বিশ্ব আলো দিবসে খুশির আলো ছড়ানোর প্রত্যয়ে আকিজ এলইডি লাইট
Published: 15th, May 2025 GMT
বর্তমানে দেশের বাজারে নিম্নমানের ও সস্তা ইলেকট্রিক পণ্যের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ গ্রাহক প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মুখে পড়ছেন। অগ্নিকাণ্ড, শর্ট সার্কিট ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচের মতো সমস্যাগুলোর মূল কারণ এসব নিম্নমানের পণ্য। এ বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে ২০২৩ সালে যাত্রা শুরু করে আকিজ ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড, যার মূল লক্ষ্য—নিরাপদ, টেকসই এবং আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহের মাধ্যমে দেশীয় বাজারে আস্থা তৈরি করা।
আকিজ ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডের অপারেশন হেড এস এম এ আওয়াল বলেন, আকিজ এলইডি লাইটে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত প্রযুক্তির হাই-এফিসিয়েন্সি এলইডি চিপ এবং ড্রাইভার, যা দীর্ঘদিন উজ্জ্বল আলো প্রদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে আনে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ডিজাইন ও টেস্টকৃত, যা অতিরিক্ত তাপ উৎপাদন রোধ করে লাইটের স্থায়িত্ব বাড়ায় এবং পরিবেশবান্ধব আলোর অভিজ্ঞতা প্রদান করে ফলে ব্যবহারকারীরা পান আরও কম খরচে দীর্ঘমেয়াদি এবং নিরবচ্ছিন্ন আলো।
আকিজ এলইডি লাইটের আলো চোখের জন্য আরামদায়ক—এতে ফ্লিকার বা অতিরিক্ত তীব্রতার ঝুঁকি নেই, ফলে দীর্ঘসময় ব্যবহারে চোখে চাপ পড়ে না। তাই ব্যবহারকারীরা পান দীর্ঘমেয়াদি, নিরবচ্ছিন্ন এবং চোখের জন্য নিরাপদ আলো।
আমরা অনেকেই খরচ কমানোর আশায় কম দামি লাইট বেছে নেই, কিন্তু এ লাইটগুলো বেশি দিন টেকে না এবং দ্রুতই আলো কমে যায় বা বিকল হয়ে পড়ে। নিম্নমানের লাইটে ব্যবহৃত উপকরণ ও বর্জ্য পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, যা দীর্ঘমেয়াদে আমাদের স্বাস্থ্যের ও প্রকৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ।
আকিজের লাইটিং পণ্যের মধ্যে রয়েছে ইমারজেন্সি লাইট, পাওয়ার লাইট, টিউব লাইট, সুপার ব্রাইট এলইডি বাল্ব, কালার বাল্ব, প্যানেল লাইট এবং ডাউন লাইটসহ নানা ধরনের উচ্চমানের এলইডি লাইট এবং খুব শিগগিরই আকিজের পণ্যের তালিকায় যুক্ত হচ্ছে স্মার্ট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইট সল্যুশন, যা আধুনিক জীবনধারা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আমরা বিশ্বাস করি, সঠিক প্রযুক্তি ও মানসম্মত পণ্যের মাধ্যমে খুশির আলোকিত হবে ঘর, প্রতিষ্ঠান এবং আগামী দিনের পথচলা।
এ বিশ্ব আলো দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—আমরা বেছে নেব এমন আলো, যা হবে নিরাপদ, সাশ্রয়ী, দীর্ঘস্থায়ী এবং পরিবেশবান্ধব। তাই আকিজ-ই হোক আপনার প্রথম পছন্দ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি
চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।
এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।
আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।
এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।
এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।