বর্ষাকালে দেয়ালে ড্যাম্প এড়ানোর ঘরোয়া সমাধান জেনে রাখুন
Published: 9th, July 2025 GMT
যত সমস্যা
বর্ষাকাল এলেই দেখা যায়, দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়ছে। অনেক সময় কালচে দাগ পড়ে, রং চটে যায়। ঘরের পুরো সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় দেয়ালের স্যাঁতসেঁতে ভাব। এর পেছনে মূল কারণ দেয়াল ভিজে ওঠা। বিশেষ করে ঘরের বাইরের দেয়াল, যে দেয়ালে নিয়মিত বৃষ্টির পানি লাগে, সেসব দেয়ালে বেশি ড্যাম্প দেখা যায়। শুধু তা–ই নয়, বাথরুমের পাশের দেয়াল বা যে দেয়াল নিয়মিত পানির সংস্পর্শে থাকে, সেই দেয়ালেই এমন স্যাঁতসেঁতে ভাব দেখা যায়। অনেকে এই স্যাঁতসেঁতে ভাবকে বলেন নোনা ধরা। কিন্তু এই নোনা ধরা বা ড্যাম্প ভাব থেকে মুক্তির উপায় কী?
যেসব ঘরে আলো–বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা কম, সেসব দেয়ালেও ড্যাম্প দেখা যায়। কারণ, বৃষ্টির পানিতে যখন দেয়ালের বাইরে অংশ ভিজে যায়, তখন সেই পানি শোষণ করতে ঘরের ভেতর বাতাস প্রবেশ করা অতীব জরুরি। তবে ঘরের দেয়ালকে স্যাঁতসেঁতে ভাব থেকে প্রতিরোধ করতে সবার আগে প্রয়োজন দেয়াল শনাক্ত করা।
কী করবেনমলিন দেয়াল ঠিক করতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, এক্সপার্টের সাহায্য নেওয়া। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা নিয়মিত দেয়ালের এসব কাজই করে। বাজারে এখন ভালো ব্র্যান্ডের রং পাওয়া যায়, যেগুলো দেয়ালে ড্যাম্প পড়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন কাজ করে। রঙের প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে তাদের অভিজ্ঞ টিমের কাছ থেকে সমাধান পেতে পারেন।
কিছু ঘরোয়া উপায়ও কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। ঘরের দেয়াল থেকে স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে রসুন ও তেঁতুল। আধা কেজি তেঁতুলের সঙ্গে ২৫০ গ্রাম রসুন ভালোভাবে ব্লেন্ড করে ১২ ঘণ্টা রেখে দিন। ব্রাশ দিয়ে ঘষে দেয়াল থেকে অবাঞ্চিত ময়লা দূর করুন। এরপর পরিষ্কার তারের ব্রাশ দিয়ে তেঁতুল ও রসুনের মিশ্রণটা দেয়ালে লাগিয়ে দিন। এক দিন পর দেয়াল শুকিয়ে এলে আবার রং করে নিলেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুনআমি স্বামীর চেয়ে দেবরের ওপর বেশি নির্ভরশীল, এই অবস্থায় কী করব৮ ঘণ্টা আগেঘরোয়া উপায়ে দেয়ালের ড্যাম্প ঢেকে দিতে পারেন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরের ছয়টি আসনের ৪টিতে বিএনপির প্রার্থী হলেন যারা
গাজীপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে চারটিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, গাজীপুর-১ ও গাজীপুর-৬ আসনের প্রার্থীদের নাম পরে জানানো হবে।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি ঢাকা-২০ আসনে, অপেক্ষায় ৪ নেতা
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিজ্ঞদের ওপর আস্থা রাখল বিএনপি
গাজীপুর-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নানের ছেলে এম. মঞ্জুরুল করিম রনি। গাজীপুর-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। গাজীপুর-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান এবং গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া, শরিক দলের জন্য কিছু আসন খালি রাখা হয়েছে।”
এর আগে, দুপুরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী সেই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তকরণ এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে আনুষ্ঠানিক তফসিল।
এদিকে প্রার্থী ঘোষণার খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তবে গাজীপুর-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম ফজলুল হক মিলন তানিয়া দলীয় নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল করা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করেছেন।
ঢাকা/রফিক/মাসুদ