সেবা দিয়ে জনগণের মন জয় করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
Published: 18th, May 2025 GMT
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত আইনানুগ সেবা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের মন জয় করতে হবে। এ দেশের মানুষের জন্য ইতিবাচক কাজ করে পুলিশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে হবে।
রবিবার (১৮ মে) সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত গ্র্যান্ড মাস্টার প্যারেড পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে প্যারেডে অংশগ্রহণকারী অফিসার ও ফোর্সদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘‘মাস্টার প্যারেডের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে অফিসার ও ফোর্সদের মধ্যে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা। পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এখানে শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং আইন ও বিধির বাইরে কোন কাজ করার সুযোগ নেই। আপনারা সপ্তাহে একদিন আপনাদের কর্মস্থলগুলো পরিষ্কার করবেন। জনগণের কল্যাণে ও পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও বাড়াতে যার যার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে ডিএমপিকে আরও আধুনিক, গতিশীল এবং জনগণের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারব।’’
আরো পড়ুন:
পদ্মায় গোসলে নেমে যুবকের মৃত্যু
নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১
তিনি আরও বলেন, ‘‘মানুষের সেবায় প্রতিটি কাজ পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পাদন করতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতিতে দৃঢ় মনোবল নিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। নিজেদের মনোবল সবসময় চাঙ্গা রাখতে হবে।’’
নিরপেক্ষ থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে জনসেবায় নিয়োজিত করার নির্দেশনা প্রদান করেন ডিএমপি কমিশনার।
এর আগে পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়াতে ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সকালে বর্ণাঢ্য আয়োজন ও আনন্দমুখর পরিবেশে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ গ্র্যান্ড মাস্টার প্যারেড। প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার রওনক আলম। প্যারেডের শুরুতে ডিএমপি কমিশনার প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে তাকে সুসজ্জিত বাদক দলের সমন্বয়ে সশস্ত্র সালাম দেওয়া হয়। ডিএমপি কমিশনার সালাম গ্রহণ করেন। সালাম গ্রহণ শেষে তিনি ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট পরিদর্শন করেন।
মাস্টার প্যারেডে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মোঃ মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মোঃ শওকত আলীসহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ, ডিএমপির সকল থানার অফিসার ইনচার্জগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এম/আর
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জনগণ র অফ স র ড এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
নার্সদের অমর্যাদাকর অবস্থানে রাখা হয়েছে: ফরহাদ মজহার
বাংলাদেশে জনগণের স্বাস্থ্যব্যবস্থা নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি হলেও এখানে পেশা হিসেবে নার্সদের অমর্যাদাসম্পন্ন একটা অবস্থানে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘নার্সদের ডাক্তারি ব্যবস্থার অধীন একটা পেশা হিসেবে যে দেখা হয়, আমরা মনে করি এটা ভুল। এখান থেকে মুক্ত হতে হবে। নার্স সেবাটা স্বাস্থ্যসেবার একটা মৌলিক দিক। ফলে তাঁদের স্বাধীনভাবে এই পেশাকে চর্চা করবার সুযোগ–সুবিধা দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ফরহাদ মজহার। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) ও স্বাস্থ্য আন্দোলন। স্বাস্থ্য আন্দোলনের পক্ষে বক্তব্য দেন ফরহাদ মজহার।
সরকার স্বাস্থ্যকে এখন আর জনগণের অধিকার হিসেবে স্বীকার করছে না বলে অভিযোগ করেন ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, ‘এখন স্বাস্থ্যকে অধিকার নয়, বাজারজাত পণ্য বানানো হয়েছে। টাকা থাকলে চিকিৎসা পাবেন, টাকা না থাকলে নয়।’
নার্সদের স্বাধীন পেশাগত চর্চা, পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ, ন্যায্য বেতন ও মর্যাদা নিশ্চিতের জন্য জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সদেরকে ডাক্তারদের হুকুমমতো চলতে হবে—এই ধারণা ভাঙতে হবে। স্বাস্থ্য মানে শুধু প্রেসক্রিপশন নয়, প্রতিরোধও একটি বড় দিক। নার্সদের মর্যাদা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত হলে জনগণ প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা পাবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরহাদ মজহার বলেন, নার্সিং স্বাস্থ্যসেবার এক মৌলিক দিক। কিন্তু আমাদের সমাজে চিকিৎসাকে ডাক্তারিকরণ বা মেডিক্যালাইজেশন করা হয়েছে। অনেক রোগে ডাক্তার কিংবা ওষুধের প্রয়োজনই হয় না। এ জায়গায় নার্সরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএনএ) সভাপতি মো. শরিফুল ইসলাম। এক মাসের মধ্যে নার্সিং কমিশন গঠনের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সঞ্চালনা করেন বিএনএর সহসভাপতি মাহমুদ হোসেন তমাল। এতে উপস্থিত ছিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারপারসন জরিনা খাতুন, সহসভাপতি মনির হোসেন ভূঁইয়া এবং সংগঠনের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী।