প্রায় ২০ দিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ খুলছে ১২ জুলাই
Published: 10th, July 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে প্রায় ২০ দিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ক্লাস শুরুর আগেই ছাত্রাবাস খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বুধবার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.
একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১২ জুলাই শনিবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ক্লাস শুরু হবে। আর ১১ জুলাই সকাল থেকে সব আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে।
অধ্যাপক কামরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন খালি করতে আমরা ক্লাস ও হল বন্ধ করেছিলাম। সেটি আমরা করতে পেরেছি। নতুন ছাত্রাবাস ও একাডেমিক ভবন তৈরিসহ শিক্ষার্থীদের সব দাবির সঙ্গে আমরা একমত। তবে সেগুলো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতে হবে। শিক্ষার্থীরাও বিষয়টি অনুধাবন করে ক্লাসে ফিরতে চাচ্ছে। ফলে আমরা ১১ জুলাই থেকে আবাসিক হল এবং ১২ জুলাই থেকে ক্লাস চালু করতে যাচ্ছি।’
নিরাপদ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে মে মাস থেকে ক্লাস বর্জন করছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই পরিস্থিতিতে ২১ জুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ কলেজ ও আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি ছিল—ছাত্রাবাস ও ছাত্রীনিবাসের জন্য দ্রুত বাজেট পাস করা, নতুন আবাসন না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা, নতুন ও বিকল্প উভয় আবাসনের জন্য পৃথক বাজেট বরাদ্দ, পুরোনো একাডেমিক ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে পরিত্যক্ত ঘোষণা এবং আন্দোলন চলাকালে কার্যক্রমের অগ্রগতি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি নিযুক্ত করা।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেল কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, হল ছাড়তে নির্দেশ২১ জুন ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ড ক ল কল জ এক ড ম ক র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মেসে ফিরছে কাবিলারা, পলি চেয়ারম্যানের কী হবে
মেসজীবনের নানা টানাপোড়েন, হাসি-কান্না, প্রেম, বন্ধুত্ব আর খুনসুটির গল্প নিয়ে ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। তরুণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যেখানে জায়গা করে নেন নানা বয়সী মানুষ। এক ছাদের নিচে ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা মিলে তৈরি হয় জীবনযাপনের নতুন এক সমীকরণ। কাজল আরেফিন অমির নির্মাণে এই গল্পগুলোই পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা।
২০১৮ সালে প্রথম সিজন প্রচারের পর থেকেই আলোচনার পাশাপাশি ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। ছয় বছরের যাত্রায় নাটকটি শুধু টেলিভিশনের পর্দাতেই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হয়ে ওঠে ‘ট্রেন্ড’। নানা বয়সের দর্শকেরা নাটকটি দেখে যেমন মজা পান, তেমনি কেউ কেউ এটাকে ‘অশ্লীল’ আখ্যা দেন।
এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই শুরু হচ্ছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর পঞ্চম সিজন। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইতে প্রচারিত হবে এই ধারাবাহিক। পাশাপাশি বুম ফিল্মের ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে। এর আগে ঈদুল আজহায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পায় ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর পঞ্চম সিজন। সেখানে নতুন সিজনের ১৬টি পর্ব দেখানো হয়। প্রি-বুকিং থেকে শুরু করে মুক্তির পরপরই দর্শকের সাড়া ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্মাতা জানান, মুক্তির প্রথম ২০ ঘণ্টায় দর্শকের যে সাড়া মিলেছে, বাংলাদেশের ওটিটির ইতিহাসে তা বড় অর্জন। তাঁর ভাষায়, ‘সিরিজের গড় ওয়াচটাইম ৯৭ শতাংশ, যা দেশে বিরল ঘটনা।’