বাংলাদেশের হয়ে টি–টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি শূন্যের রেকর্ড সাকিবের
Published: 24th, May 2025 GMT
সাকিব আল হাসান কারও কারও চোখে রেকর্ডের বরপুত্র। কাল রাতে আরও একটি রেকর্ড যোগ হয়েছে তাঁর নামের পাশে। তবে সাকিব এ রেকর্ড যে চাননি তা নিশ্চিত। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড এখন সাকিবের।
পিএসএলে কাল রাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে ৯৫ রানের জয়ে ফাইনালে উঠেছে লাহোর কালান্দার্স। এ ম্যাচে লাহোরের ইনিংসে আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২ বলে ০ রানে আউট হন সাকিব। করাচির বিপক্ষে আগের ম্যাচে (২২ মে) লাহোর জিতলেও সাকিবকে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। তবে এই ম্যাচের চার দিন আগে পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে সাতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১ বল খেলে শূন্য রানে আউট হন সাকিব। অর্থাৎ ‘গোল্ডেন ডাক’ মারেন।
আরও পড়ুনপ্রথম পরীক্ষায় ‘এ’ গ্রেড রিশাদের৫১ মিনিট আগেএকটু নিচের দিকে ব্যাটিংয়ে নামায় রান তোলার তাড়া ছিল। সেই চেষ্টায় ঝুঁকি নিতে গিয়েই ছয় মাস পর ক্রিকেটে ফিরে টানা দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে দুবারই শূন্য রানে আউট হলেন সাকিব। কাল রাতে শূন্য রানে আউট হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডটি তাঁর হয়ে যায়।
সাকিব কাল ব্যাটিংয়ে নামার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এ সংস্করণে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ডটি ছিল সৌম্য সরকারের। ২৩৭ ম্যাচে ২৩২ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩১ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন সৌম্য। সাকিব কাল শূন্য রানে আউট হয়ে সৌম্যকে পেছনে ফেলে নামের পাশে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে যোগ করেছেন ৩২টি ‘ডাক’—অর্থাৎ ৩২ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন বাংলাদেশের এই কিংবদন্তি।
সাকিবের বয়স ৩৮ বছর। সৌম্যর ৩২ বছর। স্বাভাবিকভাবেই এই রেকর্ডটি এক সময় আবারও সৌম্যর নামের পাশে ফিরে আসার সম্ভাবনাই বেশি। দুজনের ইনিংসসংখ্যায় তাকালেই সেই সম্ভাবনাটা টের পাওয়া যায়। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪১০ ইনিংস খেলে ৩২ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন সাকিব। সৌম্য সেখানে ২৩২ ইনিংসেই মেরেছেন ৩১টি ‘ডাক’। অর্থাৎ সাকিবের তুলনার সৌম্যর শূন্য রানে আউট হওয়ার সম্ভাবনার হার বেশি।
আরও পড়ুনরিশাদের ৩ উইকেট, ফাইনালে লাহোর১২ ঘণ্টা আগেটি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার রেকর্ড সাকিবের মতোই একজন স্পিন অলরাউন্ডারের। সুনীল নারাইন। ক্যারিবিয়ান এই ক্রিকেটার ৩৫৮ ইনিংসে ৪৮ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান এ তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় ইংল্যান্ডের ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। শুধু এই তিনজনই অন্তত ৪০ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন। ২৮২ ইনিংসে ৪৫ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন রশিদ। ইংলিশ ওপেনার হেলস ৪৯২ ইনিংসে ৪৪ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
সৌম্য সরকার.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সবচ য়
এছাড়াও পড়ুন:
উপদেষ্টা আসিফের সাবেক এপিএসের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সাবেক এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লক করে দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন আদালত।
দুদকের এক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির, টেন্ডার–বাণিজ্যসহ অনিয়মের মাধ্যমে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে অভিযোগের বিষয়ে আরও যাচাই-বাছাই করা প্রয়োজন হওয়ায় তাঁর বিদেশ যাওয়া এবং এনআইডি ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির আবেদন করা হয়েছে।
দুদকের ঊর্ধ্বতন ওই কর্মকর্তা জানান, মোয়াজ্জেম হোসেনের ব্যাংক হিসাব, সম্পত্তি ও অন্যান্য লেনদেনের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া গত বছরের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। ১৪ আগস্ট একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিজের এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি। ২১ এপ্রিল মোয়াজ্জেমকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অবশ্য পরদিন সংশোধিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পদত্যাগের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে ও পরে মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে তদবির–বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তোলেন কেউ কেউ।
যে–ই দুর্নীতিতে জড়াবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবেএদিকে আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলেছেন, অভিযোগ ও গুঞ্জন ওঠার পর তিনি নিজেই দুদককে বিষয়টি অনুসন্ধান করতে অনুরোধ জানান। এমনকি সাবেক এপিএস–সংক্রান্ত অনুসন্ধানে মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করতেও নির্দেশ দেন।
ফেসবুক পেজে পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কেউ যদি দুর্নীতিতে জড়ায়, সে যে-ই হোক, রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এটাই জুলাই গণ অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশের অঙ্গীকার। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারত্ব আমাদের নতুন বাংলাদেশের পথে এগিয়ে চলার প্রমাণ।’
পোস্টে আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘শুরু থেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর পার্সেপশন তৈরির চেষ্টা চলছে। কিন্তু আমার কাছে সত্য ও নৈতিক সাহসই মুখ্য। সেই কারণে নিজেই অনুসন্ধানের অনুরোধ করেছি। আশা করি, দুদক নিরপেক্ষতা ও পেশাদারত্বের সঙ্গে তদন্ত পরিচালনা করবে এবং সত্য উদ্ঘাটিত হবে। আমরা সততা, দায়বদ্ধতা এবং সুশাসনের এমন দৃষ্টান্ত রেখে যেতে চাই যা, অনুকরণীয় হবে।’