‘উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় বাড়ানো প্রয়োজন’
Published: 20th, May 2025 GMT
পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক কিশোরী ও নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের ‘স্বপ্নের সারথি’ প্রকল্পের বিশেষ সমন্বয় সভা হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এই সভায় উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরো বেশি সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “বান্দরবানের রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলে আরো কাজ করার জন্য আমি জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টকে আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের প্রতিষ্ঠান হিসেবে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজগুলো করতে হবে।”
জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের ‘স্বপ্নের সারথি’ প্রকল্পের এই সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল প্রকল্পের চলমান অগ্রগতি, ভবিষ্যৎ কার্যক্রমসহ প্রকল্পের সার্বিক বিষয়াদি সম্পর্কে বান্দরবান জেলার সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করা এবং প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া কিশোরী ও নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানে সহযোগিতার আহ্বান জানানো।
বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক নু ক্রাচিং মার্মা বলেন, ‘‘বান্দরবানের নারীরা সাধারণত পুরুষ অপেক্ষা অধিক পরিশ্রমী হয়ে থাকে তবুও কর্মক্ষেত্রে তারা পিছিয়ে আছে। তাদের উপযুক্ত দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধন করা যেতে পারে।”
স্বপ্নের সারথি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক শোয়ে ওয়াই চিং বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে স্বপ্নের সারথি প্রকল্প ১৩-২৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে দক্ষতা উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। আমরা সকল অংশীদারদের থেকে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।”
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু তালেব, বান্দরবান যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক এনায়েত করিম, সরকারি ও বেসরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ঢাকা/চাইমং/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ন দরব ন প রকল প র ব সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ট্যুরিজম আর্কিটেকচার সামিট
কক্সবাজারে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে দুই দিনব্যাপী ‘ডিসকোর্স বাই দ্য শোর: ট্যুরিজম আর্কিটেকচার সামিট-২০২৫’। ১১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের প্যাঁচার দ্বীপ সৈকতের পরিবেশবান্ধব ‘মারমেইড বিচ রিসোর্টে’ এই সম্মেলন শুরু হবে। শেষ হবে ১২ জুলাই।
স্থপতি মেরিনা তাবাসসুমের তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই সম্মেলনে মূলত পরিবেশবান্ধব পর্যটন এবং জলবায়ু নিয়ে আলোচনা হবে।
কক্সবাজারে ইতিমধ্যে অপরিকল্পিতভাবে পাঁচ শতাধিক হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউস, কটেজ ও কয়েক শ রেস্তোরাঁ তৈরি হয়েছে। সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে না ওঠায় এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরের প্রধান সড়ক, সৈকত সড়কসহ অলিগলি ডুবে যায়। হোটেল-রেস্তোরাঁর বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ে সমুদ্র ও নদীর পানিতে। তাতে পরিবেশ-প্রতিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা কক্সবাজারের প্রাকৃতিক পরিবেশও নানা কৌশলে ধ্বংস হচ্ছে। ভ্রমণে আসা পর্যটকদের বিনোদনে নতুন ক্ষেত্রও তৈরি হচ্ছে না।
দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে স্থাপত্যের মাধ্যমে কীভাবে টেকসই পর্যটনকে সমর্থন করা যায় এবং পরিবেশগত ভারসাম্য ও সাংস্কৃতিক ঐহিত্য তুলে ধরা যায়—এর একটা উপায় বের করা হবে। বাংলাদেশের স্বনামধন্য স্থপতিরা টেকসই পর্যটন, স্থাপনা নির্মাণ, উপকূলীয় প্রতিরোধক্ষমতা এবং স্থানীয় বাস্তবতাভিত্তিক স্থাপত্যচর্চার সংযোগ নিয়ে আলোচনা করবেন।
সম্মেলন শুরু হবে ‘ইকো ট্যুরিজম এবং স্থাপত্যচর্চায় টেকসইতা’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে। যেখানে উপস্থিত থাকবেন স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম, খোন্দকার হাসিবুল কবির ও এহসান খান। বিকেলে সাতজন স্থপতি তাঁদের প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করবেন। পরে একটি গাইডেড সান-সেট মেডিটেশনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশে নকশা তৈরি করা হবে।
দ্বিতীয় দিনে আরও ১০ জন স্থপতি দুটি সেশনে তাঁদের ধারণাগুলো তুলে ধরবেন। সম্মেলন শেষ হবে একটি ওপেন ফ্লোর প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে, যার মডারেটর হিসেবে থাকবেন মাহমুদুল আনওয়ার রিয়াদ ও নাহাস খলিল। সমাপনী বক্তব্যে সম্মেলনের সারমর্ম তুলে ধরবেন মেরিনা তাবাসসুম।
সম্মেলনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান মারমেইড বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিসুল হক চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার এখনো বিকাশমান একটি অঞ্চল, পরিবেশবান্ধব কক্সবাজার গড়তে এই সম্মেলন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সম্মেলনে উপকূলীয়, সাংস্কৃতিক এবং টেকসই প্রসঙ্গে কাজ করা স্থপতিরা অংশ নেবেন। তাঁরা পর্যটননির্ভর উন্নয়নে স্থাপত্যের ভূমিকা পুনর্নির্মাণ করবেন।