নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে চলছে তারুণ্যের উৎসব
Published: 9th, July 2025 GMT
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তরুণদের অংশগ্রহণে উদ্দীপ্ত হয়ে চলমান ‘তারুণ্যের উৎসব’-এর সময়সীমা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠক শেষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।
এর আগে, যুব উপদেষ্টার সভাপতিত্বে জাতীয় পর্যায়ে উৎসবের বাস্তবায়ন বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উৎসব বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত ২৫টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বঙ্গীয় বদ্বীপের মানুষের সংকটকালে তুরস্ক পাশে দাঁড়িয়েছে: যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা
‘শিল্পী দেবাশিস চক্রবর্তীর আঁকা পোস্টারে ফুটে উঠবে জুলাইয়ের অনিবার্যতা’
সভায় উপদেষ্টা উৎসবের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং এর বিস্তৃত ও সফল বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
তিনি জানান, এই উৎসবকে আন্তর্জাতিক পরিসরে ছড়িয়ে দিতে সার্কসহ অন্যান্য আঞ্চলিক সংগঠনকে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ‘গ্লোবাল ইয়ুথ সামিট’ আয়োজনেরও নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ প্রতিপাদ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়া এই উৎসব দেশজুড়ে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মাধ্যমে উদযাপিত হচ্ছে। তরুণদের মধ্যে ঐক্য, সহযোগিতা এবং আত্মকর্মসংস্থানের অনুপ্রেরণা জাগাতে উৎসবটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রথম পর্যায়ে দেশের বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছেন ৭১ লাখ ৬৬ হাজার ৪৭৩ জন তরুণ-তরুণী, যার মধ্যে ২৭ লাখ ৪২ হাজার ১৭১ জন নারী।
এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৩ হাজার ৭১১টি ইভেন্ট, যার মধ্যে নারীদের জন্য ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ইভেন্ট ছিল ২ হাজার ৯৩১টি। ক্রীড়া পরিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়ন থেকে বিভাগীয় পর্যায় পর্যন্ত অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টও আয়োজন করা হয়েছে।
‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একটি বিশেষ উদ্যোগ, যা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে এবং ২৬টি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। জাতীয় ঐক্য, তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা এবং স্থানীয় উদ্ভাবনী উদ্যোগগুলোকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য।
উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও অংশগ্রহণে আগ্রহীদের https://youth.
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন, কলেজ কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত জেলার প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এ মানববন্ধন হয়। এদিকে এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের পথ বের করা হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
আজ মানববন্ধনে সুনামগঞ্জের লেখক-গবেষক সুখেন্দু সেন, সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল হক, পঙ্কজ কান্তি দে, মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, মুজাহিদুল ইসলাম, সালেহীন চৌধুরী, মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, নাসিম চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য কোনো জায়গায় নির্মাণ এবং শহীদ মিনারের ভাঙা অংশ সংস্কারের দাবি জানান। পরে অধ্যক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
সাবেক ছাত্রনেতা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ মুনাজ্জির হোসেন বলেন, ‘এটি জেলার প্রথম শহীদ মিনার, ইতিহাসের অংশ। এটি ভাঙা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা কথা বলার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তাঁরা স্মারকস্তম্ভ কলেজের অন্য জায়গায় নির্মাণ ও শহীদ মিনার যেভাবে ছিল, সেভাবে আবার সংস্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন।’
জানতে চাইলে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সাবেক ছাত্রনেতারা আমাদের কাছে এসে তাঁদের দাবির বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি এখানে নতুন। আমি বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা প্রকৌশলীর সঙ্গে দ্রুত কথা বলে সমস্যার সমাধান করব।’
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ভাষাশহীদদের স্মরণে ১৯৬৬ সালে এই শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি সুনামগঞ্জে ভাষাশহীদদের স্মরণে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনার। প্রায় ৬০ বছরের পুরোনো এই শহীদ মিনার ভেঙে ফেলা হচ্ছে। সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে কলেজের ৭৫ বছর পূর্তির একটি স্মারকস্তম্ভ।
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগর এলাকায় ১৯৪৪ সালে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়। সরকারীকরণ করা হয় ১৯৮০ সালে। কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২০ সালের ৭ ও ৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্পাসে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী উৎসব হয়। এই উৎসবের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তখন ক্যাম্পাসে একটি স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। মাসখানেক আগে ওই স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ কোথায় এটি নির্মাণ করা হবে, সেই স্থানটি নির্ধারণ করেছে। স্থান নির্ধারণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোনো ভূমিকা নেই।
আরও পড়ুনসুনামগঞ্জের প্রথম শহীদ মিনার ভেঙে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণ, সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ-প্রতিবাদ৯ ঘণ্টা আগে