জামালপুর সদর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে শহরের শহীদ সাফওয়ান সদ্য অডিটোরিয়ামে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সদর উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো.

ওয়ারেছ আলী মামুন। 

এ সময় জেলা সৎস্যজীবী দলের সভাপতি আব্দুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ হোসেনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আগামী তিন বছরের জন্য সাইদুর রহমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন পুনরায় নির্বাচিত হন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘মব সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ শিক্ষকের বিবৃতি

‘মব সন্ত্রাস’–এর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ জন শিক্ষক। তাঁরা ‘মব সন্ত্রাস’ নিরসনে দ্রুত কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে শিক্ষকেরা এ দাবি জানান। বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েক মাস থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ‘মব সন্ত্রাস’ থাবা বিস্তার করেছে এবং ক্রমেই তা উদ্বেগজনক হারে বেড়েই চলেছে। এতে দেশের মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিসরে দেশের মর্যাদা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

মবাক্রান্ত মানুষেরা শুধু শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হচ্ছেন তা–ই নয়, বরং গণপিটুনির শিকার হয়ে অনেকে ইতিমধ্যে মারা গেছেন, নারীরা তাঁদের সম্ভ্রম হারিয়েছেন; এমনকি মবের শিকার হয়ে অনেক অবুঝ শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনও বিপর্যস্ত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আইন-আদালত, গণমাধ্যম, ব্যবসাকেন্দ্র, আবাসিক ভবন, ঐতিহাসিক স্থাপনা, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন থেকে শুরু করে সামাজিক অনুষ্ঠান পর্যন্ত মব সন্ত্রাসের কালো থাবা থেকে রেহাই পাচ্ছে না। দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর ও প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ‘মব’ নিরসনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বললেও বাস্তবে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা দৃশ্যমান হচ্ছে না এবং আগ্রাসী মবকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কোনো কোনো দায়িত্বশীল মহল কর্তৃক “মবকে” “প্রেশার গ্রুপ” বলে সংজ্ঞায়িত করায় পর্যায়ক্রমে “মব সন্ত্রাস” অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মব সংস্কৃতির রূপ পরিগ্রহ করছে এবং মব সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া ও বেসামাল হচ্ছে। দেশের মুক্তবুদ্ধিচর্চার সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমরা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় খুবই উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও বেদনাহত।’

শিক্ষকদের বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা দেশের প্রচলিত আইনে বিচার হওয়া কাম্য। কিন্তু কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে দেশটাকে ‘মবের মুল্লুক’-এ পরিণত করা কোনো স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হতে পারে না। তাই রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলের কাছে উদাত্ত আহ্বান, সার্বিকভাবে আইনের সঠিক প্রয়োগ, সামাজিক ন্যায়বিচার ও নাগরিক সমাজের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা ও সুশাসন নিশ্চিত করুন এবং দেশের গণমানুষের সামগ্রিক স্বার্থে অবিলম্বে এই ‘মব সন্ত্রাস' নিরসনে কার্যকর ও দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম (রফিক শাহরিয়ার), অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ, অধ্যাপক জামিলা এ চৌধুরী, শবনম আযীম, অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ, অধ্যাপক সমীর কুমার শীল, অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ, অধ্যাপক মো. আবদুল মুহিত, অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ময়না তালুকদার, অধ্যাপক আকসাদুল আলম, অধ্যাপক সঞ্চিতা গুহ, অধ্যাপক সুরাইয়া আক্তার, অধ্যাপক জাভীদ ইকবাল বাঙালী, অধ্যাপক মিজানুর রহমান, অধ্যাপক জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, অধ্যাপক বিল্লাল হোসেন, অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ