Prothomalo:
2025-11-02@21:46:34 GMT

গ্রিন টি কি সত্যিই উপকারী

Published: 21st, May 2025 GMT

ওজন কমাতে গ্রিন টি দারুণ জনপ্রিয়। স্বাদের বিচারে হয়তো অনেকেই এই পানীয়কে খুব একটা এগিয়ে রাখবেন না, তবে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ গ্রিন টি গ্রহণ করেন এর গুণের জন্যই। চলুন, জেনে নেওয়া যাক, সত্যিই কি গ্রিন টি গুণে ভরপুর?

গ্রিন টিতে থাকে পলিফেনল নামের বিশেষ উপাদান, যা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। গ্রিন টি থেকে যতটা উপকার মেলে, তার বেশির ভাগই পাওয়া যায় এই উপাদানটির কারণে। তবে এ কথাও মনে রাখা প্রয়োজন, এক কাপ গ্রিন টি তৈরি করা হলে তাতে এতটাও বেশি পরিমাণে পলিফেনল থাকে না, যা আপনার স্বাস্থ্যের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে কেবল এক কাপ গ্রিন টি পান যথেষ্ট নয়। এমনটাই বলছিলেন টাঙ্গাইলের সরকারি কুমুদিনী কলেজের গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের প্রধান শম্পা শারমিন খান।

ওজন কমাতে গ্রিন টি

গ্রিন টি সরাসরি আপনার ওজন কমাবে না। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে বাড়তি মেদ ঝরে যাবে, এমনটা ভেবে নেওয়া যাবে না। গ্রিন টি আমাদের বিপাক হার বাড়ায়। অর্থাৎ ক্যালরি পোড়ানোর কাজটা ত্বরান্বিত হয় গ্রিন টির প্রভাবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য আপনাকে শরীরচর্চা করতেই হবে। গ্রিন টি কখনোই শরীরচর্চার বিকল্প নয়। তবে রোজ এই পানীয় পান করলে আপনার শরীরচর্চাটা আরও বেশি কার্যকর হয়ে উঠবে। গ্রিন টি পান করলে বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতাও কমে। বুঝতেই পারছেন, সব মিলিয়ে ওজন কমাতে গ্রিন টি একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

মারাত্মক কিছু রোগের ঝুঁকি কমাতে

নিয়মিত গ্রিন টি পান করা হলে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্​রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও এসব রোগের ঝুঁকি কমে যায়। অনেকেই কম বয়সে এসব মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হন। তাই সচেতনতা প্রয়োজন সবারই। অন্যান্য অনেক পানীয়ের চেয়ে গ্রিন টি অনেক বেশি নিরাপদ।

সতেজতার আমেজ

যেকোনো চা পান করলেই আপনি সতেজ অনুভব করেন। গ্রিন টিও এর ব্যতিক্রম নয়। নির্দিষ্ট কাজে মনস্থির করতে ও লম্বা সময়ের জন্য মনোযোগ ধরে রাখতে গ্রিন টি দারুণ উপকারী।

ত্বক ও চুলের সুস্থতায়

বয়সের ছাপ এড়াতে সাহায্য করে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট–জাতীয় উপাদান। অন্যদিকে আবার প্রদাহ কমাতেও সাহায্য করে গ্রিন টি।

কতটা গ্রিন টি চাই রোজ?

গ্রিন টির অধিকাংশ উপকার পেতে আপনাকে রোজ অন্তত চার কাপ গ্রিন টি পান করতে হবে। অন্যান্য চা দু–এক কাপের বেশি পান করা বারণ হলেও অধিকাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্যই চার থেকে পাঁচ কাপ গ্রিন টি পান ক্ষতিকর নয়। 

কীভাবে পান করবেন, কখন

গ্রিন টি পানের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা আগে ও পরে কোনো না কোনো খাবার খাওয়া উচিত। ধরুন, আপনি সকাল সাতটায় নাশতা করেছেন। তাহলে সকাল ৯টায় আপনি দুই কাপ গ্রিন টি খেতে পারেন। বেলা ১১টা নাগাদ আপনাকে আবার হালকা খাবার খেয়ে নিতে হবে। আবার দুপুরের খাবার খাওয়ার দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পরেও আপনি চাইলে দুই কাপ গ্রিন টি পান করতে পারেন। গ্রিন টি পানের দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পর আবার আপনাকে হালকা খাবার খেতে হবে। খালি পেটে গ্রিন টি পান করা একেবারেই অনুচিত। নিয়ম না মেনে গ্রিন টি পান করলে আপনি অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, টি ব্যাগের চেয়ে শুকনা পাতা দিয়ে গ্রিন টি বানিয়ে পান করা বেশি ভালো। শুকনা পাতা থেকে গ্রিন টি তৈরি করা খুবই সহজ। ১০০ মিলিলিটার গরম পানিতে আধা চা–চামচ শুকনা গ্রিন টি ছেড়ে দিয়ে ঢেকে রাখুন। পাঁচ মিনিট পর তা একটু নেড়ে খেয়ে নিতে পারবেন আপনি।

গ্রিন টি গ্রহণে যে ভুল করা যাবে না

স্বাদ বাড়াতে চিনি বা মধুর মতো কোনো উপকরণ এতে যোগ করবেন না। যেকোনো পানীয়ে নিয়মিত চিনি যোগ করে পান করলে আপনার ওজন বাড়বে, আরও বাড়বে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি। মধু বা গুড়ও চিনির বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। তাতেও লাভ নেই। তা ছাড়া বাদামি চিনি কিংবা আর্টিফিশিয়াল সুইটনারও চিনির স্বাস্থ্যকর বিকল্প নয়। তাই এসব উপকরণও যোগ করবেন না কোনো পানীয়তে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ন করল প ন কর র জন য আপন র আপন ক উপক র

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ