প্রতীকী ছবি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পশুর নদীতে অর্ধনিমজ্জিত ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই কার্গো জাহাজ

মোংলা বন্দরের পশুর ও মোংলা নদীর মোহনায় অর্ধনিমজ্জিত হয়েছে ফ্লাইঅ্যাশ (সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল) বোঝাই কার্গো জাহাজ। তবে যে কোনো সময় এটি নদীতে পুরোপুরি ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে মোংলা নদী ও পশু নদীর ত্রিমোহনা সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজ এমভি মিজান-১ এর ড্রাইভার শওকত শেখ জানান, তাদের জাহাজটি পশুর চ্যানেলে এ্যাংকর করা অবস্থায় ছিল। শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে এমভিকে আলম গুলশান-২ নামক অপর একটি লাইটার কার্গো জাহাজ এ্যাংকর করে থাকা এমভি মিজান-১ কার্গো জাহাজের ওপর উঠিয়ে দেয়। এ সময় লাইটার কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ওই কার্গো জাহাজটি নদীতে অর্ধনিমজ্জিত হয়। ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটিতে ৯১৪ টন ফ্লাইঅ্যাশ ছিল। ভারতের কলকাতার ভেন্ডেল এলাকা থেকে ফ্লাইঅ্যাশ বোঝাই করেছিল মিজান-১। ঢাকার নারায়ণগঞ্জের বসুন্ধরার ঘাটে যাওয়ার পথিমধ্যে যাত্রাবিরতিকালে মোংলা বন্দরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

কার্গোর মাস্টার বেল্লাল হোসেন জানান, লাইটার জাহাজের ধাক্কায় তাদের কার্গো জাহাজের পাশ ও তলা ফেটে নদীতে অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। তবে যে কোনো সময় এটি পুরোপুরি ডুবে যেতে পারে। ওই জাহাজে থাকা ১০ জন স্টাফই অন্য নৌযানে কুলে উঠে এখন নিরাপদ রয়েছেন।

এদিকে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের চরে এ নৌযান দুর্ঘটনা ঘটলেও বন্দর চ্যানেল পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, কার্গো জাহাজ এমভি মিজান-১ অপর একটি লাইটার জাহাজ এমভিকে আলম গুলশান-২ এর ধাক্কায় পশুর নদীর চরে ডুবে গেছে। তবে বন্দর চ্যানেল সুরক্ষিত রয়েছে। বন্দর চ্যানেল দিয়ে সকল ধরনের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ