রুপের মোহসিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 15th, May 2025 GMT
করোনাকালীন সরকার প্রদত্ত প্রণোদনার ৪০৪ কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে সাদ মুসা গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ মোহসিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৭ মে) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপপরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল বাদী হয়ে মামলাটি করেন। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) কমিশনের উপপরিচালক জনসংযোগ আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
দুদক জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারার পাশাপাশি দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলণ্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
নানকের স্ত্রী-কন্যাসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
স্বামীসহ সাবেক এমপি রুবিনার বিরুদ্ধে মামলা
মামলায় ১৬ জন আসামির মধ্যে রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের কর্ণধার মঈন উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী, ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মোশতাক আহমেদ, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম বুলবুল, সাবেক পরিচালক মনোয়ারা শিকদার, পারভীন হক শিকদার, রন হক শিকদারও রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সাদ মুসা হোমটেন্দ্র অ্যান্ড ফ্লথিং লিমিটেডের মালিক ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মোহসিন এবং রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের কর্ণধার মঈন উদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র এবং অনুমোদনবিহীন প্রক্রিয়ায় প্রণোদনার ঋণ গ্রহণ করেন।
ব্যাংকের শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরিচালকেরা প্রকৃত আর্থিক প্রয়োজন যাচাই না করেই করোনাকালীন সেটিমুলাস প্যাকেজের ঋণসহ রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে ৪০৪ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করেন। এই অর্থ একাধিক লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর, ফ্লোর ক্রয়, পূর্বের ঋণ পরিশোধ ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফই বলেছিলেন নির্বাচন করতে, দাবি ফারুকের
সরকারের ‘পছন্দে’র মানুষ হিসেবে ফারুক আহমেদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) এসেছিলেন। এর মাত্র ৯ মাসের মধ্যে সেই সরকারের ‘অপছন্দে’র মানুষ হয়ে গিয়েই গত মে মাসে তাঁকে বিদায় নিতে হয় বিসিবি সভাপতির পদ থেকে।
সম্প্রতি ইউটিউবভিত্তিক টক শো অনুষ্ঠান ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’–এ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদকে বোর্ড সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। আগে দেওয়া ব্যাখ্যার সঙ্গে তাঁর নতুন সংযোজন—বিসিবির নির্বাচন করা আর ব্যবসার দিকেই নাকি ফারুকের আগ্রহ বেশি দেখা যাচ্ছিল।
সাক্ষাৎকারে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ক্রিকেটের চেয়ে ওনার আগ্রহটা আমি দেখছি যে পরবর্তীতে আবার কীভাবে সভাপতি হয়ে আসা যায়, সেটার জন্য ক্লাব কীভাবে নেওয়া যায়, সেসব দিকে। তারপর ব্যবসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দিকে ওনার আগ্রহটা বেশি দেখা গেছে…।’
গত বিপিএলে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের জন্যও উপদেষ্টা দায় দিয়েছেন ফারুককে। ফারুকের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ‘ভালো’ উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ক্রিকেটকে ব্যর্থতার হাত থেকে বাঁচাতে বিসিবির নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
ক্রীড়া উপদেষ্টার বক্তব্যের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাবেক বিসিবি সভাপতি ফারুক পাল্টা বলেছেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার পরামর্শেই বিসিবির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছিলেন তিনি। গতকাল প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘ওনার (ক্রীড়া উপদেষ্টা) অফিস থেকেই তখন আমাকে নির্বাচনের জন্য “গো এহেড” দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আমি নির্বাচনে অংশ নিলে তাদের কোনো সমস্যা নেই, আমি যেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিই। পরে হয়তো তারা উপলব্ধি করেছে, আমি তাদের স্বার্থ দেখব না। তাই সরিয়ে দিয়েছে।’
আরও পড়ুন‘ফ্যাসিস্টের দোসরদের’ ষড়যন্ত্রেই বিসিবি থেকে অপসারণ, দাবি ফারুকের০৪ জুন ২০২৫এনএসসি মনোনীত দুই পরিচালক ছাড়া বিসিবির নির্বাচনে অংশ নিতে হলে কাউন্সিলর হওয়া বাধ্যতামূলক। ক্লাব, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ছাড়াও আরও কিছু শ্রেণিতে বিসিবির কাউন্সিলর হওয়া যায়। বিসিবির ক্ষমতাসীন সভাপতি হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে অনেক সময় প্রভাব খাটিয়েও কাউন্সিলরশিপ নেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু ফারুকের দাবি, ‘আমি কোনো ক্লাব কিনিনি, কোথাও কাউন্সিলর হইনি, কাউন্সিলরশিপের জন্য কাউকে টাকা দিইনি। এমনকি এখন পর্যন্ত আমি বিসিবির কাউন্সিলর নই।’
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ক্রীড়া উপদেষ্টার কার্যালয়ের ‘পরামর্শ’ পাওয়ার পর ফারুকও প্রাথমিক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। এ ব্যাপারে তাঁর ব্যাখ্যা, ‘হুট করে তো নির্বাচন করা যায় না! আমাকে আগে কোথাও থেকে কাউন্সিলর হতে হবে। সে জন্য একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কাজেই আমি যদি নির্বাচন নিয়ে কারও সঙ্গে সলাপরামর্শ করিও, সেটাকে অন্যায় বলা যাবে না। কারণ, কাউন্সিলর না হলে আমি নির্বাচন করতে পারব না।’
২০২৪ সালের অক্টোবরে ক্রীড়া উপদেষ্টা যখন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে যান