তামকজনিত মৃত্যু রোধে সমাবেশ ও কফিন র্যালি
Published: 9th, July 2025 GMT
তামাকজনিত মৃত্যু এবং তামাকের ব্যবহার কমিয়ে সুস্থ জাতি গড়তে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সময়োপযোগী ও শক্তিশালীকরণের দাবিতে সমাবেশ ও প্রতীকী কফিন র্যালি করেছে তামাক বিরোধী ১৭টি সংগঠন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সমাবেশ হয়। কফিন র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। এ সময় বক্তারা গবেষণা তথ্য তুলে ধরে জানান, বাংলাদেশে ১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে তামাক ব্যবহারের হার ৩৫.
বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত এবং ৬১ হাজারেরও বেশি শিশু (১৫ বছরের নিচে) পরোক্ষ ধূমপানের কারণে নানা রোগে ভুগছে। বক্তারা জানান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাসের মাধ্যমে শক্তিশালী করা গেলে অধূমপায়ীরা পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা পাবেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ, প্রত্যাশার হেলাল আহমেদ, এইড ফাউন্ডেশনের আবু নাসের অনিক, টিসিআরসির ফারহানা জামান লিজা, বিএনটিটিপি’র হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, তামাক বিরোধী নারী জোটের সিমা দাস শিমু, মানসের উম্মে জান্নাত, নারী মৈত্রীর নাসরিন আক্তার, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ডা. অরুনা সরকার, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের মিঠুন বৈদ্য এবং আহাছানিয়া মিশন ইয়ূথ ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিয়িং- এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা বক্তব্য দেন।
আয়োজক ১৭টি সংগঠন হলো ঢাকা আহছানিয়া মিশন, প্রজ্ঞা, ডরপ, নারী মৈত্রী, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, বিএনটিটিপি, বিসিসিপি, টিসিআরসি, ডাব্লিইউবিবি ট্রাষ্ট, নাটাব, এইড ফাউন্ডেশন, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, প্রত্যাশা, পিপিআরসি, মানস, তাবিনাজ এবং বিটিসিএ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পুরান ঢাকায় ছুরিকাঘাতে কারখানার শ্রমিক হত্যায় যুবকের স্বীকারোক্তি
রাজধানীর লালবাগে কারখানার শ্রমিক মো. হোসেনকে (২৪) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মো. আবির নামের এক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মনোমালিন্যের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আশরাফুল ইসলাম বলেন, আসামি আবিরকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় লালবাগ থানার উপপরিদর্শক মো. নাজমুজ্জামান জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। পরে আদালত জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত সোমবার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আবিরের সঙ্গে নিহত হোসেনের বন্ধু নীরবের কথা–কাটাকাটি হয়। এ সময় হোসেন তাঁর বন্ধুর পক্ষ নিলে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হলেও আবির তা মেনে নেননি।
এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে হোসেন কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে লালবাগের শহিদনগর এলাকায় একটি দোকানের সামনে আবির পেছন থেকে তাঁর পিঠে ছুরি মারেন। খবর পেয়ে স্বজনেরা হোসেনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মামলার অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, আবির ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। হোসেন সেখানে ভাড়া থাকতেন এবং একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।