বরিশালে তিন দিনের টানা বর্ষণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে নগরের বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। সড়কে হাঁটুপানি জমে যানবাহন চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। ভোগান্তির কথা ভেবে নগরের বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক বিদ্যালয়ে বুধবার ছুটি ঘোষণা করা হয়।

বরিশাল আবহাওয়া বিভাগের তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ১৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আরও কয়েক দিন এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।

টানা বর্ষণের কারণে বরিশাল নগরের মেজর এম এ জলিল সড়ক (নবগ্রাম রোড), জীবনানন্দ দাশ সড়ক (বগুড়া রোড), করিম কুটির, ব্রাউন কম্পাউন্ডসহ বেশ কয়েকটি সড়ক ও অলিগলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন দেখা যায়, নগরের মেজর এম এ জলিল সড়কের বটতলা থেকে চৌমাথা পর্যন্ত পুরো সড়কে হাঁটুপানি। জীবনানন্দ দাশ সড়কের সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের এলাকা, অক্সফোর্ড মিশন এলাকা, মুনশির গ্যারেজ এলাকায় জলাবব্ধতার কারণে দুর্ভোগে আছেন বাসিন্দারা। তিন দিন ধরে টানা বর্ষণের কারণে বরিশাল অঞ্চলজুড়েই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করায় জনজীবন বিপর্যস্ত। সাধারণ মানুষ তেমন একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো ফাঁকা।

বুধবার দুপুরে নগরের বাংলাবাজার এলাকায় রিকশা নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন আলমগীর হোসেন নামে একজন রিকশাচালক। ভোর থেকে টানা বৃষ্টিতে ভিজে একাকার এই চালক বললেন, ‘বেইন্নাহালে রাস্তায় নামছি, এহন বাজে একটা। মাত্র ৮০ টাহা কামাই অইছে। ৩০০ টাহা মালিকরে জমা (ভাড়া) দিতে হইবো। হ্যারপর বাজারসদাই। চাউল, বাজারসদাই তো দূরের কথা, মোনে অয় না আইজ জমা টাহা ওঠবে। তিন দিন ধইর্যাই এইরহম অবস্থা।’

টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েছে মানুষ। বুধবার দুপুরে বরিশাল নগরের মেজর এম জলিল সড়কে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বর শ ল নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রাবাড়ীতে বৃদ্ধকে হত্যা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন শনাক্তের দাবি পুলিশের

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে ইসমাইল খান নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা এবং তাঁর স্ত্রী সালেহা বেগমকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে ওই বাসার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।

যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ওই দিনের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন তাদের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত পরিবারের কেউ মামলা করেনি। পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে। তদন্তের কিছু অগ্রগতিও আছে। মামলা হলে তারপর হয়তো ঘটনার বিস্তারিত বের করা যাবে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইসমাইল খান ও সালেহা বেগম যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা এলাকায় ‘খান ভিলা’ নামে নিজেদের চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে ফ্ল্যাটের পেছনের জানালার গ্রিল কেটে চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করতে বাসায় ঢোকে। এই দম্পতি টের পেলে তাঁদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে ইসমাইল খানকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আর সালেহা বেগমকে ছুরি দিয়ে পায়ে আঘাত করা হয়। পরে সালেহা বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চিকিৎসকেরা ইসমাইল খানকে মৃত ঘোষণা করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ