বোথামের দুষ্টুমি: অ্যালসেশিয়ান কুকুর দিয়ে গাভাস্কারকে ফোনবুথে আটকে রাখার গল্প
Published: 6th, July 2025 GMT
ক্রিকেটমহলে একটা কথা আছে, আপনি যদি স্যার ইয়ান বোথামের আশপাশে থাকেন, আপনার জীবন কখনো একঘেয়ে বা নীরস হতেই পারে না! ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সেরা অলরাউন্ডার, সম্ভবত সেরা ক্রিকেটার এবং অন্যতম সেরা এই ক্রীড়াবিদ তাঁর বন্ধু ও সতীর্থদের কাছে পরিচিত ‘বিফি’ নামে। মাঠে ও মাঠের বাইরে তাঁর মতো বর্ণাঢ্য চরিত্র ক্রিকেট ইতিহাসেই বিরল। ‘বিফি’স ক্রিকেট টেলস: মাই ফেবারিট স্টোরিস ফ্রম অন অ্যান্ড অফ দ্য ফিল্ড’—বইটাও যেন বোথামের জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। বন্ধু, সতীর্থ, প্রতিপক্ষ—সবার গল্প নিয়ে বোথামের পছন্দের এক সংকলন। যে গল্পগুলো পাঠক হিসেবে আপনাকে কখনো হাসাবে, কখনো মনে করিয়ে দেবে—ক্রিকেট মানে শুধু রান আর উইকেট নয়, এর চেয়ে বেশি কিছু।
বইটির আরেকটা বিশেষত্ব হচ্ছে, যিনি গল্প বলছেন, শুরুতে বোথাম তাঁকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন নিজের মতো করে। সেটাও বেশ আকর্ষণীয়। বন্ধু, সতীর্থ, প্রতিপক্ষ—কার সম্পর্কে বোথাম কী ভাবেন, সেটা বোঝা যায় সেই পরিচয়পর্বে।
ক্রিকেট খেলতে খেলতেই কত যে বন্ধু বানিয়েছি, নাম মনে করতে গেলে মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার দশা। আবার ভাববেন না যে মাথাটা মাঝেমধ্যে ব্যবহার করতে যাই বলেই এ রকম হয়। আসলেই আমার বন্ধুদের সংখ্যা গুনে শেষ করা যাবে না। তবে একজন বন্ধু, যাকে আমি কখনো ভুলব না, ভুলতে চাইও না, সে হলো সুনীল গাভাস্কার—‘অরিজিনাল লিটল মাস্টার’।
অসাধারণ এক ব্যাটসম্যান। অবিশ্বাস্য টেকনিকের সঙ্গে সাধু-সন্ন্যাসীর মতো ধৈর্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা উইকেটে পড়ে থাকতে পারত, যতক্ষণ না তার দল একটা ভালো অবস্থানে পৌঁছায়।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় শয়নকক্ষ থেকে নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
কুমিল্লায় মিলন আক্তার (৫৪) নামে এক নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় নগরীর উত্তর রেসকোর্সের কাঠেরপুল এলাকায় নিজ শয়নকক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মিলন আক্তারের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার নিমসার (শিকারপুর) গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাঠেরপুল এলাকায় মজুমদার ভিলার দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রায় ১৫ বছর আগে মিলন আক্তারের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি ঘটে। এরপর থেকে তিনি একাই থাকতেন। সম্প্রতি তার মা চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী যান। ফলে গত কয়েকদিন ধরে তিনি বাসায় একাই ছিলেন।
নিহতের তিন মেয়ের একজন ইউরোপে স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন। একজন নোয়াখালীতে ও ছোট মেয়ে তানজিনা আক্তার থাকেন রেসকোর্স এলাকারই একটি ভাড়া বাসায়।
তানজিনা জানান, গতকাল থেকে মিলন আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। শুক্রবার সন্ধ্যায় মায়ের বাসায় আসেন। দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে মাকে না পেয়ে খাটের নিচে তাকান। এ সময় রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তদন্ত চলছে, বিস্তারিত পরে জানানো হবে।”
ঢাকা/রুবেল/রাজীব