যত সমস্যা

বর্ষাকাল এলেই দেখা যায়, দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় পলেস্তারা খসে পড়ছে। অনেক সময় কালচে দাগ পড়ে, রং চটে যায়। ঘরের পুরো সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয় দেয়ালের স্যাঁতসেঁতে ভাব। এর পেছনে মূল কারণ দেয়াল ভিজে ওঠা। বিশেষ করে ঘরের বাইরের দেয়াল, যে দেয়ালে নিয়মিত বৃষ্টির পানি লাগে, সেসব দেয়ালে বেশি ড্যাম্প দেখা যায়। শুধু তা–ই নয়, বাথরুমের পাশের দেয়াল বা যে দেয়াল নিয়মিত পানির সংস্পর্শে থাকে, সেই দেয়ালেই এমন স্যাঁতসেঁতে ভাব দেখা যায়। অনেকে এই স্যাঁতসেঁতে ভাবকে বলেন নোনা ধরা। কিন্তু এই নোনা ধরা বা ড্যাম্প ভাব থেকে মুক্তির উপায় কী?

যেসব ঘরে আলো–বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা কম, সেসব দেয়ালেও ড্যাম্প দেখা যায়। কারণ, বৃষ্টির পানিতে যখন দেয়ালের বাইরে অংশ ভিজে যায়, তখন সেই পানি শোষণ করতে ঘরের ভেতর বাতাস প্রবেশ করা অতীব জরুরি। তবে ঘরের দেয়ালকে স্যাঁতসেঁতে ভাব থেকে প্রতিরোধ করতে সবার আগে প্রয়োজন দেয়াল শনাক্ত করা।

কী করবেন

মলিন দেয়াল ঠিক করতে সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, এক্সপার্টের সাহায্য নেওয়া। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা নিয়মিত দেয়ালের এসব কাজই করে। বাজারে এখন ভালো ব্র্যান্ডের রং পাওয়া যায়, যেগুলো দেয়ালে ড্যাম্প পড়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন কাজ করে। রঙের প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে তাদের অভিজ্ঞ টিমের কাছ থেকে সমাধান পেতে পারেন।

কিছু ঘরোয়া উপায়ও কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। ঘরের দেয়াল থেকে স্যাঁতসেঁতে ভাব দূর করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে রসুন ও তেঁতুল। আধা কেজি তেঁতুলের সঙ্গে ২৫০ গ্রাম রসুন ভালোভাবে ব্লেন্ড করে ১২ ঘণ্টা রেখে দিন। ব্রাশ দিয়ে ঘষে দেয়াল থেকে অবাঞ্চিত ময়লা দূর করুন। এরপর পরিষ্কার তারের ব্রাশ দিয়ে তেঁতুল ও রসুনের মিশ্রণটা দেয়ালে লাগিয়ে দিন। এক দিন পর দেয়াল শুকিয়ে এলে আবার রং করে নিলেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

আরও পড়ুনআমি স্বামীর চেয়ে দেবরের ওপর বেশি নির্ভরশীল, এই অবস্থায় কী করব৮ ঘণ্টা আগেঘরোয়া উপায়ে দেয়ালের ড্যাম্প ঢেকে দিতে পারেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াসার এমডি ও স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে নতুন কর্মকর্তা

ছয় দপ্তর প্রধানের দায়িত্ব থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকতকে। সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর খুলনা বিভাগের স্থানীয় সরকার পরিচালক ও খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে উপ-সচিব আবু সায়েদ মো. মনজুর আলম অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বুধবার থেকে তিনি কাজ শুরু করেছেন। 

গত ১০ মাস ধরে খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক, নৌপরিবহন মালিক গ্রুপের প্রশাসক, খুলনার স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক এবং জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হুসাইন শওকত। একই সঙ্গে ছয় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তিনি কোথাও পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছিলেন না। এক দপ্তরের ফাইল নিয়ে ছুটতে হচ্ছিল অন্য দপ্তরে। নিয়মিত সব অফিসে যেতে না পারায় দপ্তরগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে কাজে ফাঁকি, ধীরগতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়।

বিষয়গুলো তুলে ধরে গত ৪ জুলাই ‘ছয় দপ্তরের দায়িত্বভার একজনের কাঁধে’ শিরোনামে সমকালে সংবাদ প্রকাশ হয়। এরপরই বিষয়টি সমাধানে কাজ শুরু করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।

বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, মঙ্গলবার খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) আবু সায়েদ মো. মনজুর আলমকে স্থানীয় সরকার পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পদাধিকার বলে তিনি খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বুধবার দুটি দায়িত্বই তিনি বুঝে নিয়েছেন। 

খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেন, ছয় দপ্তরের দায়িত্ব একজনের পক্ষে পালন করা কষ্টকর। তার দায়িত্ব কিছু কমানো হয়েছে। স্থানীয় সরকার পরিচালক পদে স্থায়ী কর্মকর্তা পদায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি। নতুন কাউকে পদায়ন করার আগ পর্যন্ত অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) দুটি পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ