ছেলেটির আদর্শ নেইমার, কিন্তু খেলার ধাঁচ লিওনেল মেসির মতো।

নাইকি তার সঙ্গে স্পনসরচুক্তি করে যখন, তার বয়স মাত্র ১০ বছর। পেলে–গারিঞ্চা থেকে রোনালদো–রোনালদিনিওদের দেশের ফুটবল ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে নাইকির সঙ্গে চুক্তি করা নিশ্চয়ই চাট্টিখানি কথা নয়! ভেতরে অবশ্যই কিছু থাকতে হয়। আর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক এ প্রতিষ্ঠান যে ভুল করেনি, সেটা চার বছর পরই বুঝিয়ে দেয় ছেলেটি। যোগ দেয় ব্রাজিলের অন্যতম বড় ক্লাব পালমেইরাসে। পেশাদার ফুটবলে অভিষেক দুই বছর পরই, মাত্র ১৬ বছরে!

আরও পড়ুনব্রাজিলের ক্লাবকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আবার ব্রাজিলের ক্লাবই পেল চেলসি ২১ ঘণ্টা আগে

প্রতিভাবান ফুটবলার–প্রসবাভূমি ব্রাজিলে তাকে প্রথম আবিষ্কার করেছিল ক্রুজেইরোর স্কাউটরা। তাদের অনূর্ধ্ব–৯ দলে প্রথম সবার নজরে পড়ে ছেলেটি। ক্রুজেইরোর স্কাউটরা পাকা জহুরির মতো রত্ন চিনতে পেরে তার পরিবারকে সাও পাওলো থেকে বেলো হরাইজন্তেতে (ক্রুজেইরো সেখানকার ক্লাব) নিয়ে গিয়েছিল। এস্তেভাও উইলিয়ানের বাকিটা এত দিনে প্রায় সবারই জানা।

ক্রুজেইরোর একাডেমিতে সকালে যেতে হতো স্কুলে। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পর অনুশীলন, কখনো আবার একটু অবসর, তখন করতে হতো স্কুলের হোমওয়ার্ক। আর সন্ধ্যায় স্কুলের ফুটসাল দলের হয়ে অনুশীলন। ১৩ বছর বয়সে এস্তেভাও ফুটবল কিংবা ফুটসালে এতটাই ভালো ছিল যে স্কুলের অনূর্ধ্ব–১৫ দলের কোচ আন্তোনিও অগাস্তো তাকে বড়দের সঙ্গে খেলাতে নিজের দলে ডেকে নেন, ‘তার বয়সে যেটা স্বাভাবিক, সে তার চেয়েও অনেক এগিয়ে। উদ্ভাবনী বুদ্ধির পাশাপাশি খুব তীক্ষ্ণ, বলের ওপর দখলও খুব ভালো—অনেকটাই মেসির খেলার মতো।’

ব্রাজিল ছেড়ে ইউরোপে এস্তেভাও কতটা ভালো করতে পারবেন তা সময়ই বলে দেবে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এস ত ভ ও ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

এক পত্রের পরীক্ষায় প্রশ্ন অন্য পত্রের, ৬ জনকে অব্যাহতি

যশোর বোর্ডের অধীনে কুষ্টিয়ার আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণের ঘটনায় কেন্দ্র সচিবসহ ছয়জনকে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বিতরণ করা ভুল প্রশ্নপত্র নতুন করে ছাপার কাজ চলছে। এ ঘটনায় যশোর শিক্ষা বোর্ড ও কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুক্রবার (১১ জুলাই) শিক্ষা বোর্ড থেকে গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছে। তদন্ত কমিটি বলছে, প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আসার আগে যে ধাপগুলো আছে, সেই হিসেবে এক পরীক্ষার প্রশ্ন আরেক পরীক্ষায় আসা অনেকটা অসম্ভব বলা যায়।

ট্রেজারিতে প্যাকেটবন্দির সময় যদি সতর্কতার সঙ্গে কাজগুলো করা হয়, তাহলে এ ধরনের ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। এ ক্ষেত্রে দায়িত্বে থাকা কলেজের চার শিক্ষকের ভুলের কারণেই এমনটা হয়েছে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর শিক্ষা বোর্ডের গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত টিম আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে আসে। সেখানে বেলা ৩টা পর্যন্ত তারা অবস্থান করেন। এরপর তদন্ত কাজ শেষ করে বের হয়ে যান। 

এর আগে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আজব আলী জোয়ার্দ্দারকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা করে নতুন করে তিন সদস্যের পরীক্ষা পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।

অব্যাহতি পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ও কেন্দ্র সচিব সালাহ্ উদ্দিন, পরিচালনা কমিটির সদস্য রাজু উদ্দিন আহমেদ, সেলিম উদ্দিন, আব্দুর জব্বার, হারুনার রশিদ ও ট্যাগ অফিসার। 

কেন্দ্র সচিব ও আদর্শ ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সালাহ্ উদ্দিন বলেন, ‘‘তদন্ত কমিটি লিখিতভাবে কিছু না জানালেও ওই চার শিক্ষকসহ আমাকে কেন্দ্রের পরিচালনা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

এ বিষয়ে মো. মিজানুর রহমান বলেন, “যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নতুন করে ছাপার কাজ চলছে। আজকে রাতের মধ্যে প্রশ্নপত্র সব জায়গায় পৌঁছে যাবে। এছাড়া কেন্দ্রের পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে থাকা ছয়জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”

যশোর বোর্ডের তদন্ত টিম আজ কেন্দ্র ঘুরে গেছে। এর পাশাপাশি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরআগে বৃহস্পতিবার আদর্শ মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে মানবিক বিভাগের যুক্তিবিদ্যা বিষয়ের প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। সৃজনশীল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ৩০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন বিতরণ করা হয়।

ঢাকা/কাঞ্চন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ