কিশোরগঞ্জের আকবরনগর বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার সকালে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশা ও পথচারীদের চাপা দিয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে একজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরেকজন নিহত হন। তারা হলেন আ. হালিম (৬৫) ও আঙ্গুর মিয়া (৪৫)। এ দুর্ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া মারা গেছে অন্তত ৫০টি হাঁঁস-মুরগি।

আকবরনগর বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী প্রত্যক্ষদর্শী মনজু মিয়া জানান, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়কে ভৈরবগামী বেপরোয়া গতির গাছবোঝাই একটি ট্রাক সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সেখানে আগে থেকে দাঁড়ানো একটি অটোরিকশা এবং বাজারের লোকজনদের চাপা দেয়। 

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, আকবরনগর বাসস্ট্যান্ডে সড়কের দুই পাশে প্রতিদিন সকালে হাঁস-মুরগির বাজার বসে। আকবর নগর গ্রামের বাসিন্দা নিহত আ.

হালিম মুরগি বিক্রি করতে বাজারে গিয়েছিলেন। আর স্থানীয় ঝগড়ারচর গ্রামের আঙ্গুর মিয়া হাঁস বিক্রি করতে বাজারে যান। ট্রাকচাপায় আ. হালিম ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে আঙ্গুর মিয়া মারা যান।

ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মো. সাহাবুর রহমান দু’জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন সড়ক ম ত য ক ল য় রচর

এছাড়াও পড়ুন:

‎নামাজরত বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ৩ পুলিশ আহত

‎পাবনায় নামাজরত অবস্থায় নিজাম প্রামানিক (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোস্তফা প্রামানিককে আটক করেছে পুলিশ। তাকে আটক করতে গিয়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন সদর থানার তিন উপ-পরিদর্শক (এসআই)।

রবিবার (২ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের পুরাতন ভাদুরডাঙ্গী গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। ‎‎পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

মসজিদে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর, থানায় অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের গুলিতে যুবক নিহত

‎নিহত নিজাম প্রামাণিক একই গ্রামের মৃত ইন্তাজ প্রামানিকের ছেলে। তিনি কৃষি কাজ করতেন। অভিযুক্ত মোস্তফা প্রামাণিকও কৃষকের কাজ করতেন। নিহত এবং অভিযুক্ত সম্পর্কে বাবা-ছেলে।

‎পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত নিজাম প্রামানিক নতুন বাজারে দুধ বিক্রি করে রবিবার সন্ধ্যার পর বাসায় ফেরেন। খাবার শেষে এশার নামাজ পড়তে দাঁড়ান তিনি। এ সময় ঘরে প্রবেশ করে দরজা আটকিয়ে হাঁসুয়া দিয়ে নিজাম প্রমানিককে কুপিয়ে হত্যা করেন মোস্তফা। পরে তিনি পাশের ঘরে গিয়ে বসে থাকেন। অভিযুক্তকে ঘরের ভেতরে তালাবদ্ধ রেখে পুলিশকে খবর দেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আটকের সময় অভিযুক্তের ছুরিকাঘাতে সদর থানার এসআই আবু বকর সিদ্দিক, এসআই জিয়াউর রহমান, এসআই আবু রায়হান আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে এসআই জিয়াউর রহমানকে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

‎নিহতের অপর ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা খাবার শেষে রুমে শুয়ে ছিলাম। এমন সময় রুম আটকিয়ে নামাজরত অবস্থায় বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করে মোস্তফা। এর আগেও সে আমাকে মেহগনি ঢাল দিয়ে মারধর করে মারাত্মক আহত করেছিল। আজকে (রবিবার) হত্যা করতে গামছার মধ্যে হাঁসুয়া নিয়ে আমাকে মাঠের মধ্যে গিয়ে খুঁজাখুঁজি করেছে। বাড়ির লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাকে সতর্ক করে।” 

‎তিনি আরো বলেন, “সে মাদকের জন্য প্রায়ই বাবা ও আমাদের থেকে টাকা চাইতো। না দিলেই বাড়িতে ভাঙচুর চালাতো। তার শাস্তি হওয়া উচিত।”

‎পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তাকে আটক করতে গিয়ে তিনজন এসআই আহত হয়েছেন।” 
 

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ