অভিষেককে মাঠ ছাড়তে বলে ১ ম্যাচ নিষিদ্ধ লক্ষ্ণৌর স্পিনার
Published: 20th, May 2025 GMT
আইপিএলে বারবার আচরণবিধি ভেঙে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছেন লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের লেগস্পিনার দিগ্বেশ রাঠি। এবার সেই বিতর্কে আরও বড় শাস্তি পেলেন তিনি। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে অনভিপ্রেত আচরণের কারণে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন এই স্পিনার। একই সঙ্গে গুনতে হচ্ছে ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা।
লক্ষ্ণৌর হোম ভেন্যুতে হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচে রান তাড়ার সময় অষ্টম ওভারে ঘটে এই বিতর্কিত ঘটনা। ব্যাটার অভিষেক শর্মাকে আউট করে হাত নাড়িয়ে তাকে দ্রুত মাঠ ছেড়ে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন দিগ্বেশ। এরপর ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’ও করেন। হায়দরাবাদের ব্যাটার এরপর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি। তিনি দিগ্বেশের দিকে এগিয়ে আসেন। হেলমেট খুলে কিছু বলেন লক্ষ্ণৌর স্পিনারকে। পাল্টা কথা বলেন দিগ্বেশও। দুইজনের মধ্যে কথার লড়াই শুরু হলে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে হস্তক্ষেপ করতে হয় আম্পায়ার মাইকেল গফকে।
এই ঘটনায় দিগ্বেশের ঝুলিতে যোগ হয়েছে আরও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট, যার ফলে তার মোট ডিমেরিট পয়েন্ট দাঁড়াল পাঁচে। আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, চার বা ততোধিক ডিমেরিট পয়েন্ট হলে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কার্যকর হয়। সে অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে লক্ষ্ণৌর ম্যাচে খেলতে পারবেন না রাঠি।
এই মৌসুমে দিগ্বেশ এর আগেও মাত্রা ছাড়ানো উদযাপনের কারণে একাধিকবার সতর্ক হয়েছেন এবং ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। এবার নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পাওয়ায় আগামী দিনে আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে তাকে। কারণ আইপিএলের কোড অব কন্ডাক্ট অনুযায়ী, ব্যক্তিগত ডিমেরিট পয়েন্ট সংরক্ষিত থাকে ৩৬ মাস পর্যন্ত। অর্থাৎ ভবিষ্যত মৌসুমেও এসব পয়েন্ট তার বিপক্ষে যেতে পারে।
আইপিএলের শৃঙ্খলা নীতিমতে, ৮ ডিমেরিট পয়েন্টে দুই ম্যাচ এবং ১১ ডিমেরিট পয়েন্ট হলে তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: লক ষ ণ র
এছাড়াও পড়ুন:
নোয়াখালীতে ডোবা থেকে নিখোঁজ অটোরিকশাচালকের গলিত লাশ উদ্ধার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার জয়াগ গ্রামের একটি ডোবা থেকে এক অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম রাহেদ হোসেন (১৮)। তিনি পার্শ্ববর্তী লক্ষ্মীপর জেলার রামগঞ্জ থানার ৬ নম্বর লাচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর খাসের বাড়ির ইউছুফ কামালের ছেলে। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে সোনাইমুড়ী-চাটখিল ও লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশে জয়াগ গ্রামের জেলে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় এক ব্যক্তি মাছের পোনা ছাড়তে যান। এ সময় তিনি সেখানে দেখেন, কচুরিপানার ভেতরে এক ব্যক্তির গলিত লাশ পড়ে আছে। এরপর পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। নিহত ব্যক্তির বাবা ঘটনাস্থলে এসে জামা-কাপড় দেখে লাশটি শনাক্ত করেন।
নিহত রাহেদ হোসেনের বাবা ইউছুফ কামাল বলেন, তাঁর ছেলে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। ১৬-১৭ দিন আগে অটোরিকশাটি নিয়ে ঘর থেকে বের হন। এরপর আর বাড়িতে না ফেরায় রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, গলিত লাশটির হাড় বের হয়ে এসেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশটি থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
ওসি মোরশেদ আলম আরও বলেন, পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা রাহেদকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত থাকতে পারে, সে বিষয়ে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।