আলোচিত স্কুলছাত্র জনি হত্যায় সাজু ৩ দিনের রিমান্ডে
Published: 9th, July 2025 GMT
হবিগঞ্জে আলোচিত স্কুলছাত্র জনি দাস হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাজু মিয়ার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অসীম কুমার দে কাকনের আদালত তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সাজুকে আদালতে নেয়া হলে একদল যুবক তার ওপর হামলা চালায়। তাৎক্ষণিক আইনজীবী ও আদালতে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী কুতুব উদ্দিন জুয়েল জানান, গ্রেপ্তার সাজু মিয়ার আট দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরো পড়ুন:
শ্রীপুরে স্কুলছাত্রকে অপহরণের অভিযোগে আটক ১
চট্টগ্রামে নালায় পড়া নিখোঁজ শিশু উদ্ধার, অবস্থা আশঙ্কাজনক
তিনি বলেন, ‘‘একদল যুবক আদালতে সাজু মিয়ার ওপর হামলা চালায়। তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। আমি মনে করি, এটি বিচার কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র। এটি কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। যদি একটি দুর্ঘটনা ঘটত, তবে একটি কলঙ্কের জন্ম দিত। এছাড়া পরিবেশও বিনষ্ট হতে পারত।’’
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৩ জুলাই ভোররাতে হবিগঞ্জ শহরের দেয়ানতরাম সাহার বাড়ি এলাকার বাসিন্দা নরধন দাসের বাড়িতে চুরি করতে যায়। এ সময় তার ছেলে দশম শ্রেণীর ছাত্র জনি দাস ঘুম থেকে জেগে চোর দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করলে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে চোর পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় জনি দাসকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করলে নিহতের স্বজনরা হত্যাকারী হিসেবে তাকে শনাক্ত করেন। পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে ৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুনানি শেষে তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা/মামুন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস