বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে: জেনারেল চৌহান
Published: 9th, July 2025 GMT
চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বার্থের একটি সমন্বয় দেখা যাচ্ছে, যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান।
তিনি বলেছেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সংকট ঋণ-কূটনীতির সুযোগ তৈরি করেছে এবং বিশ্ব একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রও অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।
দ্য ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, স্বাধীন বৈশ্বিক চিন্তক প্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) আয়োজনে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন জেনারেল চৌহান।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করলো ভারত
অবশেষে পাকিস্তানের হামলায় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা স্বীকার করলো ভারত
ধিরুভাই আম্বানি পরিবারের প্রতিষ্ঠিত ওআরএফের প্রধান কার্যালয় দিল্লিতে। সংস্থাটির মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতাতেও কার্যালয় রয়েছে। ভারতের বৈদেশিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করে থাকে ওআরএফ।
দিল্লির অনুষ্ঠানে জেনারেল চৌহান অবশ্য বলেছেন, “অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় চীনের সঙ্গে সীমান্তে কোনো অস্বাভাবিক কার্যকলাপ লক্ষ্য করা যায়নি। ভারত-পাকিস্তানের চার দিনের সংঘাতের সময় চীনের কতটা রাষ্ট্রীয় সহায়তা পেয়েছে পাকিস্তান, তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন।”
“বাস্তবতা হলো, পাকিস্তান তার বেশিরভাগ অস্ত্রই চীন থেকে আমদানি করে। চীনা মূল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর অনেক দায় রয়েছে, তাই এমন অনেকেই থাকবে যারা এসব দায় মেটাতে চেষ্টা করবে; তারা উপস্থিত থাকবেই। এটা সব জায়গাতেই হয়; অনেক চীনা কোম্পানিও বাণিজ্যিক উপগ্রহ চিত্র নিয়ে কাজ করছে। যেমন মার্ক্সার ও প্ল্যানেট ল্যাবস । আপনি চীন বা যুক্তরাষ্ট্র, দু’দিকেই যেতে পারেন। এর মধ্যে কতটুকু রাষ্ট্রীয় সহায়তা, সেটা নির্ধারণ করা খুব কঠিন,” বলেন জেনারেল চৌহান।
অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা সর্বাধিক বলেন, “সংঘাতের সময় প্রচলিত যুদ্ধের জন্য যথেষ্ট পরিসর ছিল এবং ভারতের লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো।”
তিনি বলেন, “এই সংঘাত পুরনো সেই মতবাদকে ভুল প্রমাণ করেছে, যেখানে মনে করা হতো পারমাণবিক অস্ত্র প্রচলিত যুদ্ধকে ঠেকিয়ে দেবে।”
দ্য ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, জেনারেল চৌহান জোর দিয়ে বলেন, এই অভিযান এখনো শেষ হয়নি; বর্তমানে এটি সাময়িক বিরতিতে রয়েছে। প্রয়োজনে প্রচলিত যুদ্ধ পরিচালনার পরিসর আরো বিস্তৃত রয়েছে।
জেনারেল চৌহান অপারেশন সিঁদুরকে একটি ‘নন-কন্টাক্ট ওয়ারফেয়ার’ বা অপ্রত্যক্ষ যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেন।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশ, চীন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতা ভারতের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে: জেনারেল চৌহান
চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বার্থের একটি সমন্বয় দেখা যাচ্ছে, যা ভারতের নিরাপত্তার জন্য প্রভাব ফেলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা সর্বাধিনায়ক জেনারেল অনিল চৌহান।
তিনি বলেছেন, ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সংকট ঋণ-কূটনীতির সুযোগ তৈরি করেছে এবং বিশ্ব একটি রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রও অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।
দ্য ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, স্বাধীন বৈশ্বিক চিন্তক প্রতিষ্ঠান অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) আয়োজনে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন জেনারেল চৌহান।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করলো ভারত
অবশেষে পাকিস্তানের হামলায় যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা স্বীকার করলো ভারত
ধিরুভাই আম্বানি পরিবারের প্রতিষ্ঠিত ওআরএফের প্রধান কার্যালয় দিল্লিতে। সংস্থাটির মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতাতেও কার্যালয় রয়েছে। ভারতের বৈদেশিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম করে থাকে ওআরএফ।
দিল্লির অনুষ্ঠানে জেনারেল চৌহান অবশ্য বলেছেন, “অপারেশন সিঁদুর’-এর সময় চীনের সঙ্গে সীমান্তে কোনো অস্বাভাবিক কার্যকলাপ লক্ষ্য করা যায়নি। ভারত-পাকিস্তানের চার দিনের সংঘাতের সময় চীনের কতটা রাষ্ট্রীয় সহায়তা পেয়েছে পাকিস্তান, তা নির্ধারণ করা খুব কঠিন।”
“বাস্তবতা হলো, পাকিস্তান তার বেশিরভাগ অস্ত্রই চীন থেকে আমদানি করে। চীনা মূল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর অনেক দায় রয়েছে, তাই এমন অনেকেই থাকবে যারা এসব দায় মেটাতে চেষ্টা করবে; তারা উপস্থিত থাকবেই। এটা সব জায়গাতেই হয়; অনেক চীনা কোম্পানিও বাণিজ্যিক উপগ্রহ চিত্র নিয়ে কাজ করছে। যেমন মার্ক্সার ও প্ল্যানেট ল্যাবস । আপনি চীন বা যুক্তরাষ্ট্র, দু’দিকেই যেতে পারেন। এর মধ্যে কতটুকু রাষ্ট্রীয় সহায়তা, সেটা নির্ধারণ করা খুব কঠিন,” বলেন জেনারেল চৌহান।
অপারেশন সিঁদুর প্রসঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা সর্বাধিক বলেন, “সংঘাতের সময় প্রচলিত যুদ্ধের জন্য যথেষ্ট পরিসর ছিল এবং ভারতের লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসী অবকাঠামো।”
তিনি বলেন, “এই সংঘাত পুরনো সেই মতবাদকে ভুল প্রমাণ করেছে, যেখানে মনে করা হতো পারমাণবিক অস্ত্র প্রচলিত যুদ্ধকে ঠেকিয়ে দেবে।”
দ্য ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, জেনারেল চৌহান জোর দিয়ে বলেন, এই অভিযান এখনো শেষ হয়নি; বর্তমানে এটি সাময়িক বিরতিতে রয়েছে। প্রয়োজনে প্রচলিত যুদ্ধ পরিচালনার পরিসর আরো বিস্তৃত রয়েছে।
জেনারেল চৌহান অপারেশন সিঁদুরকে একটি ‘নন-কন্টাক্ট ওয়ারফেয়ার’ বা অপ্রত্যক্ষ যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেন।
ঢাকা/রাসেল