যাত্রাবাড়ীতে বৃদ্ধকে হত্যা, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন শনাক্তের দাবি পুলিশের
Published: 10th, July 2025 GMT
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গ্রিল কেটে বাসায় ঢুকে ইসমাইল খান নামের এক বৃদ্ধকে হত্যা এবং তাঁর স্ত্রী সালেহা বেগমকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে ওই বাসার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ওই দিনের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এখন তাদের নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ইসমাইল খান ও সালেহা বেগম যাত্রাবাড়ীর বিবিরবাগিচা এলাকায় ‘খান ভিলা’ নামে নিজেদের চারতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন। মঙ্গলবার ভোররাত চারটার দিকে ফ্ল্যাটের পেছনের জানালার গ্রিল কেটে চার-পাঁচজন দুর্বৃত্ত টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করতে বাসায় ঢোকে। এই দম্পতি টের পেলে তাঁদের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে ইসমাইল খানকে মারধর ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। আর সালেহা বেগমকে ছুরি দিয়ে পায়ে আঘাত করা হয়। পরে সালেহা বেগমের চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে চিকিৎসকেরা ইসমাইল খানকে মৃত ঘোষণা করেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’